টিউলিপ সিদ্দিকী -Tulip Siddiqui
বাবার নাম: শফিক আহমেদ সিদ্দিক
মায়ের নাম: শেখ রেহানা
জন্ম: ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৮২
ধর্ম: ইসলাম
জন্মস্থান: মিশাম, লন্ডন, ইংল্যান্ড
বর্তমান বয়স: ৩৯
দাম্পত্য সঙ্গী: ক্রিশ্চিয়ান পার্সি (২০১৩–বর্তমান)
সন্তান: এক ছেলে ও এক মেয়ে
টুইটার: twitter.com
ওয়েবসাইট: tulipsiddiq.com
জন্ম
টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিক ১৯৮২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর লন্ডনের সেন্ট হেলিয়ার হাসপাতালে জন্মগ্রহণ করেন। ব্রিটেনের লেবার পার্টি এমপি, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি, বিশ্বশান্তির অগ্রদূত, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার, গণতন্ত্রের মানসকন্যা, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ভগ্নিকন্যা ও শেখ রেহানার বড় কন্যা।
শিক্ষা জীবন
তার শৈশব কেটেছে বাংলাদেশ, ব্রুনাই, ভারত, সিঙ্গাপুর ও স্পেনে। ১৯৯৮ সালে ১৫ বছর বয়সে তিনি উত্তর লন্ডনে আসেন এবং এ লেভেল করেন। এরপর তিনি ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডন থেকে ইংরেজি সাহিত্যে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি ও লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি লন্ডনের কিংস কলেজ থেকে রাজনীতি, নীতি ও সরকারবিষয়ে দ্বিতীয় মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। শৈশবেই দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা নেলসন মেন্ডেলার সঙ্গে সাক্ষাৎলাভের ও যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউসে অতিথি হওয়ার সুযোগ হয়েছে তার।
রাজনৈতিক জীবন
মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি লেবার পার্টিতে যোগ দেন। তিনি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, গ্রেটার লন্ডন অথরিটি, ফিলিপ গোল্ড অ্যাসোসিয়েট, সেভ দ্য চিলড্রেন ছাড়াও ব্রিটিশ এমপি ওনা কিং, সাদিক খান ও হ্যারি কোহেনের সঙ্গে কাজ করেছেন। টিউলিপ বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন। ২০০৮ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বারাক ওবামার পক্ষে প্রচারণা চালান। ২০১০ সালের মে মাসে টিউলিপ সিদ্দিক ক্যামডেন কাউন্সিল নির্বাচনে প্রথম বাঙালি নারী প্রার্থী হিসেবে কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
ব্রিটেনের ৫৬ তম সাধারণ নির্বাচনে হ্যাম্পস্টিড ও কিলবার্ন আসন থেকে এমপি পদে বিজয়ী হয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাতনি, শেখ রেহানা ও শফিক সিদ্দিকীর জ্যেষ্ঠ কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি টিউলিপ। ২০১৫ সালের নির্বাচনে টিউলিপের জয়ের ব্যবধান ছিল এক হাজার ১৩৮ ভোট। ৭ মে ১ হাজার ১৩৮ ভোটের ব্যবধানে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির প্রার্থীকে পরাজিত করে বিজয়ী হয়েছিলেন টিউলিপ। টিউলিপ সিদ্দিকী পেয়েছিলেন ২৩ হাজার ৯৭৭ ভোট। আর কনজারভেটিভ পার্টির সায়মন মার্কাস পেয়েছেন ২২ হাজার ৮৩৯ ভোট। দুইবছর পর ২০১৭ সালে টিউলিপ সিদ্দিক আবারও জিতলেন যুক্তরাজ্যে। এবার ভোটের ব্যবধান বেড়েছে দশগুণেরও বেশি। লন্ডনের হ্যাম্পস্টেড অ্যান্ড কিলবার্ন আসন থেকে লেবার পার্র্টির প্রার্থী টিউলিপ পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৪৬৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কনজারভেটিভ দলের প্রার্থী ক্লেয়ার লুইচ লিল্যান্ড পেয়েছেন টিউলিপের অর্ধেক ভোট। তার পক্ষে রায় দিয়েছেন মাত্র ১৮ হাজার ৯০৪ জন।
২০১৫ সালে টিউলিপ ব্রিটিশ লেবার পার্টির ছায়া মন্ত্রিপরিষদে সংস্কৃতি, গণমাধ্যম ও ক্রীড়া বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী হন। ২০১৭ সালে ব্রিটেনের লেবার পার্টির ছায়া শিক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর নাতনি টিউলিপ সিদ্দিক এমপি।
ব্যক্তিগত জীবন
স্বামী ক্রিস পার্সির সঙ্গে টিউলিপ সিদ্দিক লন্ডনে বসবাস করেন। এই দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়ে আজালিয়া জয় পার্সির ও রাফায়েল মুজিব সেন্ট জন পার্সি।