
শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখার সহজ উপায় - An easy way to keep the body healthy
শরীর ভালো থাকলে মন যেমন ফুরফুরে ও সতেজ থাকে তেমন কাজের স্পৃহাও বাড়ে। আর মন ভালো থাকলে সবকিছুই ভালো লাগে। তাছাড়া সুস্থ, সুন্দর ও ফিট শরীর সবারই কাম্য। স্বাস্থ্যসম্মত জীবন যাপনই পারে কেবন মাত্র মন মেজাজ ঠিক রাখতে এবং সুন্দর ও ফিট শরীর বজায় রাখতে। এখানে এমন কিছু স্বাস্থ্য টিপস দেয়া হল যা অনুসরণ করে আপনিও একটি ভাল ও স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে পারেন।
ভালো স্বাস্থ্য বলতে শারীরিক ও মানসিক দুই ধরনের সুস্থতাকেই বোঝায়। সুস্থ দেহ ও সুন্দর মন আমাদের প্রয়োজন সারাক্ষণ। নিম্নে স্বাস্থ্য ভালো রাখার সহজ উপায় দেওয়া হলো-
ফল-সবজি খেতে হবে
লন্ডন কিংস কলেজের গবেষক ডাঃ মেগান রসির মতে, কেবলমাত্র বেশি বেশি করে সবজি ও ফল ইত্যাদি খেলেই হবে না। তার মধ্যে আনতে হবে রকমফের। অর্থাৎ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ফলমূল খেতে হবে। তিনি বলেন, প্রতি সপ্তাহে সব ধরন মিলিয়ে যদি কম করে ৩০ রকমের সবজি ও ফল খাওয়া যায় তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।
পরিমাণ মতো পানি পান করা
সারা দিন উপযুক্ত ও স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া যেমন দরকার, তেমনই দরকার পরিমাণ মতো বিশুদ্ধ পানীয় জল পান করাও। কারণ পানীয় জল শুধু যে তেষ্টা মেটায় তাই নয়, শরীরের আর্দ্রতা ধরে রাখে, শরীরের অন্তরীণ জলের চাহিদা পূরণ করে সঙ্গে আরও একাধিক কাজ করে গোটা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে জল। ফলে জল পরিমাণ মতো জল খাওয়াটা খুবই দরকার।
নিজের মনের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দেওয়া
খাবার, জল, ঘুমের পর যে বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হয় তা হল, নিজের ইচ্ছেকে গুরুত্ব দেওয়া। অনেকেই আছেন পারিপার্শ্বিকের চাপে নিজের মনের ইচ্ছাকে দমিয়ে রাখে। ভালো লাগা, খারাপ লাগাকে দাবিয়ে রেখে ভেতরে ভেতরে গুমরে থাকে। তবে একটি জরুরি কথা কী মনের মধ্যে নিজের সাধ, ইচ্ছে ইত্যাদিকে চেপে রেখে আর যাই হোক শারীরিক আর মানসিক ভাবে সুস্থ থাকা যায় না। তাই নিজেকে, নিজের ইচ্ছেকে অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে।
মন খুলে বেশি করে হাসা
হাসি একটি খুব ভালো ব্যায়াম বা ওষুধ বলা যেতে পারে শরীর ও মনের সুস্বাস্থ্যের জন্য। লোক মুখে ফেরে মন খুলে জোড়ে জোড়ে হাসলে হৃদয় ভালো থাকে।
ডাঃ জেমস গিল বলছেন, মানুষের উচিত খুশি থাকার চেষ্টা করা। তা হলেই সুস্থ থাকবে শরীরও। তার জন্য তিনি বেশি বেশি করে হাসার পরামর্শ দিয়েছেন।
ব্যায়াম করা
স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য নিয়মিত ব্যায়াম করা প্রয়োজন। প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট এক টানা হাঁটার চেষ্টা করুন। এছাড়াও দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, সাঁতার ও অন্য যে কোনো ব্যায়াম যেগুলো ক্যালোরি ক্ষয় করে সেগুলো সবই স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। নিয়মিত ব্যায়াম করলে শরীরের রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে এবং লিবিডো বৃদ্ধি পায় যা স্বাস্থ্যের জন্য জরুরী।
পর্যাপ্ত ঘুমাতে হবে
ঘুম শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ঘুম মস্তিষ্কের রাসায়নিক পদার্থগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। এই রাসায়নিকগুলো আমাদের মেজাজ ও আবেগ পরিচালনা করে। যদি আমরা পর্যাপ্ত না ঘুমায়, তাহলে মস্তিষ্কে বিভিন্ন অংশ ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। ফলে হতাশ ও উদ্বিগ্ন হয়ে পড়া স্বাভাবিক। তাই পর্যাপ্ত ঘুমের বিকল্প নেই।
ধূমপান ও মদ্যপান ত্যাগ করুন
ধূমপান ও মদ্যপান লিবিডো কমিয়ে দেয়। ফলে স্বাস্থ্য মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। নিকোটিন রক্ত জমাট বাধিয়ে ফেলে এবং রক্তচলাচল কমিয়ে দেয়।