বরিশালের পার্কের তালিকা
বরিশাল সিটি করপোরেশন আয়তন: ২৪.৯১ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৩৮' থেকে ২২°৪৫' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°১৮' থেকে ৯০°২৩' পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে কাউনিয়া ও এয়ারপোর্ট থানা, দক্ষিণে বন্দর থানা এবং নলছিটি ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা, পূর্বে কাউনিয়া ও বন্দর থানা, পশ্চিমে এয়ারপোর্ট ও কোতোয়ালী থানা এবং নলছিটি উপজেলা। জনসংখ্যা ২২৪৩৮৯; পুরুষ ১২৩৪০২, মহিলা ১০০৯৮৭।
বরিশাল জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এটি ১৭৯৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। কীর্তনখোলা নদীর তীরে অবস্থিত এই শহরের পূর্বতন নাম চন্দ্রদ্বীপ। দেশের খাদ্যশষ্য উৎপাদনের একটি মূল উৎস এই বৃহত্তর বরিশাল। একে বাংলার ‘ভেনিস’ বলা হয়। বরিশাল দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি নদীবন্দর।
বরিশাল জেলায় যেতে সবার মাথায় যেটা আগে চলে আসে তা হল লঞ্চ ভ্রমণ। ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ ঘাট থেকে প্রতিদিন বরিশালের উদ্দেশ্যে লঞ্চ ছেড়ে যায় বিভিন্ন সময়ে। বড় বড় লঞ্চ গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পারাবাত, সুন্দরবন, সুরভী, ফারহান প্রমুখ। লঞ্চের ভাড়া ডেকে ২০০-২৫০ টাকা, নন এসি সিঙ্গেল কেবিন ৯০০/-, এসি সিঙ্গেল কেবিন ১০০০/-! ডাবল নন এসি কেবিন ১৮০০/- এবং ডাবল এসি কেবিন ২০০০/-! ফ্যামিলি কেবিন ২৫০০-৩০০০/-
এছাড়া বাসের রুটে সাকুরা পরিবহন যায় গবতলি থেকে। এসি ৭০০/- নন এসি ৪৫০/-। বাসের রুটে আরো যায় হানিফ, ঈগল, এনা ইত্যাদি। তবে বাসের রুটে না গিয়ে লঞ্চে যাওয়াই উত্তম। বাসের রুটে পাটুরিয়া-দৌলতিয়া ঘাটে ফেরির জ্যামে আপানি পড়বেনই। সময় নষ্ট হতে পারে ৩/৪ ঘন্টা।
এছাড়া বিমানেও যেতে পারেন বরিশাল।
ঢাকা টু বরিশাল গ্রীন লাইন লঞ্চের সময়সূচি
প্লানেট ওয়ার্ল্ড শিশু পার্ক
স্থান
বঙ্গবন্ধু উদ্যান সংলগ্ন ,বান্দ রোড, বরিশাল।
কিভাবে যাওয়া যায়
বরিশাল শহর থেকে রিক্সা,অটো রিক্সা যোগে অতি অল্প সময়ে যাওয়া সম্ভব ।
প্লানেটপার্ক
এইটা সুন্দর একটা পার্ক যেখানে বিভিন্ন রাইড আছে, আছে লেক টাইপ যেখানে বোটিং করা যায়, আছে রেল যা পুরো পার্ক ঘুড়ে আসবে। আছে বিভিন্ন ল্যান্ডস্কেপিং এবং বিভিন্ন রকম গাছের সমারোহ। বোটানিক্যাল গার্ডেনের ও বলে থাকেন কেউ কেউ। ছোটদের জন্য খুব সুন্দর বিনোদন পার্ক এটা। বড়রাও ঘুরে আসতে পারেন। প্লানেট ওয়ার্ল্ড শিসু পার্ক মুলত শিশু,কিশোরদের বিনোদনের স্থান। এখানে শিশু, কিশোরেরা আনন্দ বিনোদনে মেতে ওঠে। প্লানেটের একটি খাচায় ভাল্লুক , বানর, বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রয়েছে। মোট কথায় প্লানেট ওয়ার্ল্ড শিশু কিশোরদের একটি অন্যতম পছন্দের স্থান হিসেবে পরিচিত।
খোলা সময়: সকাল ৯ টা খেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত।
প্রবেশ মূল্য: ২০ টাকা
এটি একটি উদ্যান। যেখানে সকাল বেলায় অনেকেই মর্নিং ওয়াক / জগিং করতে বের হয়। পার্কের চারিদিকে ওয়াক ওয়ে দেওয়া আছে যেখানে লোকজন সারিবদ্ধ ভাবে হাটা চলা করে। এই পার্কের ঠিক পিছনেই আছে বেলস পার্ক লেক। খুব সুন্দর টল টলে পানি। গাছে ছায়ায় বসে কেউ কেউ বিশ্রাম নেয় আর লেক এর সৌন্দর্য্য উপভোগ করে। বেলস পার্ক বঙ্গবন্ধু উদ্যান শহরে বাঁধ রোডে এলজিইডি ভবনের উলটো দিকেই অবস্থিত।
মুক্তিযোদ্ধা পার্ক
কীর্তনখোলা নদীর পাড়ে বিআইডাব্লিউটিএ এর ভিতরে এই পার্কটি। পার্কটি নির্মাণ করা হয় ২০১১ সালে। মেয়র শওকত হোসেন হিরন উদ্যোগ নেন এই পার্ক টি করার। পার্কটির ভিতরে খুব সুন্দর ল্যান্ডস্কেপিং করা। সারি সারি বিভিন্ন গাছ, গার্ডেন লাইট, সিটিং এরেঞ্জমেন্ট, প্ল্যান্টার দিয়ে সাজানো। পার্কটির মাঝে আছে ওয়াক ওয়ে। পার্কটির একপাশে কীর্তনখোলা নদী। লোকজন হাটাহাটি করেন। অনেকে সিটিং এরেঞ্জমেন্টে বসে বিশ্রাম নেন এবং নদীর সৌন্দর্য্য উপভোগ করেন।
কি কি খাবেন
বরিশালের বিখ্যাত খাবার মধ্যে আছে নাজিমের কাচ্চি বিরিয়ানী, আকাশ রেস্টুরেন্টের কালা ভূনা, হক এর ছানা ও রসগোল্লা, শশীর মিষ্টান্ন এর মিষ্টি, নিতাই এর রসগোল্লা, বলাকার পুরি, লঞ্চ টার্মিনালের কাছে গোশত চটপুটি, বাজার রোডে ভূড়ি ভুনা ইত্যাদি।