
পোড়া ক্ষত শুকানোর ঔষধ
Burna Cream-বার্না ক্রিম, 25 gm tube: ৳৬০
Burnsil Cream- বার্নসিল ক্রিম, 25 gm tube: ৳৬০
Bentol Cream -বেনটোল ক্রিম
Sibalyn Cream-সিবালিন ক্রিম
Silver Sulfadiazine Cream- সিলভার সালফাডায়াজিন ক্রিম
Burnaid Cream-বার্নাআইডি ক্রিম
burnless cream-বার্নলেস ক্রিম
burnaid cream-বার্নাইড ক্রিম
burnsil cream-বার্নসিল ক্রিম
Dazine Cream-ডেজিন ক্রিম
Dermazin cream-ডার্মাজিন ক্রিম
Dersa Cream - দেরসা ক্রিম
Eburn cream-ইবার্ন ক্রিম
Flamzin Cream - ফ্লামজিন ক্রিম
Medizen Cream -মেডিজেন ক্রিম
Mupirocin Cream- মিউপিরোসিন ক্রিম
Neozine Cream-নিওজিন ক্রিম
Sibalyn Cream-সিবালিন ক্রিম
siburn Cream-সিবার্ন ক্রিম
silcream Cream-সিলক্রিম ক্রিম
silvadazin Cream- সিলভাডাজিন ক্রিম
silvazin Cream- সিলভাজিন ক্রিম
silvec Cream- সিলভেস ক্রিম
silverax Cream- সিলভেরাক্স ক্রিম
silverzine Cream- সিলভারজাইন ক্রিম
silzin Cream- সিলজিন ক্রিম
Burna Cream-বার্না ক্রিম
বার্না ক্রিম এর কাজ
১। পােড়ার ক্ষতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে প্রতিরােধক হিসেবে দেহের বহিরাংশে ব্যবহৃত হয়।
২। পােড়র ক্ষত ব্যতীত অন্য নির্দিষ্ট ধরণের ক্ষতে যেখানে সংক্রমণ হতে পারে সেক্ষেত্রে জীবাণুরােধী হিসেবে দেহের বহিরাংশে ব্যবহৃত হয়।
ব্যবহারের নিয়ম
অগ্নিদগ্ধ ক্ষতটি ভালভাবে পরিষ্কার করে দিনে এক থেকে দুবার প্রায় ১/১৬ ইঞ্চি বা ১.৫ মি.মি. পুরুত্বের প্রলেপ দিতে হবে। ত্বকটিতে সব সময় বার্না লাগিয়ে রাখতে হবে।
যদি কোন কারণে ক্ষত স্থান হতে ক্রীম সরে যায়, তবে সেখানে পুনরায় বার্না প্রয়ােগ করতে হবে।
রােগী যদি ড্রেসিং ব্যবহার করতে চায় তবে সেক্ষেত্রে তা ব্যবহার করা যাবে।
ক্ষতের সন্তোষজনক ক্ষয়পূরণ বা গ্রাফটিং করা যাবে এমন অবস্থায় না আসা পর্যন্ত বার্না প্রয়ােগ করতে হবে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
কিছু কিছু রােগীর ক্ষেত্রে ক্ষণস্থায়ী লিউকোপেনিয়ার রিপাের্ট পাওয়া গিয়েছে। এছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে ত্বকের নেক্রোসিস, ইরাইথিমা মাল্টিফর্ম, ত্বকের অবর্ননীয়তা, জ্বলার অনুভূতি, র্যাশ এবং আন্তঃকোষীয় নেফ্রাইটিস দেখা দিতে পারে। অন্য ওষুধের সাথে প্রতিক্রিয়া: বার্নাের সাথে এনজাইম্যাটিক ডেব্রিডিং এজেন্ট, ওরাল হাইপােগ্লাইসেমিক ওষুধ, ফেনিটোইন এবং সিমিটিডিনের পারস্পরিক ক্রিয়া পাওয়া যায়।
সংরক্ষণ
আলো এবং আর্দ্রতা থেকে দূরে 30°C তাপমাত্রার নিচে রাখুন। শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন।
বেনটোল ক্রিম -Bentol Cream
বেনটোল ক্রিমটিও পোড়া ও ক্ষতস্থান শুকানোর ক্রিম। Bentol ক্রিমটি বাজারজাত করেছেন ডক্টর ক্যামিকেল ওয়ার্ক লিমিটেড। পোড়ার ক্ষতে ব্যাক'টে'রি'য়া'র সংক্র'মণে প্রতিরোধক হিসেবে দেহের বহি'রাং'শে ব্যবহৃত হয়।
Silver Sulfadiazine Cream-জি সিলভার সালফাডায়াজিন ক্রিম
ব্যবহার
পোড়ার ক্ষতে ব্যাকটেরিয়ার উপনিবেশ ও সংক্রমণ প্রতিরোধক হিসাবে দেহের বহিরাংশে ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া পোড়ার ক্ষত ব্যতীত অন্য নির্দিষ্ট ক্ষতে জীবাণুরোধী হিসাবে ব্যবহৃত হতে পারে। তবে পোড়ার ক্ষতে এর কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ আছে। এমনকি এই ওষুধ ব্যবহারে ক্ষত সারতে দেরি হতে পারে বলে কক্রেন রিভিউ-এ মতামত প্রকাশ করা হয়েছে। এইজন্য এটি ব্যবহারে এখন আর তেমন উৎসাহিত করা হয় না।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ত্বকের নেক্রোসিস, ইরাইথিমা মাল্টিফর্ম, ত্বকের রং পরিবর্তিত হওয়া, জ্বলার অনুভূতি, ফুসকুড়ি, আন্তঃকোষীয় নেফ্রাইটিস, লিউকোপেনিয়া প্রভৃতি হতে পারে।
মিথষ্ক্রিয়া
সিলভার সালফাডায়াজিন এর সাথে এনজাইম্যাটিক ডেব্রিডং এজেন্ট, ওরাল হাইপোগ্লাইসেমিক ওষুধ, সিমিটিডিন, ফেনিটোইন এর মিথষ্ক্রিয়া হতে পারে।
পুড়ে যাওয়ার ঘরোয়া চিকিৎসা
শরীরের কোনো অংশ পুড়ে গেলে যে পরিমাণ জ্বালাপোড়া সহ্য করতে হয়, সেটি অনেক কষ্টের। তাই তাৎক্ষণিক জ্বালাপোড়া কমানোর জন্য শিখে নিন কিছু ঘরোয়া উপায়।
পানি ব্যবহার
যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পোড়া জায়গায় ঠাণ্ডা পানি ঢালতে হবে। সম্ভব হলে আক্রান্ত স্থান সরাসরি কলের পানির নিচে ধরতে হবে। এভাবে ক্ষতস্থান পড়ন্ত পানির নিচে ১৫-২০ মিনিট রাখতে হবে। এর ফলে ব্যথা বা জ্বালাপোড়া কমে, ক্ষত আর বড় হতে পারে না, ঘা শুকানো সহজ হয়। এতে ক্ষত সেরে গেলেও পোড়া জায়গায় দাগ থাকে না। পোড়া স্থান যদি মুখে, বুকে বা পিঠে হয়, তবে শাওয়ার ছেড়ে পানিতে ভেজাতে হবে। প্রয়োজনে পুকুরে বুক বা গলা সমান ডুবে কিছু সময় থাকলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এভাবে যদি ব্যথা না কমে, পোড়া স্থান পানিতে ডুবিয়ে রাখতে হবে অথবা সেখানে জলপট্টি দিতে হবে। পোড়া জায়গায় সরাসরি বরফ লাগানো যাবে না। তবে পোড়া কম হলে, শীতল পানিতে কাপড় ডুবিয়ে সেখানে ঠাণ্ডা সেঁক দেওয়া যায়।
পুড়ে যাওয়া স্থানে অ্যালোভেরার জল লাগান। জ্বালাপোড়া কমে যাবে এবং ঠাণ্ডা অনুভব হবে। অ্যালোভেরার রস ক্ষত শুকাতে অসাধারণ কাজ করে।
ক্ষতের জ্বালাপোড়া কমাতে দই বা কাঁচাদুধ বিশেষভাবে কাজ করে।পুড়ে যাওয়া অংশে ৩০-৪০ মিনিট দই দিয়ে রাখুন। এতে জ্বালাপোড়া তো কমবেই, ফোসকা পড়বে না।
পুড়ে যাওয়ার অংশে মধু লাগাতে পারলে জ্বালাপোড়া অনেক কমে যাবে। সঙ্গে পোড়া দাগও হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে।
টুথপেস্ট
টুথপেস্ট শুধু দাঁত মাজার ক্ষেত্রেই ব্যবহার হয় না। পুড়ে যাওয়া স্থানে টুথপেস্ট লাগালে উপকার পাবেন শতভাগ।
কলার খোসা
কলার খোসা জ্বালাপোড়া কমাতে খুবই উপকারী। পুড়ে যাওয়া স্থানে কলার খোসা অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে।