সীতাকুণ্ড জাহাজ ভাঙ্গা এলাকা-Sitakund Ship Breaking Yard
সীতাকুন্ড শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড বাংলাদেশের চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ডের উপকূলীয় অঞ্চলে গড়ে উঠা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম পুরাতন জাহাজ ভাঙ্গা এলাকা। যা চট্টগ্রাম শহরের ২০ কিঃ মিঃ উত্তর-পশ্চিমে সীতাকুন্ড উপকূলে ফৌজদার হাটের ১৮ কিঃমিঃ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।
১০০শ'টির অধিক ইয়ার্ড, দুই লক্ষেরও বেশি লোকের কর্মসংস্থান এবং দেশের মোট ইস্পাতের অর্ধেকের যোগান দেওয়ায় এটা পৃথিবীর বৃহত্তম জাহাজ ভাঙ্গা শিল্প অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশন বা বিএসবিএ-র দাবি, সীতাকুন্ডুর জাহাজ ভাঙ্গার এসব ওয়ার্কশপই বিশ্বে খোলা আকাশের নিচে ওয়ার্কশপগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় ৷
১৯৬০ সালের প্রলয়ংকারি জলোচ্ছ্বাসে গ্রীক জাহাজ এম ভি অলপাইন আটকে পড়ে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড সমুদ্র উপকূলের ফৌজদারহাট, এলাকায় দীর্ঘ কয়েক বছর আটকে থাকার পর ১৯৬৫ সালে চট্টগ্রাম স্টিল মিলের কর্মীরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় জাহাজটি ভাঙ্গা শুরু করে এবং পরবর্তিতে তা বিক্রি করে এভাবেই মূলত জাহাজ ভাঙ্গার উৎপত্তি। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন সময়ে পাকিস্তানি জাহাজ আল আব্বাস বোমার আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে চট্টগ্রামে আটকা পড়ে। সেই সময়ে চট্টগ্রাম বন্দরে কর্মরত রাশিয়ান একটি দল জাহাজটিকে ফৌজদার হাট উপকূলে নিয়ে আসে। পরবর্তিতে, ১৯৭৪ সালে কর্ণফুলী মেটাল ওয়ার্কশপ লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি জাহাজটি স্ক্র্যাপ হিশেবে কিনে নিয়ে ভাঙ্গা আরম্ভ করলে স্বাধীন বাংলাদেশে জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের গোড়াপত্তন হয়।