টুপি পরিধান করা ছাড়া কি নামাজ আদায় হবে?
টুপি ইসলামের অন্যতম সৌন্দর্য। আল্লাহর রাসুল (সা.) এবং সাহাবায়ে-কেরাম সবসময় টুপি পরতেন। একজন মুসলমান হিসেবে সবসময় টুপি পরা মুস্তাহাব এবং নামাজে পরা সুন্নত। তাই টুপিসহই নামাজ পড়া চাই। যদিও টুপি ছাড়া নামাজ পড়লে আদায় হয়ে যাবে।
অনেকেই ব্যবসায়িক কাজে ব্যস্ত থাকায় বা অফিসের সুবিধার্থে সবসময় টুপি পরতে পারেন না বা অনেক সময় নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে এলেও টুপি আনতে ভুলে যান।
পরে যখন মনে পড়ে- টেনশন করতে থাকেন। অনেকে বাসা থেকে ফের টুপি আনতে গিয়ে নামাজ শুরু হয়ে যাওয়া বা শেষ হয়ে যাওয়ার পরিস্থিতিতে পড়েন। আসলে তখন এত টেনশন করার কিছু নেই। আশপাশে কোথাও টুপির ব্যবস্থা না করতে পারলে টুপি ছাড়াই নামাজ পড়া যাবে। তবে ইচ্ছাকৃত টুপি ছাড়া নামাজ পড়াকে মাকরুহ বলেছেন ফুকাহায়ে কেরাম। (ফাতাওয়া কাজিখান : ১/১৩৫; ফাতাওয়া শামি : ১/৬৪০; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া : ১/৫৬৫)
নামাজে টুপি পরিধানের গুরুত্ব
টুপি মুসলিম উম্মাহর 'শিআর' বা জাতীয় নিদর্শন। টুপি নবী করিম (সা.) নিজে পরেছেন, সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেইন, তাবে-তাবেইন এবং পরবর্তী সময়ে সব যুগে মুসলিমগণের টুপি পরিধানের ব্যাপক আমলের ধারাবাহিকতা চলে আসছে। পাগড়ির মতো টুপিও মুসলিম জাতীয় পোশাকের একটি উৎকৃষ্ট পোশাক। হাদিস ও আ-ছারে এর অসংখ্য প্রমাণ বিদ্যমান- (যাদুল মা'আদ ১/১৩৫)।
তাই নামাজেও এই পোশাক পরিধান করা সুন্নত। মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, 'তোমরা নামাজের সময় তোমাদের সর্বোৎকৃষ্ট পোশাক পরিধান করো'- (সুরা আ'রাফ : ৩১)। তাফসিরে রূহুল মা'আনিতে এ আয়াতের ব্যাখ্যায় উল্লেখ রয়েছে : হজরত হাসান ইবনে আলী (রা.) নামাজের সময় সর্বোৎকৃষ্ট পোশাক পরিধান করতেন, একদিন কেউ তাঁকে এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ তায়ালা সুন্দর। তিনি সুন্দরকে পছন্দ করেন। তাই আমি আমার প্রভুর জন্য সুন্দর পোশাক পরিধান করি- (রূহুল মা'আনি ৪/৩৪৯)।