সাইক্সের রাতচরা-Sykes's nightjar
Sindh nightjar

সাইক্সের রাতচরা-Sykes's nightjar

সাইক্সের রাতচরা হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার একটি রাতচরা। ছদ্মবেশী নিশাচর পাখিটির কোনো প্রচলিত বাংলা নাম নেই।

ইংরেজি নাম: Sykes's nightjar বা Sindh nightjar

বৈজ্ঞানিক নাম: Caprimulgus mahrattensis

বর্ণনাঃ

সাইক্সের রাতচরার দেহ ছিপছিপে। দৈর্ঘ্য ২৩ থেকে ২৪ সেন্টিমিটার। অন্যান্য রাতচরার চেয়ে তুলনামূলকভাবে লেজ খাটো। একনজরে পালকের রং ধূসর; তার ওপর বিভিন্ন আকার ও আকৃতির হালকা হলদে ও কালচে ছোপ থাকে। গলার দুপাশে সাদা ছোপ রয়েছে। উড়ন্ত অবস্থায় পুরুষ পাখির ডানা ও লেজের কোনায় গোলাকার সাদা ও স্ত্রীর ক্ষেত্রে হলদে ছোপ দেখা যায়। ঘাড়ে কোনো দাগ নেই। চঞ্চু বাদামি, যার আগা কালো। পা, পায়ের পাতা ও আঙুল ফ্যাকাশে।

স্বভাবঃ

পাখিটিকে এ দেশের শুষ্ক ও উন্মুক্ত এলাকায়, বিশেষ করে রাজশাহীর পদ্মার চরে দেখা যায়। নিশাচর ও ভূচারী পাখিটি দিনভর মাটিতে ঝরা পাতার ওপর বসে থাকে। অবশ্য অনেক সময় গাছেও বসে থাকতে দেখা যায়। সন্ধ্যা বা রাতে দ্রুততার সঙ্গে নরম সুরে ‘চুক চুক চুক’ স্বরে ডাকে।

প্রজননঃ

মার্চ থেকে মে প্রজননকাল। এ সময় ওরা পাকিস্তান ও উত্তর-পশ্চিম ভারতের শুষ্ক ও আধা মরুভূমি অঞ্চলে উন্মুক্ত মাঠে ডিম পাড়ে। ডিমের সংখ্যা ২, রং কালচে ছিটছোপসহ ধূসরাভ। আয়ুষ্কাল পাঁচ থেকে ছয় বছর।

খাদ্য তালিকাঃ

এদের খাদ্যতালিকায় রয়েছে পোকামাকড়, মথ ও গুবরে পোকা।

বিস্তৃতিঃ

বাংলাদেশ ছাড়াও দক্ষিণ এশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশগুলোয় দেখা মেলে।

অবস্থাঃ

বিগত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা ক্রমেই কমছে, তবে এখনও আশঙ্কাজনক পর্যায়ে যেয়ে পৌঁছেনি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে এই প্রজাতিটি সংরক্ষিত।

পোষা পাখির রোগ ও চিকিৎসা-Diseases and treatment of pet birds
মার্বেল হাঁস-Marbled duck
ধানি তুলিকা-Paddyfield pipit
উত্তুরে ল্যাঞ্জাহাঁস-Northern pintail
রাঙ্গামুড়ি-Red-crested pochard
দেশি মেটেধনেশ-Indian Grey Hornbill
ল্যাঞ্জা লাটোরা-Long-tailed Shrike
মদনটাক-Lesser Adjutant
তামাটে কাঠঠোকরা-Bay woodpecker
দাগিপাখ চুটকিলাটোরা-Bar-winged flycatcher-shrike