মাথায় ফুসকুড়ি দূর করার উপায়

মাথায় ফুসকুড়ি দূর করার উপায়

মাথার তালুতে এই ফুসকুড়িগুলোকে বলা হয় স্ক্যাল্প অ্যাকনে (scalp acne)। আসলে এটি এক ধরনের ফাঙ্গাল ইনফেকশন, যা তালুতে ময়লা জমে জমে তৈরি হয়। আবার অনেকসময়ে ভুলভাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করার ফলেও স্ক্যাল্প অ্যাকনে হয়ে থাকে। এখানে রইল কিছু ঘরোয়া সমাধান

ফুসকুড়ি কি

ত্বকের কিছু অংশ লালচে হয়ে গিয়ে চাকা বা গোটার মতো হয়ে যাওয়ার সমস্যাকে ফুসকুড়ি বা র্যাশ বলে। এর সঙ্গে অনেক সময় ত্বকে অস্বস্তি ও চুলকানি হয়ে থাকে।

কারণ

ময়লা, ধুলাবালি, মাথার শুষ্ক মরা কোষ বা খুশকি জমে তালুর লোমকূপগুলো বন্ধ হওয়ার কারণে মাথার ত্বকে ব্রণ হতে পারে। এ ছাড়া ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থযুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার, তেল চিটচিটে ভাব, মাথা নিয়মিত পরিষ্কার না করাও এই ব্রণের অন্যতম কারণ। দিনের বেশির ভাগ সময় মাথা স্কার্ফ দিয়ে ঢাকা থাকলে মাথায় ঘাম জমেও চুলের ফলিকলগুলো বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে সঠিক নিয়মে যত্ন ও পরিষ্কারের অভাবে ব্রণ দেখা দেয়।

উপসর্গ

১.চুলকানি হতে পারে।

২.জ্বর হতে পারে ।

৩. লালচে ভাব দেখা যায়

৪.ফুলে যাওয়া

প্রতিকার

১.মাথার ত্বকের ব্রণ যন্ত্রণাদায়ক সমস্যা। একদিকে চুলের আঁচড়ানো ও সঠিক যত্ন নেওয়া যেমন কঠিন হয়ে পড়ে, তেমনি চুল দুর্বল ও ভঙ্গুর করে তোলার পেছনে এই তালুর ব্রণ অনেকাংশে দায়ী।

২.মাথার তালুর ব্রণ থেকে রক্ষা পাওয়ার সবচেয়ে কার্যকরী সমাধান হলো তালুতে মরা কোষ জমতে না দেওয়া।

৩.নিমের নির্যাসে এন্টিব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি ফাঙ্গাল উপাদান থাকে, যা মাথার ত্বকের ব্রণ দূর করতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

নিমপাতা পানিতে জ্বাল দিয়ে মিশ্রণটি ঠাণ্ডা করে নিন। ওই পানি ছেঁকে মাথায় ঘষে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করুন এবং মাথা ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। এ ছাড়া শ্যাম্পু করার পর এই মিশ্রণ দিয়ে মাথা ধুলেও উপকার পাবেন।

৪.দুই টেবিল চামচ মেথি গুঁড়া পানিতে গুলে নিন। এই পেস্ট মাথার তালুতে লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর কুসুম গরম পানিতে মাথা ধুয়ে নিন।

৫.দুই টেবিল চামচ মধু ও সমপরিমাণ দারচিনি গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। আধা ঘণ্টা মাথার তালুতে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন। এরপর মাথা ধুয়ে ফেলুন।

৬.দারচিনির প্রদাহবিরোধী ও মধুর এন্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান মাথার ব্রণ দূর করতে কাজ করে।

৭.কিছুতেই ব্রণ খুটবেন না, এতে ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা থাকে।

৮.ব্রণের প্রকোপ খুব বেশি হলে ভালো ডার্মোটোলজিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করতে হবে।

প্রতিরোধ

১.ব্রণ প্রতিরোধ করতে খাদ্যাভ্যাসের প্রতি সচেতন হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভাজাপোড়া বা প্রসেসড খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে এবং খাবারের তালিকায় পানি ও শাক-সবজির পরিমাণ বাড়াতে হবে।

২.মাথাকে ধুলাবালি মুক্ত রাখতে হবে। প্রতিটি কর্মব্যস্ত দিনের শেষে সঠিক নিয়মে মাথার ত্বক পরিষ্কার করতে হবে।

৩.একটি বড় দাঁতওয়ালা চিরুনি সব সময় সঙ্গে রাখুন। নিয়মিত দিনে কয়েকবার চুল আঁচড়ালে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক থাকে।

৪.প্রসাধনীতে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ যুক্ত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার বাদ দিন। বেছে নিন এসেনশিয়াল অয়েল, যেমন—ল্যাভেন্ডার অয়েল, টি ট্রি অয়েলযুক্ত শ্যাম্পু ও তেল অথবা প্রাকৃতিক উপাদান, যেমন—নিম, হলুদ, অ্যালোভেরা ও দারচিনিসমৃদ্ধ চুলের প্রসাধনী।

৫.শ্যাম্পু সরাসরি চুলে না দিয়ে পানিতে গুলিয়ে ব্যবহার করা ভালো।

৬.চুলকে প্রাকৃতিক উপায়ে কন্ডিশন করুন এবং খেয়াল রাখবেন, রাসায়নিক কন্ডিশনার যেন মাথার তালুর অংশে ব্যবহৃত না হয়।

৭.আপনার মাথার ত্বক ও চুলের ধরন বুঝে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও তেল ব্যবহার করুন

ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার উপায় - Ways to get rid of dark spots on the lips
মেথির উপকারিতা
শিমের পুষ্টিগুণ
পড়া মনে রাখার কিছু কৌশল - Some strategies to remember reading
স্বপ্নদোষ বন্ধ করার উপায়
ভুইকুমড়া গাছের উপকারিতা
কাঁচা কলার উপকারিতা
শীতে গোসল না করেও পরিচ্ছন্ন থাকার উপায় - Ways to stay clean without showering in winter
পটলের উপকারিতা-benefits of pointed gourd
কিডনির কাজ ও কিডনি রোগের কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার - Symptoms and treatment of kidney disease