
ধ্বজভঙ্গ রোগের চিকিৎসা
সঙ্গমে স্ত্রী সহবাসে সম্পূর্ণ বা আংশিক অক্ষমতাকে ধ্বজভঙ্গ (Impotency) বলা হয়।
অপ্রকৃতিস্থ যৌন সংস্রব বা হস্তমৈথুন, অতিরিক্ত বীর্যপাত, বেশী পরিশ্রম ও পুষ্টির অভাব আবার কারও কারও হরমোন অর্থাৎ পুরুষোচিত গুণাবলীর অভাব এবং দীর্ঘদিন যৌনরোগে আক্রান্ত হয়ে ভুগলে এই রোগ হয়ে থাকে।
রোগের লক্ষণ
উত্তেজনা আনলেও লিঙ্গ দৃঢ় ও শক্ত হয় না এবং উথ্যান হয় না।
বীর্যপাত হতে চায় না – হলেও ২/১ ফোটা হয়।
অনেক চেষ্টার পরেও উত্তেজনা আনলেও অনুভূতি জাগে না।
কারণ সমূহ
১. হস্তমৈথুন
২.আঘাত পাওয়া
৩. বহুমূত্র,
৪. সিফিলিস,
৫. গনোরিয়া,
৬. পুরাতন অন্ডকোষ প্রদাহ,
৭. দীর্ঘকাল যাবৎ অজীর্ণ রোগ,
৮. স্নায়বিক রোগ ইত্যাদি কারণে এই লক্ষণটি দেখা দিতে পারে। অনেক সময় এতে সন্তান জন্মদান শক্তি কমে যায়।
রোগ নির্ণয়
স্ত্রী সহবাসের সময় পেনিসের উত্থান হয় না অথবা সামান্য মাত্র উত্থান হয়ে আবার নিস্তেজ হয়ে পড়ে। দ্রুত বীর্যপাত অর্থাৎ বীর্য ধারণের সময় যতটা হওয়া উচিত তার চেয়ে অনেক কম। পেনিসে উত্তেজনা দেখা যায় না আর হলেও অনেক কম। বীর্য স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি তরল হয়। বীর্যপাতের পর অস্বাভাবিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে। বীর্য এতটা পাতলা যে দেখতে জলের মত।
উপসর্গ
১.যৌন আনন্দ থেকে বঞ্চিত হয়।
২.দাম্পত্য সুখ শান্তি বিঘ্নিত বা নষ্ট হয়।
৩.সাংসারিক শান্তি নস্ট হয়।
৪.যৌন চাহিদা মেটাতে স্ত্রী পর পুরুষের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
৫. স্ত্রী সর্বদাই মানসিক অশান্তিতে ভোগে এবং স্বামীর প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তির অভাব হয়।
৬. পুরুষের পুরুষোচিত গুনাবলীর বিকাশ হয় না। কোনো কোনো ক্ষেত্রে শুক্র কীট ঠিকমত না থাকার দরুন সন্তান সৃষ্টি বিঘ্নিত হয়।
৭.মনে মনে কামভাব থাকলেও যৌন সুখ না হবার দরুন মানসিক অবসাদ ও হতাশার সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ এই জাতীয় হতাশায় ভুগলে মানসিক বৈকল্য দেখা দিতে পারে।
রোগের চিকিৎসাঃ
বদ অভ্যাস যদি থাকে তা অনতিবিলম্বে ত্যাগ করতে হবে। সংশ্লিষ্ট অন্য রোগের বা মানসিক বা দৈহিক কারণ খুঁজে বের করে চিকিৎসা করতে হবে। প্রচুর প্রোটিন জাতীয় এবং ভিটামিন ও মিনারেল জাতীয় খাদ্য খেতে হবে যেমন – দুধ, ডিম, মাছ, মাংস ইত্যাদি।
ভিটামিন জাতীয় ওষুধঃ
১.Cap. B-50
২.Cap. V-Plex
৩.Cap. Beforte
৪.Tab. Aristovit-B
৫.Tab. Opsovit
৬.Tab. Microvit
উপরের ওষুধগুলোর যে কোন একটি ডাক্তারের পরামর্শ মতো খেতে হবে।
মাত্রাঃ প্রতিবার ১টি করে দিনে ৩ বার খেতে হবে খাবার পর।
আয়রন বা লৌহ জাতীয় ওষুধঃ
১.Cap. Feofol
২.Cap. Ferocit TR
৩.Cap. Hefdin SR
মাত্রাঃ দিনে মাত্র ১ বার ১টি Capsule খেতে হবে।
ক্যালসিয়ামের জন্যঃ
১.Tab. Ostocal
২.Tab. A-Cal
৩.Tab. Sandocal
মাত্রাঃ প্রত্যহ ১টি করে দিনে ৩ বার ১৫ দিন।
ঘরোয়া চিকিৎসাঃ
১.দৈনিক একটি করে কবুতরের বাচ্ছা, লঙ্কা ছাড়া সামান্য গরম মসল্লা ও লবন মেখে ঘি-এ ভেজে রাতে খাবেন। ২ থেকে ৩ সপ্তাহ নিয়মিত খেলে ধ্বজভঙ্গ রোগ আরোগ্য হবে।
২.আফুলা শিমুল গাছের মূলের ছাল শুকিয়ে চূর্ণ করে মধুর সাথে মিশিয়ে বড়ি বানিয়ে দৈনিক সকালে ১টি করে ঠাণ্ডা পানির সাথে খেলে ধবংজঙ্গ রোগ আরোগ্য হবে।
৩.আম ছোট ছোট করে কেটে রোদে শুকিয়ে গুড়ো করে সমপরিমাণ আখের গুড়ের সাথে মিশিয়ে এক সপ্তাহ সকালে খালি পেটে খেলে ধ্বজভঙ্গ রোগ আরোগ্য হবে।
৪.মাকাল ফলের শাস আটার সাথে চিনি দিয়ে হালুয়া প্রস্তুত করে দৈনিক সকালে খেলে উপকার পাবেন। এ সময় সকালের ভিজানো ছোলাবুট, মাখন এবং পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খাবে।
৫.শতমূলী, দুধ ও পানি একত্রে আগুনে জাল দিয়ে চিনি সহ খেলে উপকার পাবেন।
৬.আনারের পাতা, মেহদির পাত , নিম পাতা, সোডা, এক সঙ্গে মিশ্রিত করে ফাকি করে খাবেন।
সাম্প্রতিক মন্তব্য
#প্রণয়
আমার লিঙ্গ একেবারে নিস্তেজ। শরীরে একদম যৌন চাহিদা নাই।লিঙ্গ শক্ত হয় না।#piyal
দ্রুত বীর্যপাত থেকে বাচার জন্য কী ঔষধ শেবন করব লিঙ্গ ভালুভাবে খারা হয় না