
সেরা তামিল মুভির তালিকা - List of best Tamil movies
বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন চলচ্চিত্রের তথ্যভাণ্ডার আইএমডিবি-তে সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্রের তালিকার শীর্ষে উঠেছে তামিল ছবি। ভারতে বলিউডকে টেক্কা দিচ্ছে সাউথ ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। মূলত দক্ষিণ ভারতের চারটি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে এই সাউথ ইন্ডিয়ান ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি গঠিত। তামিল (কলিউড), তেলেগু (টলিউড), মালায়ালাম (মলিউড) এবং কন্নড় (স্যান্ডলউড)। এদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ইন্ডাস্ট্রি হলো তামিল।
আজকাল ট্রেইলারের জনপ্রিয়তার ওপর অনেকটাই নির্ভর করে চলচ্চিত্রের সাফল্য। এখন পর্যন্ত ইউটিউবে সবচেয়ে বেশি বার দেখা হয়েছে এমন দশটি তামিল সিনেমার ট্রেইলার নিয়ে এবারের আয়োজন।
অনবে শিবম-Anbe Sivam(২০০৩):
তালিকায় প্রথমেই রয়েছে কমল হাসান, আর মাধবন এবং কিরণ রাঠোর অভিনীত এই ছবিটি। দুই তামিল সুপারস্টার আর মাধবন এবং কমল হাসানের কমেডি ড্রামা ভিত্তিক এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ২০০৩ সালে। এই ছবি দর্শকদের থেকে দারুণ সাড়া পায়। আইএমডিবিতে ১০ এর মধ্যে ৮.৭ নম্বর পেয়েছে ছবিটি। ছবিটা আপনি এই মুহূর্তে আমাজন প্রাইমে দেখতে পাবেন।
জয় ভীম-Jay Bhim (২০২১):
২০২১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তামিলের সেরা ছবির মধ্যে অন্যতম হল এই ছবিটি। ছবিটি সারা দেশ জুড়ে শুরু শোরগোল ফেলে যায়। আজও এই সমাজে জাতিগত ভেদাভেদের শিকড় কতদূর বিস্তৃত সুরাইয়া অভিনীত এই ছবিতে তা তুলে ধরা হয়েছিল। ছবিটি দর্শকদের থেকে ব্যাপক প্রশংসা পায়। ছবি বিচারকরা ৮.৯ রেটিং দিয়েছেন। এই ছবিটিও অ্যামাজন প্রাইমে দেখা যাবে।
রাতসাসন-Ratsasan (২০১৮):
ভারতের সেরা সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারধর্মী ছবির মধ্যে হল রাতসাসন। ছবিটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দর্শকদের চোখের পলক ফেলতে দেয় না। ২০১৮ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবিটি। ছবির গল্প একজন পুলিশ অফিসার এবং সিরিয়াল কিলারের কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে। ছবিটি ৮.৩ রেটিং পেয়েছে।
নায়কান-Nayakan (১৯৮৭):
তামিল ছবির তালিকা তৈরি করতে গিয়ে ক্লাসিক ছবি নায়কানকে বাদ দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সরন্যা, কমল হাসান এবং কার্তিক-এর মতো অভিনেতারা। আমাজন প্রাইমে উপলব্ধ এই ছবিটিও একটি মাস্ট ওয়াচ সিনেমা। এর IMDb রেটিং হলো ৮.৬/১০।
থালাপ্যাথি-Thalapathi (১৯৯১):
রজনীকান্ত এবং মামুটি অভিনীত থালাপ্যাথি সর্বকালের সেরা তামিল চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে একটি। মনিরত্নম পরিচালিত এই ছবিটি অ্যামাজন প্রাইম থেকে ৮.৫ রেটিং পেয়েছিলেন। আপনি যদি এই ছবি এখন দেখতে চান তাহলে অ্যামাজন প্রাইম থেকে দেখে নিতে পারেন।
ধুরুভাঙ্গাল পাথিনারু-Dhuruvangal Pathinaaru (২০১৬):
কার্তিক নরেন পরিচালিত ক্রাইম থ্রিলারধর্মী এই ছবিটিও আইএমডিবি থেকে ৮.২ রেটিং পেয়েছে। যারা ক্রাইম থ্রিলারধর্মী ছবি দেখতে পছন্দ করেন তাদের জন্য সেরা ছবি এটি। ছবিতে দীপক নামেরা পুলিশ অফিসার মামলার তদন্ত করতে গিয়ে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন। এরপর তার সঙ্গে কী কী ঘটে জানার জন্য অবশ্যই দেখুন ছবিটি।
আনিয়ান-Anniyan (২০০৫):
আনিয়ান ছবিটি মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলারধর্মী ছবি। যারা থ্রিলারের উপর ছবি দেখতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এটি সেরা ছবি। সেই সঙ্গে রয়েছে মনস্তাত্ত্বিক ঘটনাবলী, যা এই তালিকায় সবার আগে এগিয়ে রাখে ছবিটিকে। ছবিটি আইএমডিবি থেকে পেয়েছে ৮.৩। ছবিটি দেখতে পাবেন অ্যামাজন প্রাইমে।
ধুরুবঙ্গল পথিনারু-Dhuruvangal Pathinaaru (২০১৬):
দীপক একজন অবসর প্রাপ্ত পুলিশ অফিসার। অবসরের পর নতুন বাসার কাজে নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন। হঠাৎ একদিন তার ফোনে পরিচিত একজনের নম্বর থেকে কল আসে, যার ছেলে পুলিশ অফিসার হতে চায়। কিন্তু ছেলেকে পুলিশ অফিসার বানাতে রাজি নন তিনি। তাই ছেলেকে পাঠাতে চান দীপকের কাছে, যাতে দীপক উনার ছেলেকে বুঝাতে পারেন পুলিশের চাকরিতে জীবন কতোটা ঝুঁকি রয়েছে। কারণ একটি কেস নিয়ে দীপকের ভয়ংকর অভিজ্ঞতা রয়েছে। সেই ছেলে দীপকের কাছে আসলে, অফিসার দীপক তার সেই কেস নিয়ে বিস্তারিত বলতে থাকেন। এভাবেই সিনেমার গল্প আগাতে থাকে। কি ছিলো সেই কেসের মাঝে? কেনো তিনি অন্য কাউকে পুলিশে আসার ব্যাপারে অনুৎসাহিত করেন? সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে সিনেমাতে। কিন্তু আপনি যা চিন্তা করছেন, তারচেয়েও বড় চমক অপেক্ষা করছে সিনেমার শেষ ভাগে। দুর্দান্ত এই থ্রিলার সিনেমাটি আগে না দেখে থাকলে অবশ্যই দেখে নিতে পারেন।
থাদাম-Thadam (২০১৯):
এঢ়িল ও কাভিন দুজন দেখতে একই রকম। কিন্তু দুজনের চরিত্রে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। এদের মধ্যে এঢ়িল একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং তার কনস্ট্রাকশন কোম্পানি আছে। তার জীবনযাপন অনেক বেশি ডিসেন্ট। মেয়েদের সাথে কথা বলতেও ভয় পায় এঢ়িল। অন্যদিকে কাভিন একটু ভবঘুরে টাইপের, অনেক বেশি চালাক। ধান্দাবাজি করে মানুষের টাকা হাতিয়ে নেয় কাভিন। জুয়া খেলা এবং অনেক মেয়ের সাথে সম্পর্ক করাই তার কাজ। এক রাতে শহরে আকাশ নামের একজন খুন হলে সন্দেহভাজন হিসেবে তাদের দুজনকেই আটক করে পুলিশ। দুজনের কেউ-ই খুনের ব্যাপারে স্বীকার করে না। তাদের দুজনের চেহারা যেমন এক, তেমনি ফরেনসিক রিপোর্টে দুজনের ডিএনএ-ও মিলে যায়। তাহলে দুজনের মধ্যে খুনী কে? ডিএনএ টেস্ট একই আসার কারণ কি? কখনো মনে হবে এঢ়িল, আবার কখনো মনে হবে কাভিন খুন করেছে। সিনেমায় পুলিশের মাথা যেমন চক্কর খেয়েছিল অপরাধী খুঁজতে, তেমনি সিনেমাটি দেখার সময় আপনার চিন্তাশক্তিও ঘুরপাক খাবে শিওর। আরেকটি তথ্য আপনাদের জানিয়ে রাখি। এই সিনেমাটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত।
ইরা ভুক্কু আয়ীরাম কাঙ্গাল-Iravukku Aayiram Kangal (২০১৮):
এক বৃষ্টিমুখর রাতে নির্জন শহরের কোনো একটা বাড়িতে এক তরুণীর লাশ পড়ে আছে। সেই রাতে বাড়িটিতে ওই তরুণীকে খুন করতে একের পর এক মানুষ আসে। কিন্তু বাসায় যিনিই প্রবেশ করেন, তিনিই অবাক হয়ে যান। কারণ তার আগেই অন্য কেউ একজন এসে তরুণীকে খুন করে পালিয়ে গিয়েছে। অন্য সবার মতো শহরের একজন সাধারণ ট্যাক্সি ড্রাইভারও এসেছিলেন সেই বাড়িতে। কিন্তু বাড়িতে প্রবেশ করতেই বুঝতে পারেন, এখানে কোনো ঝামেলা চলছে। তাই তিনি দ্রুত বাড়িটি থেকে বের হয়ে চলে যান। কিন্তু তাকে বের হওয়ার সময় পাশের বাসা থেকে একজন দেখে ফেলে এবং পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ সেই তরুণীয় হত্যাকারী হিসেবে ট্যাক্সি ড্রাইভারকে হন্যে হয়ে খুঁজতে থাকেন। ট্যাক্সি ড্রাইভার কি আসলেই হত্যাকারী? সেই রাতে সে কেনো ওই বাড়িতে গিয়েছিল? অন্য যারা হত্যা করতে গিয়েছিল, সেটার পেছনের কারণ কি? তরুণীটিকে আসলে কে হত্যা করলো? সব প্রশ্নের উত্তর মিলবে সিনেমাটিতে। সিনেমার শেষভাগে আপনার জন্য আরেকটি বড় টুইস্ট অপেক্ষা করছে। শেষ হইয়াও যেনো হইলো না শেষ!