New schedule of Panchagarh Express train
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন সময়সূচী
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, পঞ্চগড় থেকে ঢাকার পথে সংযোজিত বাংলাদেশের রেল পরিষেবা। এটি ২৬ মে ২০১৯ সালে উদ্বোধন হয়। এই ট্রেনটির ভ্রমণ দূরত্ব ৫২৬ কিলোমিটার। পঞ্চগড় থেকে ঢাকা যাত্রার ৫২৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটির গড় সময় লাগে ১০ ঘন্টা ৪৫ মিনিট । বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও দীর্ঘতম রেলপথ হচ্ছে ঢাকা টু পঞ্চগড় রেলপথ। এই দীর্ঘতম পথ দিয়ে চলাচল করে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন। বাংলাদেশ সীমান্তেই সর্ব উত্তরে পঞ্চগড় জেলা অবস্থিত। এই দূরবর্তী স্থান পঞ্চগড় থেকে ঢাকা পর্যন্ত নিয়মিত চলাচল করেছে এই ট্রেনটি।
একতা এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন সময়সূচী
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ১২ কোর্স বিশিষ্ট বাংলাদেশের রেলওয়ে অধীনে একটি বিলাসবহুল ট্রেন। এই ট্রেনের অভ্যন্তরে রয়েছে এসি কেবিন নন এসি কেবিন খাওয়ার কেন্টিন নামাজের জন্য আলাদা ব্যবস্থা। অন্যান্য প্রয়োজনীতার জন্য এক্সট্রা কেবিন। পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের নং (৭৯৯৩-৭৯৯৪)
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
ঢাকা টু খুলনা ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া তালিকা
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেন সপ্তাহের ৭ দিনই চলাচল করে। পঞ্চগড় এক্সপ্রেস টি ঢাকা থেকে পঞ্চগড় স্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে রাত ১০:৪৫ এ এবং পঞ্চগড় স্টেশন পৌঁছে সকাল ৮: ৫০ মিনিট। আবার পুনরায় ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয় দুপুর ১২ :৩০মিনিটে ও ঢাকা স্টেশন পৌঁছে রাত ৯ টা ৫৫ মিনিটে।
স্টেশনের নাম | ছাড়ার সমায় | পৌঁছার সময় | ছুটির দিন |
ঢাকা থেকে পঞ্চগড় | রাত ১০:৪৫মিনিট | সকাল ৮: ৫০ মিনিট | নেই |
পঞ্চগড় থেকে ঢাকা | দুপুর ১২ :৩০মিনিট | রাত ৯: ৫৫ মিনিট | নেই |
ঢাকা থেকে গফরগাঁও ট্রেনের সময়সূচী
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটির বিরতি স্টেশনের সময়সূচি সম্পর্কে জানতে পারবেন এখানে। পঞ্চগড় থেকে ঢাকা যাত্রাপথে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ৬ টি স্টেশনে বিরতি রাখেন । স্টেশনগুলোর নাম ও বিরতির সময় নিচের টেবিলে দেওয়া হল:
বিরতি স্টেশন নাম | ঢাকা থেকে (৭৯৩) | পঞ্চগড় থেকে (৭৯৪) |
বিমান বন্দর | রাত ১১টা ১২ মিনিটে | রাত ৯টা ২৫ মিনিটে |
সান্তাহার | রাত ০৪টা ১০ মিনিটে | বিকাল ৫টা ০৫ মিনিটে |
পার্বতীপুর | ভোর ০৫টা ৫০ মিনিটে | বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে |
দিনাজপুর | সকাল ০৬টা ৩২ মিনিটে | দুপুর ২টা ২০ মিনিটে |
পীরগঞ্জ | সকাল ০৭টা ২১ মিনিটে | দুপুর ১টা৩৩ মিনিটে |
ঠাকুরগাঁও | সকাল ০৭টা ৪৭ মিনিটে | দুপুর ১টা০৭ মিনিটে |
ঢাকা থেকে সিলেট ট্রেনের সময়সূচী
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনে আপনি নতুন হয়ে থাকলে ভাড়ার বিষয়টা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন অন্য সকল যানবাহনের থেকে ট্রেন ভ্রমণ খরচ অনেক অংশে কম। কম খরচে আনন্দদায়ক ভ্রমণের জন্য ট্রেনের বিকল্প নেই। পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ৪ ধরনের আসন রয়েছে। আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। আসন বিভাগ ও টিকিটের মূল্য নিচে দেওয়া হল:
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
শোভন চেয়ার | ৫৫০ টাকা |
প্রথম সিট | ১০৩৫ টাকা |
এসি সিট | ১২৬০ টাকা |
এসি বার্থ | ১৮৯২ টাকা |
অনলাইনে টিকেট কাটার নিয়ম
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।
সাম্প্রতিক মন্তব্য
#নুর ইসলাম
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস এখন কোথায়