বাংলাদেশের সেরা রোমান্টিক মুভি- best romantic movie of Bangladesh
romantic movies of Bangladesh

বাংলাদেশের সেরা ১৫টি রোমান্টিক মুভি- Top 15 romantic movies of Bangladesh

অসংখ্য ভালোবাসার সিনেমা আলো ছড়িয়েছে ঢালিউডে। সে তালিকা থেকে সেরা ছবি বাছাই করা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তবু ভালোবাসা দিবসে আলোচিত ও ব্যবসা সফল কিছু সিনেমা নিয়ে এই আয়োজন রইলো জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য-

১.অবুঝ মন-Obujh Mon

‘শুধু গান গেয়েই পরিচয়’ জনপ্রিয় এই গানটি কাজী জহিরের ‘অবুঝ মন’ সিনেমার। ১৯৭২ সালে মুক্তি পাওয়া ছবিটির এই গান তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। ছবির প্রধান দুইটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন রাজ্জাক ও শাবানা। এছাড়াও কয়েকটি গুরুপ্তপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন সুজাতা, শওকত আকবর, নারায়ন চক্রবর্তী, খান জয়নুল, সাইফুদ্দিন ও হাসমত। আজও এই গানে মুগ্ধতা ছড়ায়। এক প্রেমযুগলের পরিচিতি পর্বের আকুতি মাখা গানটি ‘অবুঝ মন’ ছবিকে দিয়েছিলো রোমান্টিক ছবির জনপ্রিয়তা।

পাশাপাশি দুই ধর্মে বিভক্ত তরুণ তরুণীর উৎকণ্ঠা আর শঙ্কা মাখা রোমান্সে ভরা সংলাপ ছবিটিকে অনন্য করে তুলেছে। আজ রাজ্জাক-শাবানা জুটি নিয়ে কথা বলতে গেলে এই ছবিটি তাদের সেরা বলে দাবি করেন অনেকে। বলে রাখা ভালো, মুক্তিযুদ্ধের পর ‘অবুঝ মন’ ছবিটিকেই স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র হিসেবে ধরা হয়।

২.সুজন সখি-Sujon Sokhi

গ্রামের যুবক-যুবতীর সাদামাটা এক প্রেমের কাহিনী নিয়ে নির্মিত ছবি ‘সুজন সখী’। কিন্তু মিষ্টি প্রেমের কিছু রোমান্টিক সংলাপ ও গান দিয়ে এটি হয়ে উঠেছিলো দর্শকের কাছে ভালোবাসার প্রিয় ছবি। মুক্তির প্রায় এক যুগ অবধি এই ছবিটি বাংলা ইন্ডাস্ট্রির সেরা ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে অধিষ্ঠিত ছিলো।

নায়ক ফারুকের ভাষায়, ‘সুজন সখী’র ‘সব সখীরে পার করিতে নিবো আনা আনা’ গানে গানে এই দেশে অনেক যুবক তার সখীকে খুঁজে নিয়েছে। সফল জুটি ফারুক-কবরীর এই ছবিটি সময়ের স্রোতে ঠাঁই করে নিয়েছে সেরা রোমান্টিক সিনেমার তালিকাতে।

১৯৭৫ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবির কাহিনী, সংগীত, প্রযোজনা করেছেন খান আতাউর রহমান। পরবর্তীতে এই ছবিটি রিমেক করা হয়। সেখানে ফারুকের সুজন চরিত্রে অভিনয় করেন সালমান শাহ ও কবরীর সখী চরিত্রে দেখা যায় শাবনূরকে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এই ছবিটিও তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।

৩.ঘুড্ডি-Ghuddi

‘চলো না ঘুরে আসি অজানাতে/ যেখানে নদী এসে মিশে গেছে’- এই গান কার না মন ছুঁয়ে গেছে! প্রেমে-তারুণ্যের উচ্ছ্বাস মাখা দুর্দান্ত এই গানটি ১৯৮০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘ঘুড্ডি’ সিনেমার। ছবিটি বাংলা সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম এক প্রেমের ছবি হিসেবে সমাদৃত।

প্রথা ভাঙা প্রেমের গল্পে ভিন্ন চোখের এক নির্মাণ এই ‘ঘুড্ডি’। সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী নির্মিত এই চলচ্চিত্রে জুটি হয়ে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছিলেন রাইসুল ইসলাম আসাদ ও সুবর্ণা মুস্তাফা। দর্শকপ্রিয়তার পাশাপাশি ছবিটি একাধিক শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করেছিল।

৪.দেবদাস-Devdas

বিশ্বে সম্ভবত আর কোনো সাহিত্য চরিত্র নিয়ে এত কাজ হয়নি। সেদিক থেকে অমর কথাশিল্পী শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের অমর প্রেমের উপন্যাস ‘দেবদাস’ এক ইতিহাসের নাম। বাংলা, উর্দু, হিন্দিসহ নানা ভাষায় বাঙালি প্রেমের অমর আখ্যান ‘দেবদাস’ নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি হয়েছে।

তবে বাংলাদেশে ১৯৮২ সালে মুক্তি পাওয়া চাষী নজরুল ইসলাম নির্মিত ‘দেবদাস’কেই সবচেয়ে সেরা বলে মানা হয়। প্রেম আর রোমান্টিকতায় ভরপুর এই উপন্যাসে পার্বতী নামের এক তরুণীর সাথে দেবদাস নামের এক যুবকের প্রেম ও বিচ্ছেদের করুণ গল্প ফুটে উঠেছে।

তাদের মাঝখানে আলো ছড়িয়েছে চন্দ্রমুখী নামের বাঈজী চরিত্রটি। চাষীর ‘দেবদাস’ ছবিতে নাম ভূমিকায় হাজির হয়েছেন মহানায়ক বুলবুল আহমেদ। তার সাথে পার্বতী চরিত্রে আছেন মিষ্টি মেয়ে কবরী, আর চন্দ্রমুখী হয়ে দর্শকের হৃদয়ে দাগ কেটেছিলেন আনোয়ারা। আজও এই সিনেমার আবেদন কমেনি এতটুকু।

৫.ভেজা চোখ-Bheja Chokh

ঢাকাই সিনেমার সফল নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তার অনেক সিনেমাতেই রোমান্টিকতা ছুঁয়ে গেছে দর্শকের মন। এখন পর্যন্ত ইন্ডাস্ট্রির রেকর্ড ব্যবসা সফল ছবি ‘বেদের মেয়ে জোছনা’র নায়ক তিনি। এই ছবিতেও আছে ধনী-গরীবের প্রেমের মিষ্টি এক গল্প।

তবে কাঞ্চনের ক্যারিয়ারে সেরা রোমান্টিক সিনেমা হিসেবে উল্লেখযোগ্য হয়ে আছে ‘ভেজা চোখ’। ১৯৮৮ সালে মুক্তি পাওয়া এই ছবিতে তার সঙ্গে জুটি বেঁধেছিলেন চম্পা। অসুস্থ প্রেমিকের প্রতি প্রেমিকার ভালোবাসা, কাছে আসার তীব্র আকাঙ্ক্ষার গল্প এই ছবি। ছবিটি নির্মাণ করেছিলেন শিবলী সাদিক।

৬.কেয়ামত থেকে কেয়ামত-Keyamat Theke Keyamat

একটি ছবি অনেক ইতিহাস নিয়ে মুক্তি পেল ১৯৯৩ সালে। সেই ছবির নাম ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। বলিউডের ছবির কপিসত্ত্ব এনে ছবিটি বানিয়েছিলেন সোহানুর রহমান সোহান। এই ছবি দিয়ে তিনি উপহার দিয়েছেন সালমান শাহ ও মৌসুমীকে। সেই সঙ্গে এই ছবিতে গান গেয়েই জনপ্রিয়তা পান কণ্ঠশিল্পী আগুন।

তবে ছবিটি আজও দর্শকের মনে দোলা দিয়ে যায় এর রোমান্টিক গল্পের কারণেই। দুই পরিবারের দ্বন্দ্ব, তাদের সন্তানদের অবুঝ ভালোবাসা আর তার পরিণামে বেদনা-বিষাদের এক করুণ পরিণতির গল্পের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ দর্শককে হলে টেনেছিলো চুম্বকের মতো। এই ছবিটি ঢাকাই সিনেমার সেরা দশটি রোমান্টিক সিনেমার একটি। প্রেমমাখা কথা ও সুরে এর বেশ কিছু গানও পেয়েছে দারুন দর্শকপ্রিয়তা।

৭.তোমাকে চাই-Tomake Chai

মৌসুমীর সঙ্গে অভিমান শুরু হলে শাবনূরকে নিয়ে জুটি গড়ে তোলেন সালমান শাহ। সেই ধারাবাহিকতায় ১৯৯৩ সালে মুক্তি পায় ‘তোমাকে চাই’ ছবিটি। মতিন রহমান পরিচালিত এই ছবিতে সালমান-শাবনূরের অভিনয় মুগ্ধ করেছিলো চলচ্চিত্রপ্রেমীদের।

তবে সবকিছু ছাপিয়ে গিয়েছিলো ছবিতে প্রয়াত কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর কথা ও সুরে ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ শিরোনামের বিখ্যাত গানটি। এন্ড্রু কিশোর ও কনক চাপার কণ্ঠে গানটির নতুন সংগীতায়োজন করেছিলেন কিংবদন্তি গীতিকবি ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।

আর এই গানটি ছবিটিকে দিয়েছে সেরা রোমান্টিক ছবির মর্যাদা। এই গানও প্রেমের সেরা গান হিসেবে সমাদৃত। ছবিতে প্রেমিক-প্রেমিকা চরিত্রে সালমান-শাবনূরের অভিনয় ছিলো অনবদ্য। বিশেষ করে শাবনূরের চিঠি পাওয়ার পর আবেগে সালমানের চোখের জল মুছার দৃশ্য আজো প্রেমিক হৃদয়ে ঝড় তুলে।

৮.প্রাণের চেয়ে প্রিয়-Praner Cheye Priyo

‘পড়ে না চোখের পলক’- এই একটি গানই যথেষ্ট ছবিটির পরিচয় দিতে। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া ‘প্রাণের চেয় প্রিয়’ ছবির গানটি দুই বাংলাতেই ঝড় তুলেছিলো। হাটে মাঠে শহরে বন্দরে বেজেছে এই গান। বিয়ে বাড়ি, জন্মদিন, বনভোজনসহ যে কোনো উৎসবের প্রিয় অনুষঙ্গ ছিলো এন্ড্রু কিশোরের গাওয়া গানটি। এই গান এতোটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো যে পরবর্তীতে এই নামে একটি চলচ্চিত্রই নির্মিত হয়। যেখানে অভিনয় করেছেন শাকিব খান ও সাহারা জুটি।

ছবিতে খালিদ হাসান মিলু ও কনক চাঁপার গাওয়া ‘যে প্রেম স্বর্গ থেকে এসে’ শিরোনামের গানটিও সেরা রোমান্টিক গানের একটি মাইলফলক।

বলা চলে এই গান তুমুল ব্যবসা সফল হওয়া ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’ ছবিটির আরেকটি সাফল্যের মুকুট। দুটি গান এই ছবিকে রোমান্টিক ছবি হিসেবে ঠাঁই দিয়েছে ইতিহাসে। আর এই ছবি দিয়েই রোমান্টিক নায়ক হিসেবে আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা নিয়ে পথচলা শুরু করেন চিত্রনায়ক রিয়াজ।

মোহাম্মদ হান্নান পরিচালিত ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’ ছবিতে রিয়াজের নায়িকা ছিলেন মুম্বাইয়ের অভিনেত্রী রাভিনা।

৯.হঠাৎ বৃষ্টি-Hothat Brishti

পরিচালক বাসু চ্যাটার্জি ১৯৯৮ সালে উপস্থিত হলেন ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ নিয়ে। অচেনা দুই যুবক যুবতীর প্রেমের এক দারুণ গল্পের ছবি। প্রথমে টিভিতেই মুক্তি দেয়া হয়েছিলো। ছবিটি এতোটাই আবেদন তৈরি করেছিলো যে দেখা ছবি আবার দেখার জন্য সিনেমা হলে লাইন পড়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই এই ছবির ভাগ্যে জুটে ব্যবসা সফলের তকমা।

আর গানে-গল্পে প্রেম ও রোমান্টিকতা একাকার হয়ে হঠাৎ বৃষ্টি হয়ে আছে কালজয়ী চলচ্চিত্র। এই ছবি দিয়ে রাজকীয় অভিষেক ঘটে চিত্রনায়ক ফেরদৌসের। তার সঙ্গে ছিলেন ভারতের মেয়ে প্রিয়াঙ্কা ত্রিবেদী। তুমুল জনপ্রিয়তা পাওয়া এই ছবিটি একাধিক শাখায় জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিল।

১০.শ্রাবণ মেঘের দিন-Srabon Megher Din

মানব-মানবীর প্রেম ও রোমান্সের অন্যরকম দৃষ্টিভঙি দেখা যায় হুমায়ূন আহমেদের সাহিত্যে। খানিক পাগলামি, খানিক বেপরোয়া, খানিকটা রহস্যময়তা নিয়ে প্রেমে পড়ে তার চরিত্রেরা। সাহিত্যের পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণে এসেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন নন্দিত এই লেখক।

তবে ১৯৯৯ সালে মুক্তি পাওয়া তার ‘শ্রাবণ মেঘের দিন’ ছবিতেও প্রেমের সেইসব বৈশিষ্ট্য নিয়ে তিনি হাজির হয়েছেন। গ্রাম্য কিশোরী কুসুমের প্রতি গায়েন মতির না বলা ভালোবাসার হাহাকারের গল্প নিয়ে এই সিনেমা। যেখানে কুসুমের অভিমানী আত্মত্যাগ দুমড়ে মুচড়ে দেয় প্রেমিক মনকে।

অন্যদিকে গায়েন মতির প্রতি জমিদার নাতনী শাহানার অব্যক্ত প্রেম, কুুসুমের প্রতি শহুরে যুবক সুরুজের ভালোবাসাও দর্শক মাতিয়ে রাখে অবলীলায়। মজার মজার সংলাপ যেমন ছবিটিকে বিনোদনে উপভোগ্য করে তুলেছে তেমনি এইসব রহস্যময় প্রেমগুলো ছবিটিকে দিয়েছে ভালোবাসার সেরা ছবির মর্যাদা।

সেইসঙ্গে ছবিতে দুর্দান্ত কিছু প্রেম-বিচ্ছের গান তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো। যা আজও ঘুরেফিরে বাজে মানুষের মুখে মুখে।

হুমায়ূন আহমেদ নির্মিত এই ছবিতে অভিনয় করে প্রশংসিত হয়েছেন জাহিদ হাসান, মেহের

আফরোজ শাওন, মুক্তি, মাহফুজ আহমেদ, গোলাম মুস্তাফা, আনোয়ারা, সালেহ আহমেদ প্রমুখ। দর্শকপ্রিয়তার পাশাপাশি ছবিটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেও বাজিমাত করেছে।

১১.মনের মাঝে তুমি-Moner Majhe Tumi

রিয়াজ ও পূর্ণিমা এর আগেও বেশ কিছু ছবিতে জুটি হয়ে ব্যবসায়িক সাফল্য পেয়েছিলেন। তবে তাদের জুটির সেরা রোমান্টিক ছবি হিসেবে জনপ্রিয় ‘মনের মাঝে তুমি’। দুই বাংলার যৌথ প্রযোজনায় মতিউর রহমান পানু নির্মিত ছবিটি দুই বাংলাতেই ভালো সাড়া ফেলেছিলো ২০০৩ সালে।

তবে ছবিটি বাংলাদেশে সুপারহিট হয়। এর রোমান্টিক গল্প ও গানে মোহিত ছিলো দর্শক। সে সাফল্যেই বাংলা চলচ্চিত্র ইতিহাসের অন্যতম সেরা ভালোবাসার সিনেমা হয়ে উঠেছে ‘মনের মাঝে তুমি’। ছোটবেলায় হারিয়ে যাওয়া প্রেম আবার খুঁজে পাওয়া, চিনেও ভালোবাসার মানুষের কাছে অচেনা হয়ে ধরা দেওয়া- এ যেন এক অন্যরকম ভালোবাসার প্রকাশ। একটি তামিল সিনেমা থেকে রিমেককৃত এই সিনেমায় দেখা গেছে রিয়াজ-পূর্ণিমা জুটির ক্যারিশমা।

১২.মনপুরা-Monpura

বিংশ শতাব্দীতে সেরা রোমান্টিক চলচ্চিত্র হিসেবে এগিয়ে থাকবে ‘মনপুরা’ চলচ্চিত্রটি। সোনাই ও পরী নামে হতভাগ্য এক প্রেম যুগলের গল্প এই ছবি। দুজনের প্রেমমাখা সংলাপ, মিষ্টি গান, প্রেমের করুণ পরিণতি ছুঁয়ে গেছে দর্শকের মন।

গল্পে দেখা যায় এক নির্জন দ্বীপে খুনের দায়ে পলাতক সোনাইয়ের সাথে মাঝিকন্যা পরীর প্রেমের গল্প। দুরন্ত প্রেম-ভালোবাসার মানুষের জন্য হাহাকার আর শেষে বিয়োগাত্মক পরিণয়। এই নিয়েই ‘মনপুরা’ নির্মাণ করে হৈ চৈ ফেলে দিয়েছিলেন নির্মাতা গিয়াসউদ্দিন সেলিম। ব্যবসা সফল এই ছবির নায়ক চঞ্চল চৌধুরী, তার সঙ্গে ছিলেন ফারহানা মিলি।

ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি ২০০৫ সালে মুক্তি পাওয়া রোমান্টিক এই ছবিটি জাতীয় পুরস্কারে সেরা চলচ্চিত্রসহ একাধিক শাখায় পুরস্কার জিতে নেয়।

১৩.ছুঁয়ে দিলে মন-Chuye Dile Mon

হৃদয়পুরের ছেলে আবির। এলাকার বড় ভাইয়ের প্রেমে সাহায্য করতে গিয়ে টিন এজ আবিরের পরিচয় হয় নীলার সাথে। সেই সময়েই দুজনের মধ্যে ভাল লাগা তৈরি হয় কিন্তু এরপরই ঘটে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা।

তারা হয়ে যায় আলাদা। দু’জন দু’জনের কাছ থেকে অনেক দূরে। বারো বছর পর একদিন হরতাল-অবরোধের বদৌলতে দুজনের দেখা হয়ে যায়। কিন্তু এই বারো বছরে বদলে গেছে অনেক কিছু। এই বদলে যাওয়া ব্যাপারগুলো নিজের আয়ত্বে আনতে যুদ্ধে নামে আবির। আর সেই যুদ্ধে গোপনে সাহায্য করে অদ্ভুত সিদ্ধান্তহীনতায় ভূগতে থাকা নীলা। মূলত এখান থেকেই শুরু হয় ‘ছুঁয়ে দিলে মন’ সিনেমার গল্প।

সত্যি মন ছুঁয়ে যাওয়া এক গল্পের এক ছবি। ২০১৫ সালে মুক্তি পাওয়া আরিফিন শুভ ও জাকিয়া বারী মম অভিনীত ছবিটি দারুণ ব্যবসা সফল হয়। শিহাব শাহীন পরিচালিত এই চলচ্চিত্রটিও ভালোবাসার সিনেমা হিসেবে দর্শকদের কাছে সমাদৃত।

১৪.পোড়ামন সিরিজ-Poramon

অতি সম্প্রতি যে দুটি চলচ্চিত্র ভালোবাসার গল্পে হৃদয় ভরিয়েছে, দর্শক মাতিয়েছে সেগুলো হলো ‘পোড়ামন’ ও ‘পোড়ামন ২’। জাজ মাল্টিমিডিয়ার ছবি ‘পোড়ামন’ মুক্তি পায় ২০১৩ সালে। প্রেমে মত্ত এক তরুণ তরুণীর করুণ পরিণতির গল্প সাড়া ফেলেছিলো দর্শকের মাঝে। সাইমন-মাহি অভিনীত এই ছবিটি দারুণ ব্যবসায়িক সাফল্য পায়। এটি পরিচালনা করেছিলেন জাকির হোসেন রাজু। ছবিটিতে ন্যান্সি ও শফিক তুহিনের কণ্ঠে ‘জ্বলে জ্বলে জোনাকী’ শিরোনামের একটি গান তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।

একই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে ২০১৮ সালে মুক্তি পায় ‘পোড়ামন ২’ ছবিটি। এখানেও দেখা যায় উদ্দাম এক যুগল তরুণ-তরুণীর প্রেমের করুণ পরিণতি। সিয়াম-পূজা অভিনীত এই ছবিটি বছরের সেরা ব্যবসা সফল ছবির তকমা পায়। রায়হান রাফি পরিচালিত চমৎকার গল্প, অভিনয়ের পাশাপাশি মিষ্টি প্রেমের কিছু গানও ছুয়ে গেছে দর্শকের মন।

১৫.তারকাঁটা-Taarkata

তারকাঁটা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ পরিচালিত ২০১৪ সালের বাংলাদেশী মারপিঠধর্মী অপরাধমূলক চলচ্চিত্র। আরেফিন শুভ, বিদ্যা সিনহা সাহা মীম এবং মৌসুমী এই চলচ্চিত্রে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেন। 

যারা আরেফিন শুভকে খুব পছন্দ করেন তাদের এই সিনেমা না দেখাই ভাল! কারণ সম্পূর্ণ সিনেমা জুড়েই নায়কের যে কষ্ট দেখানো হয়েছে তা আরেফিন শুভর ফ্যানদের জন্য সহ্য করা সত্যিই বেশ কঠিন। জীবনের অনেক পরিস্থিতিতেই লোকে আমাদের অবিশ্বাস করে, কষ্ট দেয় কিন্তু সেই অবিশ্বাস যদি নিজের সবচাইতে প্রিয় মানুষের কাছে পাওয়া হয় তাহলে তা নিয়ে বেঁচে থাকাটা চ্যালেঞ্জ এর ব্যাপার। নাহ, এখানে প্রিয় মানুষটি নায়কের মা বা প্রেমিকা নন। এত জায়গায় আঘাত পাওয়া সত্ত্বেও নায়কের কোমল হৃদয় পচে যায়নি। আড়ালে থেকেও সে ভালবাসার মানুষটিকে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে তুলতে সমস্ত চেষ্টাই করে যায়। কিছু মানুষ যে সারাজীবনই ত্যাগ করে যায় তার প্রমাণ সম্পূর্ণ গল্পে বিশেষ করে শেষে যেয়ে অনুধাবন করা যায়।

তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ
বাংলাদেশের সবচেয়ে দর্শকপ্রিয় সিনেমা-most popular movies of Bangladesh
হলিউডের হট ও সুন্দরী নায়িকা-Hot and beautiful actress of Hollywood
হলিউডের সেরা মুভি-best hollywood movies
সর্বকালের সেরা ভারতীয় সিনেমা-Best Indian movies of all time
সেরা তামিল থ্রিলার সিনেমা-Best Tamil Thriller Movies