উলুমুল কুরআন-ulum al quran
প্রাথমিক যুগের মুসলমানরা শুধু কুরআনের বাণীর প্রচারের সাথেই যুক্ত ছিলেন না, বরং কুরআন অধ্যয়নের জন্য এবং কুরআনের ব্যাখ্যা ও আলোচনার জন্য বিশেষ বিষয়গত কাঠামো তৈরি করেন। পরবর্তীতে যা ‘উলুমুল কুরআন’ বা ‘কুরআন শাস্ত্র’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে।
কুরআনের যথার্থ অনুধাবনের জন্য আমার ক্ষুদ্র জ্ঞান থেকে বলতে পারি, তিনটি পর্যায় অতিক্রম করা প্রয়োজন।
প্রথমত, শোনা ও পড়ার মাধ্যমে কুরআনের বাণীর মূল নির্যাসের ধারণা গ্রহণ করা।
দ্বিতীয়ত, বিপুল অধ্যয়ন ও চিন্তাভাবনার মাধ্যমে কুরআনের বাণীর বিস্তারিত ও গভীরতর অর্থে পৌছার চেষ্টা করা।
এবং তৃতীয়ত, কুরআনের বাণী নিজের ব্যক্তিগত ও সামাজিক জীবনে প্রয়োগ করা।
উলুমুল কুরআনের জ্ঞান আমাদেরকে দ্বিতীয় স্তরে কুরআনের গভীরতর ও বিস্তারিত অর্থ অনুধাবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে সাহায্য করবে।
উলুমুল কুরআন কী?
সাধারনভাবে বলতে গেলে, রাসূল (সা.) এর উপর অবতীর্ণ কুরআন কারীমের যাবতীয় বিষয়াবলী নিয়েই ‘উলুমুল কুরআনে’র আলোচনা। কুরআনের নাযিল হওয়া, সংকলন, ক্রমবিন্যাস, লিপিবদ্ধকরণ, বিভিন্ন আয়াতের নাযিল হওয়ার কারন ও সময়, মাক্কী ও মাদানী আয়াতের প্রকারভেদ, আদেশ রহিত হওয়া আয়াতের আলোচনা, স্পষ্ট ও অস্পষ্ট আয়াতের জ্ঞান প্রভৃতি এখানে আলোচনা করা হয়।
এছাড়া উলুমুল কুরআনের অর্ন্তভুক্ত বিষয়াবলীর মধ্যে, রাসূল (সা.), তার সাহাবীগণ, পরবর্তী যুগের তাবেয়ী ও তাবে-তাবেয়ী এবং অন্যান্য তাফসীরকারকদের তাফসীর তথা ব্যাখ্যা, কুরআনের তাফসীর করার প্রক্রিয়া এবং বিভিন্ন তাফসীরকারক ও তাদের রচিত গ্রন্থসমূহ সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়।