আমতলীতে এক শিশুকে ধর্ষন চেষ্টা, গ্রেফতার-১
ফাইল ফটো

আমতলীতে এক শিশুকে (১৪) ধর্ষন করার চেষ্টা করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ৩ সন্তানের জনক কালাম মুন্সী (৪৫) গ্রেফতার করেছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত কালাম মুন্সীকে গ্রেফতার করেছে।

জানাগেছে, শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার উত্তর রাওঘা গ্রামে ভিকটিমের বসত ঘরে রাত সারে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ভিকটিম শিশুটির মা বাড়ীতে ছিলেন না। তার বাবা ও ছোট এক ভাই ছিল। রাতে বাবা মাছ ধরতে বাড়ির বাহিরে গেলে মেয়েটি তার ছোট ভাইকে নিয়ে বাড়ীতে অবস্থান করে। এ সুযোগে তিন সন্তানের জনক কালাম মুন্সী তার বাড়ীর পাশ্ববর্তী ঘরের শিশুটির সাথে লুডু খেলতে যায়। লুডু খেলার মধ্যে ছোট ভাইটি ঘুমিয়ে পড়ে।

এ সময় ভিকটিম শিশুটির পেটে ব্যথা অনুভূত হয়। ব্যথার কথা কালামকে জানালে শিশুটিকে তৈল পড়ে জামা সরিয়ে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মালিশ করাতে থাকে। মালিশ করার এক পর্যায়ে কালাম শিশুটিকে ঝাঁপটে ধরে ধর্ষনের চেষ্টা চালায়। এ সময় শিশুটি ডাক চিৎকার শুরু করলে এলাকাবাসী জড়ো হয়। তখন কালাম দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। শিশুটি সবাইকে ঘটনা খুলে বলে। পরের দিন (শনিবার) সকালে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ সিদ্দিকুর রহমানের কাছে শিশুটির বাবা এ ঘটনা জানালে তিনি কালাম মুন্সীকে ডেকে শালিস বৈঠকের কথা বলে। এ সংবাদ শুনে আমতলী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইউপি সদস্যসহ আসামী ও ভিকটিমকে আমতলী থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের কাছে ভিকটিম সকল ঘটনা খুলে বলে জবানবন্দি দেয়। শনিবার সন্ধ্যার পরে ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে কালাম মুন্সীকে আসামী করে আমতলী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ৯(৪) (খ) ধারায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করেন। রবিবার পুলিশ আসামী কালাম মুন্সীকে আমতলী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ সাকিব হোসেন তাকে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।

ভিকটিম কিশোরী বলেন রাতে কালাম মুন্সী আমার সাথে লুডু খেলার সময় আমার পেটে ব্যথা শুরু হয়। তিনি আমার পেটের ব্যথার কথা শুনে তৈল আনতে বলে। আমি তৈল এনে দিলে তিনি তা পড়ে আমার শরীরের জামা খুলে তা মালিশ করতে থাকে। এক পর্যায়ে আমার সাথে খারাপ কাজ করার জন্য জোড়াজুড়ি করতে থাকে। আমি তখন ডাক চিৎকার দিতে থাকি। তখন সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমি এর বিচার চাই।

ইউপি সদস্য মোঃ সিদ্দিকুর রহমান বলেন ঘটনা শুনে আমি উভয় পক্ষকে ডেকে আনি। এ সময় সংবাদ পেয়ে আমতলী থানার পুলিশ আসলে আমি আসামী ও ভিকটিমকে তাদের হাতে তুলে দেই।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আমতলী থানার এসআই নাসরিন সুলতানা জানান, আসামীকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমকে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয়ার জন্য বিজ্ঞ বিচারকের কাছে আনা হয়েছে।

ভিকটিমের বাবা বলেন আমি দিনে রিক্্রা ও রাতে মাছ ধরে সংসার চালাই। ঘটনার দিন রাতে আমি ও আমার স্ত্রী বাড়ীতে ছিলাম না। এ সুযোগে আমার পাশের ঘরের কালাম মুন্সী আমার মেয়ের পেট ব্যথার জন্য তৈল মালিশের কথা বলে কালাম মুন্সী আমার মেয়েকে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। আমার কাছে তার প্রমাণ আছে।  

আমতলী থানার ওসি মোঃ আবুল বাশার বলেন ভিকটিমের জবানবন্দি অনুযায়ী অভিযুক্ত কালাম মুন্সীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

আগামী কাল চরফ্যাসন আসছেন স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী
চরফ্যাসনের দুলারহাটে কিশোরীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার
মায়ের গর্ভের সন্তান নষ্ট না করায় ছেলের মারধরে আহত আকলিমা
চরফ্যাসনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত
চরফ্যাসনে প্রবাসীর স্ত্রীর পরকীয়া নিয়ে তোলপাড়
খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল
চরফ্যাসনে যৌতুকের দাবিতে স্বামীর নির্যাতনে গৃহবধূ হাসপাতালে
তালতলীর রাখাইন নারী পেল বিভাগে সেরা জয়িতা সম্মাননা
শরিফুল আলম সোয়েব রহিমা ইসলাম কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিযুক্ত
চরফ্যাসনে মাছ ধরা সামুদ্রিক ট্রলার আটক, জরিমানা