আসামি খরগোশ-Hispid hare
আসামি খরগোশ বা কালো খরগোশ বা হিসপিড খরগোশ হচ্ছে Leporidae পরিবারের Caprolagus গণের একটি কালচে বাদামি শাকাশী প্রাণী।
ইংরেজি নাম: Hispid hare
বৈজ্ঞানিক নাম: Caprolagus hispidus
বর্ণনাঃ
প্রাপ্তবয়স্ক এই প্রজাতির খরগোশের মাথাসহ দেহের দৈর্ঘ্য ৪৬ সেমি এবং লেজ বাদামী এবং প্রায় ৩০ মিমি লম্বা। শরীরের ওজন পুরুষদের মধ্যে ২,৬১০ গ্রাম। মহিলাদের গড় ওজন ২,৫১৮ গ্রাম। সামনের হাড়গুলি খুব চওড়া। নাকের দৈর্ঘ্য সাধারণত ৮৫ মিমি। আসামি খরগোশ একটি কালচে বাদামি শাকাশী প্রাণী। এদের লোম দ্বিস্তরী; বাইরের স্তরের লোম মোটা, খাড়া ও শক্ত এবং নিচের স্তরের লোম তুলনামূলক খাটো ও সূক্ষ্ম। এই খরগোশের কানগুলো অনেক ছোট।
স্বভাবঃ
খরগোশ সন্ধ্যা ও রাতে চলাচল করে। যেসব বনে দিনের বেলায় মানুষের চলাচল বেশি, শিকার বেশি সেসব বনে ওরা দিনে বের হয় না। বনের ঝোপঝাড়ে লুকিয়ে থাকে। সন্ধ্যার পর বা রাতে বনের গভীর নীরবতায় তারা জীবনযাপনের নানান প্রয়োজন মিটিয়ে থাকে
প্রজননঃ
আসামি খরগোশের প্রজনন সময় জানুয়ারী থেকে মার্চ মাস পর্যন্ত। ২৫ থেকে ৫০ দিনের গর্ভধারণ হয়। মহিলারা সাধারণত দুই থেকে আটটি বাচ্চার জন্ম দেয়, যদিও কিছু প্রজাতিতে প্রতি লিটারে ১৫ টির মতো বাচ্চা হতে পারে। মহিলারা সাধারণত প্রতি বছর বেশ কয়েকটি বাচ্চা জন্ম দিতে পারে।
খাদ্য তালিকাঃ
আসামি খরগোশ একটি তৃণভোজী প্রাণী। খাদ্যে প্রধানত বাকল, কান্ড এবং ঘাসের শিকড় (ছাড়ের প্রজাতি সহ), এবং কিছু সময় ফসল থাকে।
বিস্তৃতিঃ
আসামি খরগোশ বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল ও ভুটানে পাওয়া যায়।
অবস্থাঃ
বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকার তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।