stump-tailed macaque
খাটোলেজি বানর বা ছোটলেজী বানর হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার ম্যাকাক গণের একটি বানর প্রজাতি।
ইংরেজি নাম: stump-tailed macaque বা bear macaque
বৈজ্ঞানিক নাম: Macaca arctoides
বর্ণনাঃ
প্রাপ্তবয়স্ক খাটোলেজি বানরের দেহের দৈর্ঘ্য ৪৮.৫-৬৫ সেন্টিমিটার ও লেজ ৩.২-৬.৯ সেন্টিমিটার; ওজন ৭.৫-১০.২ কেজি। মুখমণ্ডল উজ্জ্বল গোলাপি বা লাল, যা বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাঢ় হয়ে প্রায় কালো রং ধারণ করে। এ ছাড়া সূর্যের আলোতেও কালো হতে পারে। লম্বা, ঘন ও গাঢ় বাদামি লোমে পুরো দেহ আবৃত থাকে, তবে মুখমণ্ডল ও খাটো লেজটি লোমশূন্য থাকে। সদ্য জন্মানো বাচ্চার রং সাদা; বয়স বাড়ার সঙ্গে যা গাঢ় হয়ে যায়। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের দাড়ি থাকে।
স্বভাবঃ
খাটোলেজি বানর বিভিন্ন ধরনের বনে বাস করে এবং কদাচিৎ মানব বসতির ধারে থাকে।। মাঝে মাঝে জুম ক্ষেতে দেখা যায়, কিন্তু গহীন বনে থাকতে পছন্দ করে। আর্দ্র ও মিশ্র চিরসবুজ বনের গহিনে বাস করে। দিবাচর, বৃক্ষবাসী ও ভূমিচারী এই বানরগুলো লাজুক হলেও ভীতু নয় মোটেও। এরা পুরুষ, স্ত্রী, বাচ্চাসহ ৫ থেকে ৬০টির দলে বাস করে।
প্রজননঃ
অক্টোবর থেকে নভেম্বরে প্রজনন করে। স্ত্রী বানর চার বছর বয়সে প্রজনন উপযোগী হয় ও প্রায় ১৭৭ দিন গর্ভধারণের পর একটি বাচ্চা প্রসব করে। স্ত্রী বানর ১৭ বছর বয়স পর্যন্ত প্রজননক্ষম থাকে। যদিও প্রকৃতিতে এদের আয়ুস্কাল ১০-১২ বছর, তবে আবদ্ধাবস্থায় ৩০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
খাদ্য তালিকাঃ
ফলখেকো হলেও বীজ, ফুল, পাতা, শিকড়, মিঠাপানির কাঁকড়া, ব্যাঙ, পাখি, পাখির ডিম, কীটপতঙ্গ ইত্যাদি খায়।
বিস্তৃতিঃ
বাংলাদেশ ছাড়াও এরা ভারতের সাত রাজ্য (আসাম, অরুণাচল, মেঘালয়, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড, মণিপুর ও মিজোরাম), মিয়ানমার, চীন, লাওস, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় বাস করে। যদিও চার যুগের বেশি সময় ধরে এদের এদেশে দেখা যায়নি।
অবস্থাঃ
খাটোলেজি বানর আইইউসিএন লাল তালিকায় সংকটাপন্ন হিসেবে অন্তর্ভুক্তি ঘটেছে। বাংলাদেশের ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনের তফসিল-১ অনুযায়ী এ প্রজাতিটি সংরক্ষিত।
তথ্য সূত্র: সমকাল