Masked palm civet
মুখোশধারী গন্ধগোকুল বা হিমালয়ী বাঘডাশ বা হিমালয়ের গন্ধগোকুল হচ্ছে ভিভেরিডি পরিবারের পগুমা গণের একটি মাঝারি আকারের গন্ধগোকুল জাতীয় প্রাণী।
ইংরেজি নাম: Masked Palm Civet
বৈজ্ঞানিক নাম: Paguma larvata
বর্ণনাঃ
মুখোশধারী গন্ধগোকুল এর পশম ধূসর,মাথা কালো, কাঁধ এবং ঘাড় এবং লেজ ও পায়ে কালো বাদামী দাগ রয়েছে। এর কপালে সাদা দাগ আছে; চোখের উপরে এবং নীচে সাদা দাগ কান পর্যন্ত। মুখোশধারী গন্ধগোকুল একটি মাঝারি আকারের প্রজাতি। এদের মুখে মুখোশ ছাড়া পার্থক্য করার মতো কোনো বৈশিষ্ট্য থাকে না এবং এজন্য এদের এরকম নামকরণ করা হয়েছে। এদের লেজে বলয় নেই এবং অন্যান্য গন্ধগোকুলের মতো পুরো দেহে কোনো তিলা বা ডোরা থাকে না। এই প্রজাতির গন্ধগোকুলের মাথাসহ দেহের দৈর্ঘ্য ৭৬ সেমি, লেজ ৬৪ সেমি। এদের ওজনে তারতম্য থাকে এবং ওজন প্রায় ৩.৬-৬ কেজি হয়ে থাকে।
স্বভাবঃ
মুখোশধারী গন্ধগোকুল হল একটি নিশাচর নির্জন শিকারী যেটি দিনে মাঝে মাঝে সক্রিয় থাকে।
প্রজননঃ
প্রতি বছর ২ বার বাচ্চা দেয়। প্রতি বারে ২-৪ টা বাচ্চা জন্ম দেয়। এরা বন্দি অবস্থায় ১৫ বছর পযর্ন্ত বাচেঁ।
খাদ্য তালিকাঃ
মুখোশধারী গন্ধগোকুল ইঁদুর,ডুমুর, আম, কলা এবং ফল খায়। সাপ এবং ব্যাঙও খায়।
বিস্তৃতিঃ
মুখোশধারী গন্ধগোকুল বাংলাদেশ ছাড়াও ভুটান, বাংলাদেশ, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, উপদ্বীপ মালয়েশিয়া, লাওস, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম থেকে চীন, বোর্নিও, সুমাত্রা, তাইওয়ান এবং আন্দামান জুড়ে পূর্বদিকে ভারতীয় উপমহাদেশের উত্তর অংশ বিশেষ করে হিমালয়ে পাওয়া যায়।
অবস্থাঃ
এটি ২০০৮ সাল থেকে আইইউসি এ প্রজাতিটিকে লাল তালিকাভুক্ত করেছে। কারণ এটি অনেক সংরক্ষিত এলাকায় দেখা যায়, কিছু পরিমাণ আবাসস্থল পরিবর্তনের প্রতি সহনশীল, এবং ব্যাপকভাবে অনুমিত বৃহৎ জনসংখ্যার সাথে বিতরণ করা হয়েছে যা হ্রাস পাওয়ার সম্ভাবনা নেই। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের রক্ষিত বন্যপ্রাণীর তালিকার তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।