
দাঁতের মাড়ি ফোলা দূর করার ঘরোয়া উপায়-Home Remedies to Get Rid of Gum Swelling
দাঁতের মাড়ি ফোলা রোগে ভুগে থাকেন অনেকেই। এটি সাধারণ সমস্যা হলেও বেশ যন্ত্রণাদায়ক ও বিরক্তিকর। এর কারণে মাড়ি সাধারণত লাল বা গাঢ় গোলাপি রঙের হয়ে যায়। ব্রাশ করার সময় আঘাত লেগে ফোলা মাড়ি থেকে রক্ত ঝরতে পারে। জিনজিভাইটিস, সংক্রমণ, অপুষ্টি, গর্ভাবস্থা ইত্যাদি কারণে মাড়ি ফোলার সমস্যা হয়। এছাড়া ধূমপান, তামাকজাত দ্রব্য গ্রহণ, ভুলভাবে দাঁত ব্রাশ করা ইত্যাদি বিভিন্ন কারণেও মাড়ি ফোলার সমস্যা হয়। চলুন জেনে নিই দাঁতের মাড়ি ফোলা দূর করার ঘরোয়া উপায়-
মাড়ির ফোলা দূর করতে হলুদও একটি ভালো ঘরোয়া উপাদান। এর মধ্যে রয়েছে কারকিউমিন। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহরোধী উপাদান ব্যথা ও ফোলা ভাব কমাতে কাজ করে।
এক চা চামচের এক-চতুর্থাংশ হলুদের গুঁড়া নিন। গুঁড়ার মধ্যে সামান্য হালকা গরম পানি দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। পরিষ্কার আঙুল দিয়ে এই পেস্ট মাড়িতে মাখুন। পাঁচ মিনিট রাখার পর আলতোভাবে এক মিনিট ম্যাসাজ করুন। হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন দুবার করে এক থেকে দুই সপ্তাহ ব্যবহার করুন।
লবণপানি
মাড়ির ফোলা দূর করতে লবণ হতে পারে একটি চমৎকার ঘরোয়া উপাদান। এটি মুখের ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে প্রতিরোধ করে এবং সংক্রমণের সঙ্গে লড়াই করে। নরম ব্রিসলের টুথব্রাশ দিয়ে দাঁত ব্রাশ করার পর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে লবণ লাগিয়ে ঘষুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ কুলি করে নিন। প্রতিদিন একবার এটি করুন।
আধা অথবা এক চা চমচ লবণ হালকা গরম পানিতে মেশান। মাড়ির ফোলা কমাতে দিনে দুবার এই পানি দিয়ে মুখ কুলি করুন।
টিব্যাগ
লিকার চায়ের টি ব্যাগে থাকা ট্যানিন’য়ে আছে মাড়ির প্রদাহ কমানোর ক্ষমতা। এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মুখের ভেতরের সুস্থতা বজায় রাখে।
ফুটন্ত পানির মধ্যে একটি টিব্যাগ দুতিন মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। এরপর তা তুলে ঠাণ্ডা করুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট তা মাড়ির কাছে ধরুন। এরপর হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলকুচি করে ফেলুন।
তেল ব্যবহার
মাড়ি ফোলা ও অন্যান্য মুখের সমস্যার জন্য তেল ব্যবহার করা বেশ কার্যকর। এটি একটি পরীক্ষিত ও বিশ্বস্ত পদ্ধতি। এই সনাতন আয়ুর্বেদিক পদ্ধতি মুখের ভেতরের ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। এটি মুখের প্লাক দূর করতে ও মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
এক টেবিল-চামচ তিলের তেল মুখে নিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। সব শেষে দাঁত ব্রাশ করুন।
টি ট্রি তেল
এতে আছে অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টি-ইনফ্লামাটরি উপাদান যা দ্রুত মাড়ি ফোলা ও অস্বস্তি কমাতে সাহায্য করে।
এক গ্লাস গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি তেল মিশিয়ে তা মাউথওয়াশ হিসেবে দিনে দুবার ব্যবহার করুন। তবে সতর্ক থাকবেন যেন কোনো ভাবেই এই তেল পেটে না যায়। কারণ এটি পেটে নানা রকমের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
যোয়ান
এতে আছে থাইমল যা অ্যানেস্থেটিক বা অনুভূতিনাশক আনতে পারে, অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে। এতে রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লামাটরি উপাদানও।
যোয়ানের বীজ হালকা টালুন যেন সুগন্ধ বের হয়। এরপর এটি গুঁড়া করুন। এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা সরিষার তেল মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এরপর মাড়ির উপরে লাগান। দশ মিনিট অপেক্ষা করার পর গরম পানি দিয়ে তা ধুয়ে ফেলুন।
তথ্যসূত্র: জাগোনিউজ