অনবরত হাঁচি হলে দ্রুত যা করবেন - What to do quickly if you sneeze continuously
শীত এলেই সর্দি-কাশি বেড়ে যায়। কারও আবার ঠান্ডায় অ্যালার্জি থাকে। সে কারণে হঠাৎ হঠাৎ হাঁচি-কাশি শুরু হয়ে যায়। যেহেতু শীতের সময়ে বায়ুদূষণ বেড়ে যায়, নাকে ধুলোও যায় বেশি। তাই এ সময়ে হাঁচি-কাশির ব্যাপারে একটু সতর্ক থাকা জরুরি।
আবার এমন অনেকেই আছেন, যাদের এক বার হাঁচি শুরু হলে আর থামতে চায় না। মস্তিষ্কের কোনো রোগের জন্যও অনবরত হাঁচি হতে পারে। সাধারণত মস্তিষ্কের মেডুলা অংশের কোনো সমস্যা হলে অনবরত হাঁচি হয়। এক ধরনের মৃগীরোগের উপসর্গ হলো অনবরত হাঁচি হওয়া। শারীরিক মিলন শেষে হাঁচি হতে পারে। গবেষকেরা মনে করেন, আমাদের দেহে উত্তেজনা সৃষ্টিকারী প্যারাসিম্প্যাথেটিক স্নায়ুতন্ত্র এ ধরনের হাঁচির জন্য দায়ী।
হাঁচি কেন হয়?
নাকের অভ্যন্তরে অবস্থিত চুল ঝাঁটার মতো কাজ করে। আমরা যখন নাক দিয়ে বাতাস গ্রহণ করি তখন নাকের চুলগুলো ধুলিকণা, ফুলের রেণু, ধাতব কণা ইত্যাদি পদার্থকে আটকে দেয় এবং সাথে ধরে রাখে।
নাকের চুল পার হয়ে যখন কোনো অস্বস্তিকর ধুলা, ফুলের রেণু, ঝালের গুঁড়া বা অন্য কোনো উপাদান নাকের ভেতরে প্রবেশ করে তখন আমাদের হাঁচি হয়। ঝাঁঝাঁলো বা কড়া গন্ধ থেকেও হাঁচি হতে পারে। আসলে আমাদের যে কোনো বস্তুই যদি নাকের ভেতরে উত্তেজনা বা সুড়সুড়ি সৃষ্টি করে তবেই আমাদের হাঁচি হয়।
হাঁচি থামানোর প্রাকৃতিক উপায়
যেকোনো পরিস্থিতিতেই অনবরত হাঁচি দিতে থাকা সুখকর নয় নিশ্চয়ই। জেনে নিন এমন সমস্যার ঘরোয়া সমাধান-
আমলকী পুষ্টিকর একটি ফল তা সবারই জানা। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে, এতে থাকা শক্তিশালী ‘অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট’ নাকের রাস্তা পরিষ্কার করে, ফলে হাঁচি থেমে যায়। খেতে পারেন সরাসরি কিংবা শরবত বানিয়ে। দিনে সর্বোচ্চ তিনবার আমলকীর শরবতে পান করা যায়।
সকালে উঠে খালি পেটে আদাপানি খাওয়ার অভ্যাস থাকে অনেকের। এটি বেশ ভালো। তবে সেই আদার সঙ্গে তুলসি পাতার রস মিলিয়ে খেলেও এক্ষেত্রে বেশ উপকার পাবেন। সকালে উঠে ৩-৪টি তুলসি পাতা ও এক টুকরো ছোট আদা এককাপ পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে সেই পানিটুকু খেতে নিন। অনবরত হাঁচি থেকে মুক্তি মিলবে।
রসুন এর গন্ধটা সবার কাছে সহনশীল না হলেও রান্নায় স্বাদ আনতে এই মসলা অনন্য, সেই সঙ্গে তাড়ায় অ্যালার্জিও। এতে থাকে এক বিশেষ সক্রিয় উপাদান ‘অ্যালিসিন’, যা বন্ধ নাক খুলে দিতে অত্যন্ত কার্যকর, পাশাপাশি বাড়াবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও। কাঁচা-আদা সরাসরি চিবিয়ে খেতে পারেন কিংবা সামান্য ঘিয়ে ভেজে নিতে পারেন।
হাঁচি থামানোর ক্ষেত্রে খুবই কাজে লাগে মধু। প্রচণ্ড হাঁচির মধ্যেও এক চামচ মধু গলায় গেলে সঙ্গে সঙ্গে তা থেমে যাবে।
কালো এলাচ সবার রান্নাঘরেই এলাচ আছে, যা হাঁচি বন্ধ করতে পারে। এলাচের কড়া গন্ধ এবং এতে থাকা ‘এসেন্সিয়াল অয়েল’ ‘মিউকাস’য়ের প্রবাহ রোধ করে এবং অস্বস্তি সৃষ্টিকারী উপাদান বের করে আনে। অ্যালার্জিজনীত হাঁচিতে এটি বিশেষ কার্যকর। খেতে হবে চিবিয়ে।