বর্মী কাঠঠোকরা-Common flameback
বর্মী কাঠঠোকরা বা পাতি কাঠঠোকরা Picidae পরিবারের Dinopium গণের একটি পাখি। পাখিটি পাতি কাঠঠোকরা নামেও পরিচিত। বর্মী কাঠঠোকরা ছয়টি উপ-প্রজাতি রয়েছে। যথা- D. j. javanense D. j. malabaricum D. j. intermedium D. j. borneonense D. j. raveni D. j. exsul
ইংরেজি নাম: Common flameback
বৈজ্ঞানিক নাম: Dinopium javanense
বর্ণনাঃ
বর্মী কাঠঠোকরা দৈর্ঘ্য ২৮-৩২ সেমি (১১-১২.৬ ইঞ্চি) লম্বা। ওজন প্রায় ৬৭-১০০ গ্রাম। পাখিটির ডানার পালক উজ্জ্বল সোনালি বর্ণের এবং লম্বা। বুকের পালক কালো ও সাদা রঙের। পুরুষ ও স্ত্রীপাখির চেহারায় পার্থক্য তাদের ঝুটির রঙে: ছেলেপাখির ঝুটি উজ্জ্বল লাল ও মেয়েপাখির কালো ঝুটিতে সাদা বিন্দু।
স্বভাবঃ
বর্মী কাঠঠোকরা প্যারাবন, প্রশস্ত পাতার চিরসবুজ বন, আর্দ্রপাতাঝরা বন এবং গ্রামের বাগানে বিচরণ করে; একাকী, জোড়ায় বা র্যাকেট ফিঙেও অন্য পতঙ্গভুক পাখির মিশ্রদলে ঘুরে বেড়ায়। বনের নিচের স্তরে গাছেরডালে ঠুকরে খাবার সংগ্রহ করে।
প্রজননঃ
জানুয়ারি -মে মাসের প্রজনন ঋতুতে এরা নাকি সুরে ছোট্ট ডাক দেয়: উইকা উইকউইকা…; এবং প্রবেশ-পথ পাতা ঢাকাথাকে এমন আনুভূমিক ডালে গর্ত খুঁড়েডিম পাড়ে। ডিমগুলো সাদা, সংখ্যায় ২-৩টি, মাপ ২.৯×২.০ সেমি।
খাদ্য তালিকাঃ
খাদ্য তালিকায় রয়েছে পিঁপড়া ও অন্য পোকামাকড়।
বিস্তৃতিঃ
বর্মী কাঠঠোকরা পাখিটি বাংলাদেশ, ব্রুনাই, কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মালয়েশিয়া, মায়ানমার, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম অঞ্চলসমুহে পাওয়া যায়। এবং পাখিটি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনার বনাঞ্চলের দেখা যায়।
অবস্থাঃ
বিগত তিন প্রজন্ম ধরে এদের সংখ্যা কমেছে, তবে দুনিয়ায় এখন ১০,০০০-এর অধিক পূর্ণবয়স্ক পাখি আছে, তাই এখনও আশঙ্কাজনক পর্যায়ে এই প্রজাতি পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত (Least Concern LC) বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের ১৯৭৪ ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।