মাসিকের কতদিন পর সহবাস করলে বাচ্চা হয়

মাসিকের কতদিন পর সহবাস করলে বাচ্চা হয়

মাসিক চক্র বা ঋতু চক্র একজন মহিলার জীবনের অখণ্ড অঙ্গ। এর সঙ্গে একজন মহিলার প্রজনন ক্ষমতা ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে থাকে। একটি মাসিক চক্র সাধারণ ভাবে ২৮ দিনের হয়। তবে, কিছু মহিলার ক্ষেত্রে তা ৩৫ দিনেরও হতে পারে। প্রত্যেক মহিলার জন্য এই চক্র আলাদা। সাধারণত, ঋতুস্রাবের প্রথম দিন থেকে গুনলে ১১ থেকে ১৪-তম দিনের মধ্যেকার সময়কেই গর্ভবতী হওয়ার আদর্শ সময় বলে মনে করা হয়।

মাসিক চক্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ তা একজন মহিলার গর্ভবতী হওয়ার বয়স নির্ধারণ করে। সাধারণ মাসিক চক্রে জরায়ুর অন্তর্বর্তী লাইনিং ভ্রূণকে ধারন করার জন্য মোটা হতে থাকে। ভ্রূণের অনুপস্থিতিতে এই লাইনিং ভেঙে যায় এবং ঋতুস্রাব হয়। আপনি ঋতুস্রাবের কতদিন পর গর্ভবতী হবেন, তা আপনার মাসিক চক্রের দৈর্ঘ্যের ওপর নির্ভর করছে। সাধারণত, যেসব মহিলার ২৮ দিনে মাসিক চক্র সম্পূর্ণ হয়, তাঁদের ক্ষেত্রে ১৪-তম দিনে ডিম্বস্ফোটন হয়।

ডিম্বস্ফোটনের সময় ডিম্বাশয় একটি পরিণত ডিম রিলিজ করে। এই ডিমটি ফ্যালোপিয়ান টিউবে অপেক্ষা করে স্পার্মের জন্য, এবং এরা মিলিত হলে আপনি খুব শীঘ্রই গর্ভবতী হতে পারেন। একটি স্পার্ম যেখানে মহিলার ডিম্বাশয়ে ৩ থেকে ৫ দিন পর্যন্ত থাকতে পারে, সেখানে একটি মহিলার ডিম্ব মাত্র ১২ থেকে ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত সক্রিয় থাকে।

এই সময়ের মধ্যে আপনার ডিম স্পার্মের সাথে মিলিত হতে পারলে আপনার গর্ভবতী হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। ডিম্বস্ফোটন হবার পরে গর্ভবতী হতে চেষ্টা করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়, তবে তার আগে চেষ্টা করলে ফল পেতে পারেন। তাই, ঋতুস্রাবের পর ১২ থেকে ১৬-তম দিনের অন্তর্বর্তী সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। এই সময়ের মধ্যে অরক্ষিত যৌনসঙ্গম আপনাকে খুব সহজেই গর্ভবতী করে তুলতে পারে।

ডিম্বস্ফোটনের কিছু নির্দিষ্ট সংকেত আছে যা থেকে বোঝা যায় যে আপনার শরীর এই সময়ে সব থেকে উর্বর। এই সময়ে আপনি তলপেটে ফোলা ভাব অনুভব করতে পারেন, পেটের একদিকে যন্ত্রণা ও ঘ্রাণশক্তির আকস্মিক বৃদ্ধি অনুভব করতে পারেন।

এছাড়াও এই সময়ে সার্ভিকাল শ্লেষ্মা অত্যধিক পরিমাণে তৈরী হতে পারে, যা অনেকটা ডিমের সাদা অংশের মতো দেখতে। এই লক্ষণ দেখা দিলে আপনি বুঝবেন যে ডিম্বস্ফোটনের দিন উপস্থিত এবং এই সময়ে আপনি গর্ভবতী হতে চেষ্টা করতে পারেন।

নিজস্ব আদর্শ উর্বর সময় নির্ধারণ করার জন্য নিজের মাসিক চক্রের হিসাব রাখা খুব ভালো একটি উপায় (৮ বা তার বেশী মাসের জন্য, যদি সম্ভব হয়)। আপনার সবথেকে ছোট চক্রটিকে শনাক্ত করুন (ধরুন ২৭ দিন) ও সেখান থেকে ১৮ বিয়োগ করুন।যা উত্তর পেলেন – এক্ষেত্রে ৯ – তা হল আপনার প্রথম উর্বর দিন। আপনার দীর্ঘতম চক্র (ধরুন ৩০ দিন) থেকে ১১ বাদ দিন, তাহলে পাবেন ১৯। এটি আপনার শেষ উর্বর দিন। একাধিক মাস ধরে গণনা করা চক্র যদি ২৭ এবং ৩০-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করে, তাহলে ৯ থেকে ১৯-তম দিনের মধ্যে আপনি সবথেকে উর্বর।

এটি বেশ লম্বা একটি সময়। এটিকে আরও কমিয়ে আনতে পারেন আপনার শরীরের তাপমাত্রার হিসেব রেখে (বিছানা ছাড়ার সময়কার তাপমাত্রা)। বেশীর ভাগ মহিলার ক্ষেত্রে তা ৯৬ থেকে ৯ ডিগ্রি মারেনহাইটের মধ্যে হয়। যখন আপনার তাপমাত্রা সামান্য বাড়ে (৪ থেকে ৮/১০ ডিগ্রি, তার মানে ১২ থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যেআপনার ডিম্বস্ফোটন হয়েছে।

গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খাওয়া নিষেধ
বমি বমি ভাব হওয়ার কারণ ও প্রতিরোধে করণীয় - Causes and prevention of nausea
পিল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ছেলেদের চুল পড়া বন্ধ করার উপায় - Ways to stop hair loss in boys
শরীরের ব্যাথা কমানোর উপায় - Ways to reduce body pain
পেট ব্যাথা কমানোর উপায় - - Ways to reduce stomach pain -
গর্ভবতী মহিলাদের ফলিক এসিড আয়রন ও জিংক ট্যাবলেট
পুদিনা সিরাপ এর উপকারিতা
হার্ট অ্যাটাকের কারণ ও প্রতিরোধ - Heart attack causes and prevention
জিহ্বা-ঠোঁটের ঘা সারানোর ঘরোয়া উপায় - Home Remedies for Tongue-lip Sores