শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পালেরচর-বড়কান্দি-পূর্ব-নাওডোবা যাওয়ার নদী পথে একমাত্র পথ রূপবাবুর হাট এলাকার সুগন্ধা নদী (রূপবাবুর হাট নদী)। এতদিন এ নদী পারাপারের জন্য নৌকার অপেক্ষায় থাকা লাগতো। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। নদীটি পারাপারের জন্য নদীর ওপর প্রায় এক বছর ধরে কাজ করে বাঁশের সেতু নির্মাণ করেছেন, ওই ঘাটেরই নৌকার মাঝি মন্টু বাবু। বুধবার (৭ নভেম্বর ২০১৮ ইং) স্থানীয় এলাকাবাসী মন্টু বাবুর বাঁশের সেতুটি উদ্বোধন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, সমাজ সেবক লিটন আকন, কিনাই শেখ, মান্নান চৌকিদার, কালা মিয়া বেপারী, ইউছুব বেপারী, ছালাম আকন, মজিবর ভূইট্টা, নুরুল ইসলাম সিকদার, রব তালুকদার, শামীম চৌকিদার, দুদু মিয়া মাদবর, সৈকত আকন, পলাশ বাবু, মহন বাবু, রিপন বাবু, শ্রীচরন বাবু, লক্ষণ বাবু প্রমূখ।
এ ব্যাপারে পূর্ব-নাওডোবা ইউনিয়নের মহর আলী সিকদার কান্দি গ্রামের মন্টু বাবু জানান, রূপবাবুর হাট এলাকায় সুগন্ধা নদীর ওই ঘাটে প্রায় ২৫ বছর যাবৎ নৌকায় মানুষ পারাপার করেন তিনি। তার বাবা কুটি বাবু ও দাদা রবি দাস বাবুও একই কাজ করতেন। পালেরচর-বড়কান্দি-পূর্ব-নাওডোবা এই ৩ ইউনিয়নের ৩০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে একটি সেতুর অভাবে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। অনেক চেষ্টা করেও এখানে একটি সেতু নির্মাণে সরকারি কোনো সহযোগিতা পাননি এলাকাবাসী। তাই এলাকার মানুষের কথা ভেবে নিজ উদ্যোগে প্রায় আধা কিলো দীর্ঘ বাঁশের এই সেতুটি নির্মাণ করেছেন তিনি। তিনি আরও জানান, কাঠের সেতুটি নির্মাণ করতে প্রায় এক বছর সময় লেগেছে তার। খরচ হয়েছে বাঁশ ছাড়া ও ড্রাম সহ নগদ প্রায় ৫ লাখ টাকা। তবে তিনি এই কাজটি করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছেন। আর তিনি এই স্থানে সরকারি ভাবে একটি ব্রীজের প্রত্যাশা করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা লিটন আকন জানান, রূপবাবুর হাট এলাকায় সুগন্ধা নদীর ওপরে অনেকেই ব্রিজ করে দেবে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু আজও পর্যন্ত ব্রিজ নির্মাণ হয়নি। তবে মন্টু বাবু বাশের সেতুটি তৈরি করে বুঝিয়ে দিলো ইচ্ছা থাকলে অনেক কিছু করা সম্ভব। আর সেতুটি নির্মাণ করায় এলাকার মানুষের অনেক উপকার সহ পালেরচর, বড়কান্দি, পূর্ব-নাওডোবা ও পশ্চিম-নাওডোবা ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে সেতু বন্ধন হয়েছে বলেও জানান তিনি। এছাড়াও তিনি এই স্থানে সরকারি ভাবে একটি ব্রিজের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করছেন