ব্যথা কমানোর প্রাকৃতিক উপায় - Natural ways to relieve pain

ব্যথা কমানোর প্রাকৃতিক উপায় - Natural ways to relieve pain

প্রতিদিনের কাজের চাপে মাথা ব্যথা, পিঠব্যথা বা পা-ব্যথা হতেই পারে। আর এ থেকে দ্রুত মুক্তি পেতে অনেকেই ওষুধ খেয়ে থাকনে। যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই ব্যথা কমানোর জন্য প্রাকৃতিক ও ঘরোয়া কিছু প্রতিষেধক ব্যবহার করা যেতে পারে।

১.হলুদগোলমরিচ

গবেষণায় জানা গেছে, হলুদ এবং গোলমরিচ দুটিই শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। হলুদে কারকুমিন নামে এক ধরনের উপাদান থাকে যার ওপর এর উপকারিতা অনেকটাই নির্ভর করে। কিন্তু কারকুমিন নিজে থেকে শরীরে ভালোভাবে মিশে যেতে পারে না। সেক্ষেত্রে গোলমরিচের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে কারকুমিন পুরোপুরি শরীরে মিশে যায়। গোলমরিচের মধ্যে পাইপারিন নামের এক ধরনের উপাদান পাওয়া যায়। কারকুমিন ও পাইপারিন একসঙ্গে স্বাস্থ্যের সুরক্ষা করে। এই দুটি মসলা একসঙ্গে হজম ক্ষমতা বাড়ায়। এমনকি ব্যথানাশক ওষুধ হিসেবেও কাজ করে। তাই শরীরে সামান্য ব্যথা হলে হলুদ ও গোলমরিচ একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতেও কারকুমিন ও পাইপারিনের জুড়ি নেই।

২.আদা

অ্যান্টিইনফ্লামাটরি উপাদান সমৃদ্ধ আদা- বাতের ব্যথা, পেট ও বুকের ব্যথা, মাসিকের কারণে হওয়া ব্যথা এমনকি মাংসপেশির প্রদাহের কারণে হওয়া ব্যথা উপশমেও সহায়ক। আদা ছেঁচে একটি পরিষ্কার কাপড়ে পেঁচিয়ে ব্যথার স্থানে চেপে ধরে রাখলে আরাম পাওয়া যাবে।

৩.আঙ্গুর

এই ফলের রসে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর উপাদান আছে। রোজ এক কাপ করে খেতে পারলে ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।

৪.আনারস

এতে প্রচুর পরিমাণে ব্রোমেলেইন আছে, যা রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর পাশাপাশি পেশিতে টান ধরা এবং প্রদাহ কমায়। বিশেষ করে ইনফ্লমেটরি ডিজিজ আর্থ্রাইটিস-এর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

৫.রসুন

ব্যথা কমাতে রসুনের ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। গাঁটের ব্যথা কমাতে এটি ভীষণ কাজ দেয়। এক কোয়া রসুন কুচিয়ে অল্প গরম তেলে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ জয়েন্টে ম্যাসেজ করলে আরাম লাগে। রসুন থেঁতো করে লবণ মিশিয়ে লাগালে দাঁতের ব্যথা কমে যায়।

৬.টক দই

পেট ফাঁপা, জ্বলুনি এবং ব্যথা কমাতে দই বেশ উপযোগী। দইয়ের ব্যাক্টেরিয়া হজমে সহায়তা করে ফলে পেটের ব্যথা বা জ্বলুনি কমিয়ে আরাম দেয়। প্রতিদিন এক বাটি দই খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

৭.লবঙ্গ

লবঙ্গ এক ধরনের মিষ্টি এবং মশলাদার ঔষধি যা খাওয়ার পর ব্যথা উপশম করতে পারে। মাথা ব্যথা, বাত এবং অন্যান্য প্রদাহ এবং দাঁত ব্যথার চিকিৎসার জন্য লবঙ্গ ব্যবহার করে। মাথা ব্যথা ও মাথা যন্ত্রণা কমায়: ধোঁয়া, রোদ এবং ঠান্ডার জন্য শ্লেষ্মা বেড়ে নানা ধরনের মাথা ব্যথা বা মাথার রোগ দেখা দিতে পারে। মাথা ব্যথা কমাতে লবঙ্গের উপকারিতা অপরিসীম।

মাছের তেল

এর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মাথা, পিঠ, স্নায়ু ও রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমায়।

সূর্যালোক

ভিটামিন-ডি এর মাত্রা কমে গেলে শরীরে খুব ব্যথা হয়। সেই ব্যথা কমাতে পারে সূর্যের আলো। কারণ এত প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে, যা ঘাটতি মিটিয়ে ব্যথা কমায়।

ওটস

নিয়মিত ওটস খেতে পারলে তলপেটের ব্যথা কমে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম থাকে। এই উপাদানই ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

কফি

ক্যাফেইন ব্যথা নিরাময়ে বেশ কার্যকর। বিশেষ করে পেশি ও মাথা-ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে কফি বেশ উপযোগী। প্রতিদিন দুই কাপ কফি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

হাড়ের ঝোল

হাড়ের ঝোল আজকের ডায়েটে জনপ্রিয়তার বাইরে চলে যেতে পারে তবে এটি লজ্জাজনক। এটি কেবলমাত্র কোনও প্রাণীর কম অপচয় হওয়াই নয়, এটি পশ্চিমা ডায়েটে কোলাজেন, প্রোলিন, গ্লাইসিন এবং গ্লুটামিন যুক্ত করে এখন মূলত এই সমালোচনামূলক উপাদানগুলির অভাব রয়েছে। হাড়, মজ্জা এবং ত্বক দিয়ে তৈরি হাড়ের ঝোল খুব স্বাদযুক্ত এবং এতে প্রচুর পুষ্টি থাকে যা ব্যথা হ্রাস করতে পারে।

অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরা মাংসপেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। এমনকি ব্যথার স্থানে অ্যালোভেরা জেলের ক্রিম লাগালে ব্যথা কমে যায়। অ্যালোভেরায় মিনারেল, অ্যামিনো অ্যাসিডসহ নানা ধরণের পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। যা হাড় ও মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে

তাপ এবং বরফ

প্রথমে আপনার ব্যথার জায়গায় বরফ লাগান। এটি কেবল ফোলা এবং প্রদাহকে হ্রাস করে না, এটি অঞ্চলটি স্তব্ধ করে দেয়। বরফ পোড়া রোধ করতে সক্ষম। ৩০ মিনিট বরফ লাগিয়ে আক্রান্ত স্থানটি ঘরের তাপমাত্রায় ফিরে আসতে দিন এবং তাপ প্রয়োগ করুন। একবার প্রদাহ ঠাণ্ডা দ্বারা হ্রাস পেয়েছে, উত্তাপ শক্ত হয়ে যায় এবং বেদনাদায়ক অঞ্চলে সংকোচিত পেশীগুলি শিথিল করে।

বাতের ব্যথা: দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা, যা ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ভোগায় তাদের জন্য চাই তাপনির্ভর চিকিৎসা। হাড়ের জোড়ের পেশি ছিড়ে যাওয়া থেকে বাতের ব্যথা হয়। এমন ব্যথার জন্য তাপ উপকারী। কারণ এতে জোড়ের শক্তভাব প্রশমিত হয় এবং পেশি শিথিল হয়।

মাথাব্যথা: হঠাৎ করে জেগে ওঠা ব্যথার ক্ষেত্রে বরফ উপকারী। কারণ এটি ব্যথার অনুভুতিকে ভোঁতা করে এবং প্রদাহ কমায়। মাথাব্যথার সময় মস্তিষ্কের স্নায়ু ও রক্তনালীতে ব্যথা হয়, যা উপশমে বরফ উপকারী।

ঘাড় ব্যথা: ঘাড় ব্যথা সারাতে বরফ ব্যবহারের ভুল করেন অনেকেই। এক্ষেত্রে মাংসপেশিকে শিথিল করতে তাপ প্রয়োগ করা প্রয়োজন।

রগে টান পড়া: পেশি বা রগে টান পড়া সারাতে বরফ ও তাপ উভয়ই জরুরি। ব্যথার অনুভূতি কমাতে প্রথমে বরফ দিতে হবে। তবে ব্যথা সেরে গেলেও পেশির শক্তভাব থেকে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তাপ দিয়ে পেশি শিথিল করতে হবে।

যক্ষা রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
দ্রুত মেদ ঝরাতে খাবেন ৫ খাবার
ইসলামী ব্যাংক হাসপাতাল বরিশাল বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের তালিকা
শীতকালে সুস্থ থাকতে যেসব খাবার খাবেন - Foods to eat to stay healthy in winter
দাঁতের শিরশির ভাব দূর করার ঘরোয়া উপায় - Home remedies to get rid of toothache
গর্ভাবস্থায় পেট ব্যথা - Abdominal pain during pregnancy
হাত পা ঘামার হোমিওপ্যাথি ঔষধ - Homeopathy medicine for sweaty hands and feet
সিনকারা সিরাপ এর উপকারিতা
দাঁতের ইনফেকশন থেকে হতে পারে অনেক রোগ - Dental infection can cause many diseases
ঢাকার কিডনী বিশেষজ্ঞদের তালিকা