চট্রগ্রামের দর্শনীয় স্থান-Places of interest in Chittagong
অনেকেই বিভিন্ন কাজে অথবা বেড়াতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে চট্রগ্রাম শহরে আসেন কিন্তু জানেন না শহরের কোথায় কোথায় দর্শনীয় স্থান রয়েছে এবং সেখানে কিভাবে যাবেন কিংবা খরচ কেমন পড়বে! সংক্ষেপে দর্শনীয় স্থান সমূহঃ ভাটিয়ারী গলফ কোর্স এবং লেক, সীতাকুণ্ড ইকো পার্ক,মিরসরাই মহামায়া লেক,ফ’য়েজ লেক,কালুর ঘাট মিনি বাংলাদেশ, ওয়ার সিমেন্ট্রি,পতেঙ্গা সৈকত এবং নেভাল সৈকত,পার্কি সৈকত। বিস্তারিতঃ সমুদ্র নগরী চট্রগ্রাম, এখানে রয়েছে বেশ কয়েকটি সমুদ্র সৈকত এবং ঘুরে দেখার মত অসংখ্য প্রাকৃতিক স্পট। চট্রগ্রামের অসাধারণ পাহাড় এবং লেক আপনার মনকে ভরিয়ে তুলতে যথেষ্ট। আপনি যদি শরের আশেপাশে বিভিন্ন যায়গায় ঘুরে দেখতে চান তবে চলুন এসব যায়গায় কিভাবে যাবেন শহর থেকে যেতে কত সময় লাগবে কিংবা জাতায়েত ভাড়া কত পড়বে সব একে একে জেনে নেয়া যাক।
আরও পড়ুন: দুধপুকুরিয়া-ধোপাছড়ি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য
চালন্দা গিরিপথ
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ন চালন্দা গিরিপথ। গিরিপথটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭’শ ৫৩ একর আয়তনের মধ্যেই অবস্থিত। অ্যাডভেঞ্চার আর ভ্রমণ প্রিয় মানুষদের ভ্রমণভাণ্ডারে এখন নতুন নাম চালন্দা গিরিপথ। তাইতো প্রতিদিনই দলবদ্ধ হয়ে নানান দল পাড়ি জমাচ্ছে এই নৈসর্গিক গিরিপথের দিকে।
আরও পড়ুন: গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত
বিবি মসজিদ
প্রায় ৫০০ বছরের পুরোনো ঐতিহ্যবাহী সাহেব বিবি মসজিদ যা চট্টগ্রাম এর রাউজান উপজেলায় অবস্থিত। এই মসজিদের অবস্থান রাউজান উপজেলার ৯ নং ওয়ার্ডের হাড়ি মিয়া চৌধুরী বাড়িতে। এটি ৮ টি পিলার,৩ টি দরজা, ২ টি জানালা ও ১ টি গম্বুজ বিশিষ্ট। এতে প্রবেশের জন্য ৪ ফুট উঁচু করে মসজিদ গেইট নির্মাণ করা হয়েছে। জানা যায়, জমিদার আমির মোহাম্মদ চৌধুরীর পত্নী ও চট্টগ্রামের আলোচিত প্রসিদ্ধ মালকা বানুর মাতা সাহেব বিবি এই মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা।
নন্দীরহাট জমিদার বাড়ি
জমিদার লক্ষীচরণ সাহার এই বাড়িটি নির্মাণ হয় ১৮৯০ সালে। ১৯৭৫ সালের মাঝমাঝিতে সত্য সাহা উনার প্রযোজনায় বাংলা ছবি ‘অশিক্ষিত’ নির্মাণ করেন – যার শুটিং হয় এই জমিদারবাড়িতে। জানা যায়, টানা ১৮ দিন শুটিং চলে এখানে। চট্টগ্রামের অক্সিজেন হতে লোকাল সিএনজি ও লোকাল বাসে করে যাবেন নন্দীরহাট বাজার। বাজারে নেমে বামদিক/পশ্চিমে একটি রাস্তা দেখতে পাবেন যেটি ধরে ১০ মিনিট হাঁটলেই রাস্তার ডানপাশে এই জমিদারবাড়িটি চোখে পড়বে।
আরও পড়ুন: সন্দ্বীপ
আরও পড়ুন: হাজারিখিল
বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার
এটি চট্টগ্রাম এর নাসিরাবাদের একটি পাহাড়ের উপরে অবস্থিত। ইরানের বিখ্যাত পার্সিয়ান সুফি বায়েজিদ বোস্তামীর নামে গড়ে উঠা এই মাজার চট্টগ্রামের ধর্মপ্রাণ মানুষের পাশাপাশি চট্টগ্রামে আসা দেশি-বিদেশী পর্যটকদের জন্যও একটি অত্যন্ত আকর্ষনীয় স্থান। এই সমাধির অবয়ব সর্বপ্রথম ১৮৩১ সালে পাহাড়ের উপরিভাগে একটি দেয়ালঘেরা আঙ্গিনার মাঝে আবিস্কার করা হয়।
আরও পড়ুন: নাপিত্তাছড়া ঝর্ণা
আরও পড়ুন: বাঁশখালী ইকোপার্ক
আরও পড়ুন: বাড়ৈয়াঢালা জাতীয় উদ্যান
ছাগলকান্দা ঝরনা
ছাগলকান্দা ঝরনার ট্রেইল মোটামুটি অপরিচিত একটা ট্রেইল। অসাধারন এই ট্রেইলে বড় কমলদহ ঝর্ণা আছে। বড় দারোগার হাট থেকে মহা সড়ক ধরে উত্তর দিকে (ঢাকার দিকে) আসলে প্রথমে একটি ইট খোলা পরবে। ইট খোলা পার হয়ে হাতের ডানের প্রথম মাটির রাস্তা ধরে যেতে হবে । রাস্তা ধরে কিছু দূর গিয়ে ঝিরিতে নেমে ঝিরি ধরে ২০ মিনিটের মত গেলে ঝিরি মুখে পড়বে কমলদহ ঝরনা। মূলত এটি একটি ক্যাসকেড। ছাগলকান্দা ঝরনা আরেক নাম কমলক ঝরনা।
কুমারীকুন্ড
পৌরাণিক এক অঞ্চল সীতাকুন্ড। পাহাড়ের এদিকে সেদিক শত শত ছড়া। একেকটা ছড়ায় একেক বিস্ময় লুকিয়ে রাখা। তেমনি এক ছড়ায় খুঁজে পাওয়া গেলো রহস্যময় এক প্রাচীন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষ, কুমারীকুন্ড। সম্ভবত প্রাচীন হিন্দুরা হট স্প্রিং বা উষ্ণ প্রস্রবণকে পবিত্র ভাবতেন। সীতাকুন্ডের প্রসিদ্ধ লবণাক্ষকুন্ড ও অগ্নিকুন্ড মূলত বুদবুদ করে বেরোনো গ্যাসে জালানো অগ্নিকুন্ডকে উপজীব্য করেই পীঠস্থান নামে গড়ে উঠেছে। হয়তো এটিও ছিলো সেরকমই কোনো এক মন্দির। যুগের ব্যবধানে ও মূল তীর্থ অঞ্চল থেকে অন্তত ১০ কিলোমিটার দূরত্বজনিত দূর্গমতার কারণে মানুষ যার কথা হয়তো বিষ্মিত হয়েছে। চিপা ঝিরির ঝোপঝাড়ের ডালপালা ভেঙ্গে অনেকদূর যাবার পর হঠাৎ মাটি চাপা পড়া পুরোনো দিনের ইটের কাঠামো।
আরও পড়ুন: জাম্বুরী পার্ক
বাওয়াছড়া লেক
বাওয়াছড়া লেকটি মিরসরাই-এর ওয়াহেদপুর গ্রামের বারমাসি ছড়ার মুখে অবস্থিত বলে লেকটির নামকরণ করা হয়েছে বাওয়াছড়া লেক। মিরসরাই উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ছোটকমলদহ বাজারের দক্ষিণ পাশে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দেড় কিলোমিটার পূর্বে লেকের অবস্থান। এর মধ্যে সামান্য পথ ছাড়া বাকি পথ গাড়িতে যাওয়া যায়। টলটলে শান্ত পানির চুপচাপ বয়ে চলার ধরণই বলে দেবে এর উৎস অবশ্যই বিশাল কিছু থেকে। শেষ বিকেলের সূর্যের আলো যখন লেকে পড়ে তখন দূর থেকে মনে হয় পুরো প্রকল্পটি যে একটি পর্যটন কেন্দ্র।
আরও পড়ুন: খৈয়াছড়া ঝর্ণা
লেক ভিউ আইল্যান্ড
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কাপ্তাই লেকের পাড়ের ছোট ছোট টিলা ঘেরা একটি পরিত্যক্ত ক্যাম্পেই গড়ে তোলা হয়েছে লেক ভিউ আইল্যান্ড। পাশাপাশি দুটি টিলার চার একরের অধিক এলাকা নিয়ে তৈরি করা হয়েছে পর্যটন এলাকাটি। এখানে তৈরি করা হয়ছে দৃষ্টিনন্দন কটেজ। নৌকা নিয়ে হ্রদের পানিতে ঘুরতে বের হলে চোখে পড়বে পাহাড়ি টিলার গায়ে বড় আকারের ইংরেজি অক্ষরে লেখা ‘লেক ভিউ আইল্যান্ড’। পানি থেকে টিলার উপরে যাওয়া ইট কংক্রিটের তৈরি সিঁড়ি বেয়ে উঠতেই দেখা মিলবে চারপাশে সবুজ গাছে ঘেরা কটেজ।
আরও পড়ুন: চন্দ্রনাথ পাহাড়
বাঁশবাড়িয়া সমুদ্র সৈকত
এই সমুদ্র সৈকতের মুল আকর্ষণ হল, প্রায় আধা কিলোমিটারের বেশি আপনি সমুদ্রের ভেতর হেঁটে যেতে পারবেন। এখানে এসে নির্বিঘ্নে ঘুরে বেড়ানো যাবে, আহরণ করা যাবে প্রকৃতির শোভা। ঝাউ বাগানের সারি সারি ঝাউ গাছ ও নতুন জেগে উঠা বিশাল বালির মাঠ, সব মিলিয়ে এ এক অপূর্ব সৌন্দর্য অপেক্ষা করছে দর্শনার্থীদের জন্য।
আরও পড়ুন: ফয়েজ লেক
আরও পড়ুন: প্রজাপতি পার্ক বাংলাদেশ
আরও পড়ুন: পারকি সমুদ্র সৈকত
বাটালি হিল
চট্টগ্রাম শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ১ কিলোমিটার দূরে চট্টগ্রামের মূল কেন্দ্র টাইগারপাস এলাকায় বাটালি হিল অবস্থিত। এটি চট্টগ্রাম শহরের সবচেয়ে উঁচু পাহাড়। উচ্চতা প্রায় ২৮০ ফুট। চট্টগ্রাম শহরের প্রাণ কেন্দ্রের লালখান বাজার এলাকার ইস্পাহানী মোড়ের উত্তরে ফাহিম মিউজিকের পাশ ঘেষে এবং ম্যাজিস্ট্রেট কলোনীর পিছন দিয়ে পিচঢালা পথ বেয়ে উপরে দিকে উঠে গেছে বাটালি হিলের রাস্তা। এই বাটালি হিল আবার ‘জিলাপি পাহাড়’ নামেও পরিচিত।
খেজুরতলা বীচ
চট্রগ্রাম শহরে যে কয়টি সুন্দর সৈকত আছে, তারমধ্যে অন্যতম খেজুরতলা। এটির মূল সৌন্দর্য দেখতে হলে যেতে হবে খুব ভোরবেলা/পড়ন্ত বিকেলে। চট্রগ্রাম শহরের যেকোনো জায়গা থেকে ষ্টীলমিল বাজারে নেমে হাতের ডান দিক বরাবর (দক্ষিণ-পশ্চিম) যে রাস্তা গেছে সেখান থেকে অটোবাইক/রিকশা নিয়ে ১০ মিনিটেই পৌঁছানো যায় খেজুরতলা বীচ।
মেধস মুনির আশ্রম
প্রকৃতির সান্নিধ্যে নিরিবিলি পরিবেশে কিছুটা সময় কাটাতে চাইলে যেতে পারেন – মেধস মুনির আশ্রমে। চন্দ্রনাথ এর মত মেধস মুনির আশ্রমও পাহাড়ের উপর অবস্থিত হিন্দুদের একটি জনপ্রিয় তীর্থ। বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল থেকে লোকাল গাড়িতে কানুনগোপাড়া পর্যন্ত যেতে পারেন জনপ্রতি ২৫ টাকা করে, সেখানে নেমে সিএনজি ভাড়া করতে পারেন আশ্রম পর্যন্ত ১৫০ টাকা নিবে।
আরও পড়ুন: বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকো-পার্ক, সীতাকুণ্ড
সহস্রধারা ঝরনা
চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ড উপজেলার ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রনাথ রির্জাভ ফরেস্ট ব্লকের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে সুশোভিত চিরসবুজ বনাঞ্চলের সীতাকুণ্ড ইকোপার্কে সহস্রধারা ঝরনাটি অবস্থিত। ইকোপার্কটি চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩৫ কি.মি. উত্তরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক এবং রেলপথের পূর্ব পাশে অবস্থিত। বর্ষাকাল ছাড়া বছরের বাকি সময় এই ঝরনায় পানি অনেক কম থাকে। যদি বর্ষাকালে যাওয়া যায় তাহলে ঝরনাটিকে পানিতে পরিপূর্ণ অবস্থায় দেখতে পাবেন এবং সৌন্দর্য পুরোপুরি উপভোগ করতে পারবেন।
আরও পড়ুন: ভাটিয়ারী লেক
আরও পড়ুন: মহামায়া হ্রদ
ওয়ার সিনেমট্রি
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নিহতদের সমাধিস্থল ওয়ার সিমেট্রি এখন চট্টগ্রামের অন্যতম পর্যটন স্পট। এটি চট্রগ্রামের মেহদীবাগ গোল পাহাড় এলাকায় অবস্থিত। বিশ্বযুদ্ধে ইন্দো-বার্মা রণাঙ্গনে আজাদ হিন্দ ফৌজের আক্রমণে মিত্রবাহিনীর যেসব সৈনিক প্রাণ হারান তাদের সমাহিত করা হয় চট্টগ্রামের বাদশা মিয়া রোডের প্রাকৃতিক এ পরিবেশে। ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নেওয়া এই ওয়ার সিমেট্রিকে দেওয়া হয়েছে নান্দনিক রূপ। অসাধারণ সাজানো গোছানো পরিবেশ আপনার মন ভোরিয়ে দিবে। পাহাড়ের ভাঁজে অপরূপ সাজে দাঁড়িয়ে থাকা এ সমাধিস্থল দেখতে ভিড় করেন অনেক ভ্রমণপিপাসু।
সোনাইছড়ি ট্রেইল
চট্টগ্রাম জেলার মীরসরাই পাহাড় রেঞ্জ এর হাদি ফকিরহাট বাজার এলাকায় অবস্থিত সোনাইছড়ি ট্রেইল। এই ট্রেইল বারৈয়াঢালা অভয়ারণ্যের আওতাভুক্ত। বৈচিত্র্যময় এই ট্রেইল পুরোমাত্রায় বুনো এবং পাথুরে! বর্ষায় এর দূর্গমতা বেড়ে যায় অনেক বেশি। তিন্দুর মত বড় বড় পাথর, বাদুজ্জাকুমের ভয়াবহতা টেনে নিয়ে যায় অ্যাডভেঞ্চার প্রেমীদের।বৃষ্টি বা বর্ষায় বেশ পিচ্ছিল হয়ে যায় পাথরের বড় বড় বোল্ডারগুলো। খাড়া পাহাড়, পিচ্ছিল ঝিরি পথ, বাদুড় ভর্তি বাদুইজ্জাখুম এবং ট্রেইলের শেষ মাথায় সোনাইছড়ি ঝর্না পাবেন এই ট্রেইলে।
আরও পড়ুন: সুপ্তধারা ঝর্ণা
আরও পড়ুন: স্বাধীনতা কমপ্লেক্স
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত বন্দরনগরী চট্টগ্রামের একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র, যা কর্ণফুলী নদীর মোহনায় অবস্থিত। চট্টগ্রাম শহরের জিরো পয়েন্ট থেকে মাত্র ১৪ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত পতেঙ্গা। পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতের প্রস্থ খুব বেশি নয় এবং এখানে সমুদ্রে সাঁতার কাটা ঝুঁকিপূর্ণ। পাবেন ২০ টাকায় ঘোড়ার পিঠে চড়ার সুযোগ। সেই সঙ্গে আছে স্পিডবোড কিংবা কাঠের তৈরি নৌকায় ওঠার সুযোগও। সাধারণত বিকেল গড়াতে থাকলে জোয়ার আসতে শুরু করে। জোয়ার শুরুর আগে বাঁধ অনেকটা তলিয়ে যাবে। তীরে এসে পড়বে ঢেউ।
আরও পড়ুন: চুনতি বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য
আরও পড়ুন: আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ
আরও পড়ুন: বায়তুশ শরফ আদর্শ কামিল মাদ্রাসা
আরও পড়ুন: আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ড জাহাজ ভাঙ্গা এলাকা
আরও পড়ুন: সিআরবি হিল
আরও পড়ুন: শেখ রাসেল পক্ষিশালা ও ইকোপার্ক
লালদীঘি
লালদীঘির ময়দান নানা কারণে মানুষের কাছে বহুল পরিচিত। চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় রাজনৈতিক সমাবেশ স্থল এটি। বিভিন্ন সভা-সমাবেশে যে পরিমাণ মানুষ জমায়েত হয় তা বিস্ময়কর। এছাড়া সংগ্রাম-আন্দোলনের অন্যতম, প্রধানতম বললেও ভুল হবে না, সূতিকাগার এটি। ঐতিহ্যবাহী জব্বারের বলী খেলা এখানেই হয়।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা
নগর জীবনের ক্লান্তিকর এক ঘেঁয়েমি থেকে নগরবাসীকে একটু বিনোদনের ছোঁয়া দিতেফয়'স লেকের পাশে সবুজে ঘেরা বনবীথির আবেষ্টনীতে ১৯৮৯ সালে তৈরি করা হয়চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। ৬ একর জায়গার উপর বানর, সিংহ, হরিণ ও হনুমান এই চারপ্রজাতির ১৬টি প্রাণী নিয়ে যাত্রা শুরু হয় এর।বর্তমানে এই চিড়িয়াখানায় ৭২ প্রজাতির মোট ২৮০টি প্রাণী রয়েছে। যার মধ্যে ৩০প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৮ প্রজাতির পাখি ও ৪ প্রজাতির সরীসৃপ। ২০০০ সালেএখানকার প্রাণীর সংখ্যা ছিল ২৫০টি। গত ৭ বছরে মাত্র ৩০টি নতুন প্রাণী যোগহয়েছে। এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হচ্ছে প্যারা হরিণ, ধনেশ, তিতির, হনুমান তিতিরপ্রভৃতি।
কীভাবে যাবেন
সারা দেশের সঙ্গেই চট্টগ্রাম সড়ক, আকাশ ও রেলপথে সংযুক্ত। তবে ট্রেনের টিকিট পাওয়াটা মোটামুটি দুঃসাধ্য ব্যাপার। থাকার জন্য চট্টগ্রামে অনেক হোটেল রয়েছে। নগরীর জিইসি মোড়ের আশপাশে বিলাসবহুল হোটেলগুলো আছে, আর স্টেশন রোডে বাজেট হোটেলগুলো পাবেন।
ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম ট্রেনের সময়সূচী
চট্টগ্রামে নানান মানের হোটেল আছে । নীচে কয়েকটি বাজেট হোটেলে নাম ঠিকানা দেয়া হলোঃ
১. হোটেল প্যা রামাউন্ট, স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম। ভাড়াঃনন-এসি সিঙ্গেল ৮০০ টাকা, ডাবল ১৩০০ টাকা, এসি ১৪০০ টাকা ও ১৮০০ টাকা ।
যোগাযোগ : ০৩১-২৮৫৬৭৭১, ০১৭১-৩২৪৮৭৫৪।
২. হোটেল এশিয়ান এসআর, স্টেশন রোড, চট্টগ্রাম। ভাড়া : নন এসি : ১০০০ টাকা, নন এসি সিঙ্গেল। এসি : ১৭২৫ টাকা ।
যোগাযোগ: ০১৭১১-৮৮৯৫৫৫।
৩. হোটেল সাফিনা, এনায়েত বাজার, চট্টগ্রাম। একটি পারিবারিক পরিবেশের মাঝারি মানের হোটেল । ভাড়া : ৭০০ টাকা থেকে শুরু । এসি ১৩০০ টাকা ।
যোগাযোগ: ০৩১-০৬১৪০।
৪. হোটেল নাবা ইন, রোড ৫, প্লট-৬০, ও আর নিজাম রোড, চট্টগ্রাম। যারা নাসিরাবাদ/ও আর নিজাম রোড এলাকায় থাকতে চান তাদের জন্য আদর্শ । ভাড়া : ২৫০০/৩০০০ টাকা ।
যোগাযোগঃ০১৭৫৫ ৫৬৪৩৮২
৫. হোটেল ল্যান্ডমার্ক, ৩০৭২ শেখ মুজিব রোড, আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম। ভাড়া-২৩০০/৩৪০০ টাকা যোগাযোগ: ০১৮২-০১৪১৯৯৫, ০১৭৩১-৮৮৬৯৯৭।