Assam macaque
আসামি বানর বা আসাম বানর হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার ম্যাকাকু গণের একটি বানর প্রজাতি।
ইংরেজি নাম: Assam macaque
বৈজ্ঞানিক নাম:Macaca assamensis
বর্ণনাঃ
আসামি বানর দেখতে অনেকটা রিসাস বানরের মতো, তবে আকারে বড়। দেহের মাপ ৬১ সেন্টিমিটার, লেজ ২৯ সেন্টিমিটার। মুখ বেশ বড়, লম্বাটে। মুখের পশমের রং বাদামি ছাই রঙের। পুরুষগুলোর গালে দাড়ির মতো বড় লোম গজায়। বুকের পশম সাদাটে, বাকি দেহের রং মরচে বাদামি অথবা হালকা বাদামি (উপপ্রজাতিভেদে)। রিসাস বানরের মতো এদের পশ্চাৎদেশে ও উরুতে লালচে কমলা রঙের পশম দেখা যায় না। ওজন ১২ কেজি।
স্বভাবঃ
আসামি বানর দেখতে অনেকটা রিসাস বানরের কাছাঁকাছি। এরা নিজেদের দলে বসবাস করে; তবে পুরোপুরি জংলি প্রাণী। রিসাস বানরের মতো শহর, গ্রাম পছন্দ করে না। গরমের সময় এরা পাহাড়ের ওপরে উঠে যায়, শীতে সমতলে নেমে আসে। নিরুপদ্রব জঙ্গলে ১০ থেকে ১০০টি বানর কাছাঁকাছি দল বেঁধে চলে। হিমালয়ান আসামি বানর আকারে বড়। এদের লেজও অপেক্ষাকৃত লম্বা। আসাম, বাংলাদেশ, মিয়ানমারে পাওয়া আসামি বানরের লেজ ছোট। সুন্দরবনে আসামি বানর দেখা যায় - কথাটি অনেকেই বলে থাকেন। আসলে সুন্দরবনে রিসাস বানর ছাড়া আর কোনো ধরনের বানর নেই। আসামি বানর দেখতে রিসাস বানরের মতো হওয়ায় এমন বিভ্রান্তি। দলেবলে চলার সময় এরা গলাখাকারির শব্দের মতো শব্দ করে পরস্পরের অবস্থান বুঝে নেয়, বিপদ জানায়।
খাদ্য তালিকাঃ
এরা পোকামাকড়, ফল, পাকুড়, তরিতরকারি খায়।
বিস্তৃতিঃ
বাংলাদেশের রেমা-কালেঙ্গা, সাতছড়ি, পাবলাখালীর বনে এখনো এদের দেখা পাওয়া যায়। আসাম, নেপাল, মিয়ানমারেও দেখা যায়।
অবস্থাঃ
আসামের বানর আমাদের বাংলাদেশে বিলুপ্তপ্রায় এবং বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী। বর্তমানে আসামি বানর আইইউসিএন লাল তালিকায় প্রায়-বিপদগ্রস্ত হিসেবে অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।