northern pig-tailed macaque
উল্টোলেজি বানর হচ্ছে ম্যাকাক গণের একটি বানর প্রজাতি। এরা কুলু বান্দর, শুকরলেজি বানর, ছোটলেজি বানর, উলু বান্দর, সিংহ বানর, সিঙ্গা বানর প্রভৃতি নামেও পরিচিত।
ইংরেজি নাম: northern pig-tailed macaque, Pig-tailed Macaque, Burmese Pig-tailed Macaque
বৈজ্ঞানিক নাম: Macaca leonina
বর্ণনাঃ
কুলু বানর দৈর্ঘ্যে ৪০ থেকে ৬০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়। এদের লেজের রং সোনালি এবং ১৮ থেকে ২৫ সেন্টিমিটার দীর্ঘ। দেহ হালকা বাদামি রঙের। পিঠের রঙ হালকা সোনালী থেকে বাদামি। মাথার মাঝখানে চ্যাপ্টা ও কালচে। দেহের উপরের অংশ জলপাই ধূসর, নিচের অংশ ধূসর সাদা। এ দলের প্রধান পুরুষ বানরের রয়েছে সিংহের মতো কেশর।
স্বভাবঃ
এরা দিবাচর, বৃক্ষবাসী ও ভূমিচারী। শক্তসমর্থ পুরুষের নেতৃত্বে স্ত্রী, পুরুষ ও বাচ্চা মিলে ৫-২৫টির দলে বাস করে। পুরুষ বেশ রাগী; কাউকে ভয় দেখানোর জন্য দাঁত-মুখ খিঁচিয়ে ভেংচি কাটে। নিজেদের মধ্যে বেশ মারামারি করে। স্ত্রী বানর তুলনামূলকভাবে শান্ত। ফল, মূল, কচি পাতা, কুঁড়ি, কীটপতঙ্গ, কাঁকড়া, পাখির বাচ্চা ইত্যাদি খায়। খাদ্যাভাবে কখনো কখনো শস্য খেতেও হানা দেয়। এদের গলার স্বর কর্কশ, কাশির মতো ‘খক-খক-খক-খক’ আওয়াজ করে।
প্রজননঃ
উল্টোলেজি বানর সারা বছরই প্রজনন করতে পারে; তবে মার্চ-জুনেই বেশি করে। স্ত্রী ১৬২-১৮৬ দিন গর্ভধারণের পর সচরাচর একটি বাচ্চার জন্ম দেয়। বাচ্চারা এক বছর বয়সে দুধ ছাড়ে এবং তিন-চার বছরে বয়ঃপ্রাপ্ত হয়। এরা ১০-১২ বছর বাঁচে।
খাদ্য তালিকাঃ
ফল, শস্য, গাছের কচিপাতা, পাখির ডিম, কীট-পতঙ্গ ইত্যাদি কুলু বানরের প্রধান খাদ্য।
বিস্তৃতিঃ
উল্টোলেজি বানর সাধারণত নিচু এলাকার প্রাথমিক ও মাঝারি গড়নের বন এবং উপকূল, জলা ও পাহাড়ি বনে দেখা যায়। বাংলাদেশে এরা সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের মিশ্র চিরসবুজ বনে বসবাস করে।
অবস্থাঃ
উল্টোলেজি বানর আইইউসিএন লাল তালিকায় সংকটাপন্ন প্রজাতি হিসেবে বিবেচিত, দক্ষিণ এশিয়ায় বিপন্ন এবং বাংলাদেশে মহাবিপন্ন হিসেবে অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।
তথ্যসূত্র:উইকিপিডিয়া