যক্ষা
যক্ষ্মা বা যক্ষা একটি সংক্রামক রোগ যার কারণ মাইকোব্যাক্টেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস নামের জীবাণু। যক্ষ্মা যেকোনও অঙ্গে হতে পারে। যক্ষ্মা সবচেয়ে বেশি দেখা যায় ফুসফুসে। টিকা বা ভ্যাকসিনেশন-র মধ্যে দিয়ে যক্ষ্মা প্রতিরোধ করা যায়।
যক্ষা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
যক্ষা একটি সংক্রামক ব্যাধি। যা প্রধানত ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। যক্ষা বলতে সাধারণভাবে আমরা ফুসফুসের যক্ষাকেই বুঝি। তবে ফুসফুস ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন স্থানে যক্ষা হতে পারে। যেমন- লসিকাগ্রন্থি, হার ও গিট, অন্ত্র, হৃদপিন্ডের আবরণ ও মস্তিস্কের আবরণ ইত্যাদি।
যক্ষা রোগের লক্ষণ
হাল্কা জ্বর ও কাশি হতে পারে। কাশির সঙ্গে গলার ভিতর থেকে থুতুতে রক্তও বেরোতে পারে।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট হিসেবে ৫-৬ মাস জ্বর থাকার মূল কারণ এই টিবি।
সাধারনত-- -তিন সপ্তাহের বেশি কাশি
ওজন কমে যাওয়া
বুকে ব্যথা, দুর্বলতা ও ক্ষুধামন্দা
ইত্যাদি ফুসফুসের যক্ষার প্রধান উপসর্গ।
যক্ষা ফুসফুস থেকে অন্যান্য অঙ্গেও ছড়িয়ে পরতে পারে বিশেষ করে যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল তাদের এবং বাচ্চাদের ক্ষেত্রে।
জীবাণু শরীরে ঢুকলেই সবার যক্ষ্মা হয় না। যাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের ক্ষেত্রে যক্ষ্মা বেশি হয়।
যক্ষ্মা প্রতিরোধের উপায়
জন্মের পর পর প্রত্যেক শিশুকে বিসিজি টিকা দিতে হবে।
যক্ষ্মা আক্রান্তদের ঘনিষ্ঠ সহচার্য এড়িয়ে চলুন।
পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে হবে।
হাঁচি-কাশি দেয়ার সময় রুমাল ব্যবহার করা।
যেখানে সেখানে থুথু না ফেলা।
রোগীর কফ থুথু নির্দিষ্ট পাত্রে ফেলে তা মাটিতে পুঁতে ফেলা।
নিয়মিত ব্যায়াম করার অভ্যাস তৈরি করুন।
বাসস্থানের পরিবেশ খোলামেলা, আলো-বাতাস সম্পন্ন হতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এ ধরনের রোগ থাকলে যথাযথ চিকিৎসা নিন।
পরিচ্ছন্ন থাকুন।
যক্ষ্মা আক্রান্ত রোগীকে সবসময় নাক মুখ ঢেকে চলাচল করতে হবে। যক্ষ্মা জীবাণুযুক্ত রোগীর সঙ্গে কথা বলার সময় একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখুন। রোগী জীবাণুমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত রোগীকে অন্য সবার থেকে একটু আলাদা রাখা ভালো। জীবাণুযুক্ত রোগীকে যেখানে সেখানে কফ ফেলা পরিহার করতে হবে।
ওষুধের কোর্স শেষ করতে হবে।