Dhaka to Mymensingh Train Schedule & Ticket Price
ঢাকা টু ময়মনসিংহ ট্রেনের সময়সূচি ও টিকেটের মূল্য
ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ রুটের দূরত্ব ১১২ কিলোমিটার। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যেতে আন্তঃনগর ট্রেনে চড়েন, তাহলে গন্তব্যে পৌঁছুতে আপনার সময় লাগবে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা। কিন্তু মেইল ট্রেন এক্ষেত্রে প্রায় দ্বিগুণ সময় নেবে। সেজন্যে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোই বাংলাদেশে যাত্রী পরিবহনের জন্য আদর্শ ট্রেন হিসেবে জনপ্রিয়।
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন সময়সূচী
ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ ট্রেনের সময়সূচী
ঢাকা টু ময়মনসিংহ ট্রেন রুট বাংলাদেশের সবচেয়ে ব্যস্ত রেলপথ। সব মিলিয়ে ১২টি ট্রেন এই রুটে আসা-যাওয়া করে। এতগুলি ট্রেন সম্ভবত দেশের অন্য কোনও রুটে চলে না। এই ১২টি ট্রেনের মধ্যে ৬টি হলো আন্তঃনগর ট্রেন এবং ৬টি হলো মেইল ট্রেন।
ঢাকা টু ময়মনসিংহ রুটে চলাচলকারী আন্তঃনগর ট্রেনগুলো হলো: তিস্তা এক্সপ্রেস, অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস, ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, হাওর এক্সপ্রেস এবং মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস।
ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের মেইল ট্রেনগুলো হলো: ঈশা খাঁ এক্সপ্রেস, মহুয়া এক্সপ্রেস, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, বলাকা কমিউটার, জামালপুর কমিউটার এবং ভাওয়াল এক্সপ্রেস।
ঢাকা থেকে সিলেট ট্রেনের সময়সূচী
ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ আন্তঃনগর ট্রেনের সময়সূচী
ট্রেনের নাম | ট্রেন নং | ছাড়ার সময় | আগমনের সময় | ছুটির দিন |
তিস্তা এক্সপ্রেস | ৭০৭ | সকাল ০৭:২০ | সকাল ১০:৩৫ | সোমবার |
ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস | ৭৪৩ | সন্ধ্যে ০৬:০০ | রাত ০৯:৩০ | নেই |
যমুনা এক্সপ্রেস | ৭৪৫ | বিকেল ০৪:৪০ | রাত ০৮:০০ | নেই |
হাওর এক্সপ্রেস | ৭৭৭ | রাত ১১:৫০ | রাত ০৩:৫০ | বৃহস্পতিবার |
অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস | ৭৩৫ | সকাল ০৯:৪০ | দুপুর ১২:৩৭ | নেই |
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস | ৭৮৯ | দুপুর ০২:২০ | রাত ০৮:১০ | সোমবার |
ট্রেনের নাম | ট্রেন নং | ছাড়ার সময় | আগমনের সময় |
দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার | ৪৮ | ভোর ০৫:৪০ | সকাল ১১:৪৫ |
জামালপুর কমিউটার | ৫২ | বিকেল ০৩:৪০ | সন্ধ্যে ০৬:১৫ |
ঈশা খাঁ এক্সপ্রেস | ৪৮ | সকাল ১১:৩০ | রাত ০৯:৪৫ |
মহুয়া এক্সপ্রেস | ৪৪ | সকাল ০৮:১০ | দুপুর ০২:৫০ |
ভাওয়াল এক্সপ্রেস | ৬৫ | রাত ০৯:০০ | ভোর ০৫:৪০ |
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী
তিস্তা এক্সপ্রেস:
তিস্তা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭০৭/৭০৮) হচ্ছে বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালিত একটি বিরতিহীন এবং দ্রুতগামী আন্তঃনগর ট্রেন। ট্রেনটি ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বাজার রেলস্টেশন পর্যন্ত যায়। ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন হলো তিস্তা এক্সপ্রেসের অন্যতম বিরতিস্থল। তাই এটি ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ ভ্রমণের জন্যে একটি জনপ্রিয় ট্রেন।
ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত ১২৩ কিলোমিটারের যাত্রাপথে তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি মাত্র ৩টি স্টেশনে বিরতি নেয়। বিরতিস্থলগুলো হলো: ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, জয়দেবপুর জংশন এবং গফরগাঁও রেলস্টেশন।
ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস:
ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৪৩/৭৪৪) হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালিত ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের একটি সন্ধ্যাকালীন আন্তঃনগর ট্রেন, যাতে খাবার ও ঘুমের ব্যবস্থা সহ একটি আধুনিক ট্রেনের স্বাভাবিক সকল সুযোগ-সুবিধা রয়েছে।
ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ময়মনসিংহ রেলস্টেশনে পৌঁছা পর্যন্ত পথিমধ্যে মাত্র ৩টি স্টেশনে এবং এর উল্টোপথে মাত্র ২টি স্টেশনে বিরতি নেয়। এই বিরতিস্থলগুলো হলো: ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, জয়দেবপুর জংশন (কেবল ৭৪৩-এর জন্য), এবং গফরগাঁও রেলস্টেশন।
যমুনা এক্সপ্রেস:
যমুনা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৪৫/৭৪৬) হচ্ছে ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে জামালপুরের তারাকান্দি রেলস্টেশন পর্যন্ত চলাচলকারী একটি আধুনিক আন্তঃনগর ট্রেন। ট্রেনটি ময়মনসিংহ জংশনে থেমে যাত্রী বদল করে। ফলে ঢাকা ও ময়মনসিংহের মধ্যে যাতায়াতকারী যাত্রীরা ট্রেনটি ব্যবহার করতে পারেন। ঢাকা কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে যাওয়ার পথে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন ৪টি স্টেশনে থামে। বিরতিস্থলগুলো হলো: ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশন, জয়দেবপুর জংশন, শ্রীপুর এবং গফরগাঁও রেলস্টেশন।
হাওর এক্সপ্রেস:
হাওর এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৭৭/৭৭৮) হলো রাজধানী ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ রেলস্টেশন পর্যন্ত চলাচলকারী একটি আন্তঃনগর ট্রেন। ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে ৩টি স্টেশনে হাওর এক্সপ্রেস ট্রেন থামে। বিরতিস্থলগুলো হলো: ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন, জয়দেবপুর জংশন এবং গফরগাঁও রেলস্টেশন।
অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস:
অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৩৫/৭৩৬) হলো বাংলাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও দ্রুতগতির আন্তঃনগর ট্রেন, যা রাজধানী ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে জামালপুরের তারাকান্দি রেলস্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে। ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ময়মনসিংহ রেলস্টেশন পর্যন্ত যাত্রাপথে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস ট্রেনটি শুধু দু’টি স্থানে থামে। বিরতিস্থানগুলো হলো ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন এবং গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন।
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস:
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৮৯/৭৯০) হলো ঢাকা-ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা রুটে চলাচলকারী বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি আন্তঃনগর ট্রেন। ট্রেনটি ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ময়মনসিংহে পৌঁছে যাত্রীবদল করে, তারপর নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ রেলস্টেশনের উদ্দেশে ছুটে যায়। মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে ময়মনসিংহ রেলস্টেশন পর্যন্ত যাত্রাপথে মাত্র দু’টি স্থানে থামে। বিরতিস্থানগুলো হলো: ঢাকা বিমানবন্দর রেলওয়ে স্টেশন এবং গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশন।
ঢাকা-ময়মনসিংহ ট্রেনের টিকেট মূল্য
ঢাকা থেকে ময়মনসিংহগামী ট্রেনগুলোতেও বিভিন্ন শ্রেণীর আসন রয়েছে। নিম্নে ঢাকা টু ময়মনসিংহ ট্রেনের টিকিটের মূল্য তুলে ধরা হলো।
আসনের শ্রেণী | টিকেট মূল্য |
২য় শ্রেণী সাধারণ | ৩৫ টাকা |
২য় শ্রেণী মেইল | ৫০টাকা |
কমিউটার | ৬০টাকা |
সুলভ | ৭০টাকা |
শোভন | ১২০টাকা |
শোভন চেয়ার | ১৪০টাকা |
১ম শ্রেণী চেয়ার | ১৮৫ টাকা |
স্নিগ্ধা | ২৭১টাকা |
১ম শ্রেণী কেবিন | ২৮০টাকা |
এসি সিট | ৩২২টাকা |
এসি কেবিন | ৪৮৩টাকা |
বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেনের সময়সূচী
ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ ট্রেনের অনলাইন টিকিট বুকিং
ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ ট্রেনের টিকিট অনলাইন বুকিং হল টিকিট কেনা বা বুক করার অন্যতম সহজ উপায়। কাউন্টারে গিয়ে টিকিট কেনার পর্যাপ্ত সময় না থাকলে। আপনি সহজেই কিছু পদক্ষেপ অনুসরণ করতে পারেন এবং আপনার টিকিট কিনতে পারেন।
নির্দেশিকাটি এই-অনলাইনে ট্রেনের টিকেট বুকিং
পরিদর্শন ওয়েবসাইট (https://www.esheba.cnsbd.com/)
রেলওয়ে স্টেশন যোগাযোগ নম্বর
কমলাপুর স্টেশন মোবাইল নম্বর – 02-8315857, 02-9330522, 01843-220622, 01711691612
ঢাকা বিমানবন্দরের যোগাযোগ নম্বর – ০২-৮৯২৪২৩৯
ময়মমেইল ট্রেননসিংহ স্টেশন যোগাযোগ নম্বর – +88 01750-078696
অনলাইনে টিকেট কাটার নতুন নিয়ম
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।