স্লেটমাথা টিয়া- Slaty-headed Parakeet
Slaty-headed Parakeet

স্লেটমাথা টিয়া- Slaty-headed Parakeet

স্লেটমাথা টিয়া সিট্টাকুলিডি (Psittaculidae) গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত সিট্টাকুলা (Psittacula) গণের এক প্রজাতির টিয়া। এরা মূলত দক্ষিণ এশিয়ার স্থানীয় পাখি। 

ইংরেজি নাম: Slaty-headed Parakeet বা Hodgson's Parakeet

বৈজ্ঞানিক নাম: Psittacula himalayana

বর্ণনাঃ

স্লেটমাথা টিয়ার স্ত্রী পুরুষ উভয় প্রজাতির মাথা স্লেট রঙের বা কালচে। মাথায় গাঢ় ধূসর অংশকে ঘিরে চিকন কালো দাগ থাকে। পিঠের দিক গাঢ় সবুজ ও পেটের দিক ক্রমশ হালকা। মাথার পেছনে অল্প একটু নীলচে-সবুজ অংশ দেখা যায়। লেজ মোটা ও লম্বা। লেজের গোড়ায় কিছু পালক সবুজ হয় এবং পরবর্তীতে ক্রমশ গাঢ় নীল বর্ণ ধারণ করে। লেজের ডগা হলুদ। স্ত্রী পাখির লেজের ডগা তুলনামূলকভাবে খাটো। উপরের ঠোঁট লাল, নিচের ঠোঁট সাদাটে-হলুদ। চোখের তারাও সাদাটে-হলুদ বা কালো। পুরুষের ডানার উপর গাঢ় খয়েরি বর্ণের পট্টি থাকে। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির মুখের দিকের পালক একটু সবজে-ধূসর, মাথার বাকি অংশের পালক ফ্যাকাসে সবুজ। ডানায় পট্টি থাকে না। চোখ ধূসর, ঠোঁট কমলা, লেজ খাটো। পূর্ণবয়স্ক স্লেটমাথা টিয়ার দৈর্ঘ্য কমবেশি ৪০ সেন্টিমিটার। ওজন ১২৫ গ্রাম।

স্বভাবঃ

এদের পাহাড়ী পত্রপতনশীল ও মিশ্র-চিরসবুজ বন বেশি প্রিয়। প্রজাতিটি সাধারণত ৪৬০-২৪০০ মিটার উচ্চতায় পাওয়া যায় তার প্রাকৃতিক আবাসস্থল উচ্চভূমি/পাহাড়ের বন এবং উপত্যকা বনভূমিতে। এদেরকে সাধারণত ছোট ঝাঁক বা পারিবারিক গোষ্ঠীতে দেখা যায়।

প্রজননঃ

সাধারণত মার্চ-মে মাসের মধ্যে প্রজনন করে। এই পাখিটি প্রায়শই কাঠঠোকরার পরিত্যক্ত বাসায় বাসা বাঁধে এবং এই প্রজাতিগুলি শিকারীদের বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য একে অপরের কাছাকাছি বাসা বাঁধে।মহিলারা সাধারণত ২৮.৫ x ২২ মিমি, আকারের ৪-৫টি ডিম পাড়ে। ডিম ফোটতে সময় লাগে প্রায় ২৩-২৪ দিন। এটি সাধারণত ১৫-১৭ বছর বাচেঁ।

খাদ্য তালিকাঃ

এদের খাদ্যতালিকায় রয়েছে বিভিন্ন ফল,বাদাম, পাইন বাদাম, বীজ।

বিস্তৃতিঃ

বাংলাদেশ ছাড়া ভারত, ভুটান, নেপাল, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান স্লেটমাথা টিয়ার প্রধান আবাসস্থল।

অবস্থাঃ

প্রায় ১ লক্ষ ৪৯ হাজার বর্গ কিলোমিটারএলাকা জুড়ে এদের আবাস। গত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমে যাচ্ছে। আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে Least Concern বা আশঙ্কাহীন বলে ঘোষণা করেছে। কালোমাথা টিয়ার সাথে স্লেটমাথা টিয়া অনেক মিল আর এ দুজনে মিলে একটি মহাপ্রজাতির (Super-species) সৃষ্টি করেছে।

সরুঠোঁট ডুবুরি হাঁস-Common merganser
পরজীবী জেগার-Parasitic jaeger
কালো মথুরা-Black Francolin
পাতি সোনাচোখ-Common goldeneye
মেঘহও মাছরাঙা-Stork-billed Kingfisher
ইউরেশীয় মেঠো-Eurasian wryneck
ম্লান নাকুটি-Pale Martin
সিঁদুরে সাহেলি-Scarlet Minivet
বাবুনাই পাখি-White-eye
শুঁটি রাজহাঁস-Taiga bean goose