
কালোগ্রীব খরগোশ-Indian hare
কালোগ্রীব খরগোশ বা দেশি খরগোশ হচ্ছে Leporidae পরিবারের Lepus গণের একটি লম্বা-লেজি ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী।
ইংরেজি নাম: Indian hare, black-naped hare
বৈজ্ঞানিক নাম: Lepus nigricollis
বর্ণনাঃ
কালোগ্রীব খরগোশ একটি লম্বা-লেজি ছোট স্তন্যপায়ী প্রাণী। এদের চোখ বড়, কান দীর্ঘ ও লেজ খাটো। পুরুষ সাধারণত স্ত্রীর চেয়ে আকারে বড়। সামনের পায়ে আঙুল ৫টি কিন্তু পেছনের পায়ে ৪টি; নখর চাপা ও দীর্ঘাকার। প্রাপ্তবয়স্ক এই প্রজাতির খরগোশের মাথাসহ দেহের দৈর্ঘ্য ৫০ সেমি, চুলসহ খাটো লেজ ১০ সেমি, কান দৈর্ঘ্যে ১৩ সেমি ও চওড়ায় ৭ সেমি।
স্বভাবঃ
কালোগ্রীব খরগোশ সাধারণত এমন এলাকায় পাওয়া যায় যেখানে বড় বড় ঝোপ এবং জঙ্গল চাষের জমির থাকে। এগুলি সাধারণত উপকূলীয় অঞ্চল পছন্দ। দিনের বেশিরভাগ সময় ঘাসে তৈরি বাসায় ঘুমিয়ে কাটায়। মাঝে মাঝে তাদের দুপাশে বিছিয়ে নিজেদের রোদ পোহাতে দেখা যাবে। এগুলি প্রাথমিকভাবে দৈনিক এবং একাকী, যদিও প্রজননের জন্য কিছুটা একত্রিত হতে পারে।
প্রজননঃ
কালোগ্রীব খরগোশ সাধারণত সারা বছর বংশবৃদ্ধি করে। ৪১ থেকে ৪৭ দিনের গর্ভধারণের পর এক থেকে আটটি শিশুর জন্ম হয়। জন্মের পরের বছরে যৌন পরিপক্কতা ঘটে। তারা ভাল পশমযুক্ত এবং খোলা চোখ নিয়ে জন্মায়। বাচ্চাদের ঘন গাছপালায় লুকিয়ে রাখে এবং যা ২ থেকে ৩ সপ্তাহ স্থায়ী হয়। অল্প বয়স্ক খরগোশ গন্ধহীন এবং লুকানো অবস্থায় খুব স্থির থাকে। তারা সাধারণত কমপক্ষে ১ বছর বয়সী না হওয়া পর্যন্ত বংশবৃদ্ধি করবে না।
খাদ্য তালিকাঃ
তারা গাছপালা, ফসল এবং অঙ্কুরিত বীজ খায়।
বিস্তৃতিঃ
কালোগ্রীব খরগোশ বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তান, ইন্দোনেশিয়া ও শ্রীলংকায় পাওয়া যায়।
অবস্থাঃ
কালোগ্রীব খরগোশ আমাদের দেশে এখন অতি বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকার তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।