চরফ্যাসনে সাঁকো থেকে পরে বুড়াগৌরঙ্গ নদীতে ডুবে শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর শাখা নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণের দাবীতে শোকাহত শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসী মানববন্ধন করেছে। আজ সোমবার দুপুরে রসুলপুর ইউনিয়নের ফরাজীরহাট এলাকায় বিদ্যালয় সংলগ্ন বাজারে এই মনববন্ধন করা হয়েছে।
জানাযায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়ে আসার পথে সাঁকো থেকে পরে নিখোঁজ হয় প্রাক প্রাথমিক শ্রেনীর শিক্ষার্থী সুরাইয়া বেগম। রোববার বিকালে নদীতে ভসমান অবস্থায় সুরাইয়ার মৃতদেহ উদ্ধর করা হয়। নিহত সুরাইয়া নজরুল নগর ইউনিয়নের চর আর কলমি গ্রামের দিনমুজুর সুমন মিয়ার মেয়ে। এক সপ্তাহ আগে পাশের গ্রামে ভাসানচরের ফরাজী হাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলো সুরাইয়া।
ফরাজীহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ফেরদাউস বেগম জানান, রসুলপুর ইউনিয়নের পশ্চিম সীমান্ত গ্রাম ভাসানচরে প্রাথমিক বিদ্যলয়টির পাশাপাশি একটি নিম্ম মাধ্যমিক বিদ্যালয় অবস্থিত । দুটি বিদ্যালয়ে প্রায় একহাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়রনরত আছে। শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ পশ্চিম পাশের নজরুল নগর ইউনিয়নের চর আরকলমী এবং রসুলপুরের ভাসানচর থেকে আসে। ভাসানচর এবং চর আরকলী গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত বুড়াগৌরঙ্গ নদী। নদীতে ব্রীজ না থাকায় শিক্ষার্থী ও গ্রামবাসীরা প্রায় ১২৫ ফুট দীর্ঘ এই সাঁকো দুুটি গ্রামের শিশু শিক্ষার্থীদের জন্য মরন ফাঁদ। যে ফাঁদে পড়ে জীবন দিয়েছে শিশু শিক্ষার্থী সুরাইয়া।
স্থানীয় রসুলপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য এমদাদুল হক মিঠু জানান, এই শাখা নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন দুটি গ্রামের ছেলে মেয়েদের শিক্ষার সুযোগ নিরাপদ করার জন্য বুড়াগৌরঙ্গ শাখা নদীর উপর ব্রীজ নির্মাণের বিকল্প নেই। শিশু শিক্ষার্থী সুরাইয়ার মৃত্যুর পর দুটি গ্রামের দুই থেকে তিনশত শিশুর স্কুলের যাওয়া আসা বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থা চলতে পারেনা।
প্রথম শ্রেণীর শিশু শিক্ষার্থী আনোয়ার , ইমাম হোসেন মিথিলরা জানান, সাঁেকা পাড় হতে গিয়ে প্রতিদিন কেউ না কেউ বই খাতা সহ নদীতে পরছে। সাঁতার জানারা উঠে আসতে পারলেও সাঁতার না জানা শিশুদের পথচারীর উদ্ধার করছে। উদ্ধার করার মতো কেউ না থাকলে হয় মৃত্যু। এইভাবে মৃত্যুর ঝুকি নিয়ে কেউই স্কুলে আসতে চায়। একটি ব্রীজ নির্মাণ করে শিশুদের নিরপদ স্কুল যাত্রা নিশ্চিত করার দাবী জানানো হয়েছে এই মানব বন্ধন থেকে।
চরফ্যাসন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো, রুহুল আমিন জানান, সাঁকো থেকে পরে শিক্ষার্থী নিখোঁজের বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। সোমবার আমি পরে জানতে পেরেছি। ওই শাখা নদীটির উপর একটি ব্রীজ নির্মাণের জন্য উধর্ধতন কর্তপক্ষকে অবগত করা হবে।