লালাখাল-Lalakhal tour
Lalakhal tour

লালাখাল-Lalakhal tour

লালাখাল বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের জৈন্তাপুর উপজেলায় অবস্থিত। সিলেট শহর থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে জৈন্তাপুর উপজেলায় স্বচ্ছ নীল পানির নদী ‘লালাখাল( Lalakhal tour details sylhet )’। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমি। প্রকৃতিকে একান্তে অনুভব করার জন্য স্থানটি বেশ উপযোগী। পাহাড়ে ঘন সবুজ বন, নদী, চা-বাগান ও নানা জাতের বৃক্ষের সমাহার লালাখালজুড়ে। পানি আর প্রকৃতির সঙ্গে মিশে যাওয়া এখানকার মানুষের জীবনযাত্রাও আপনাকে দেবে নতুন করে বাঁচার প্রেরণা। লালাখালে গেলে আদিবাসীদের সঙ্গে আপনার সখ্যের সুযোগও থাকছে! সবকিছু মিলিয়ে এলাকাটি পর্যটকদের কাছে বেশ প্রিয়, কাঙ্ক্ষিত ও প্রতীক্ষিত একটি স্থান। সড়কপথ, নৌপথ দুভাবেই যাওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও নৌ ভ্রমণটা বেশি উপভোগ্য বলে এটাকেই বেছে নেয় অধিকাংশ পর্যটক। নৌপথে যেতে যেতে যেদিকে চোখ যায়, মুগ্ধতায় নেমে আসে মগ্নতা! নিশ্চিতভাবে কিছুক্ষণের জন্য আপনি কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যেতে চলছেন, এ খেয়াল হবেই না! ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখালের অবস্থান। চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে উৎপন্ন এই নদী বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত।

বিবরণ

ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচেই লালাখালের অবস্থান। চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে উৎপন্ন এই নদী বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত। লালাখালের পানি নীল। মুলতঃ জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে আসা প্রবহমান পানির সাথে মিশে থাকা খনিজ এবং কাদার পরিবর্তে নদীর বালুময় তলদেশের কারনেই এই নদীর পানির রঙ এরকম দেখায়। লালাখাল নদীতে অসংখ্য বাঁকের দেখা মেলে। 

লালাখালের পানি নীল কেনো

লালাখানের অবস্থান ভারতের চেরাপুঞ্জির ঠিক নিচে। চেরাপুঞ্জি পাহাড় থেকে উৎপন্ন এই নদী বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। জৈন্তিয়া পাহাড় থেকে আসা প্রবাহমান পানির সাথে মিশে থাকা খনিজ এবং নদীর তলদেশ কাদার পরিবর্তে বালুময় হওয়ার কারনে পানির রঙ নীল দেখায়।

লালাখালে গিয়ে যা দেখবেন

এ যেন বাংলার নীল নদ! নদীর দুই পাশের সবুজ গাছপালা আর সুদূরের ছোট-বড় পাহাড়ের দৃশ্য দেখতে দেখতে কখন যে ভারতের বর্ডারের কাছাকাছি চলে যাবেন টেরও পাবেন না! লালাখালের সৌন্দর্য উপভোগের জন্য যাত্রার শুরুতেই পাড়ি দিতে হবে ছোট ছোট টিলা আর পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে এঁকেবেঁকে চলা এক নদী।

লালাখালের বিভিন্ন অংশে নীল, সবুজ এবং স্বচ্ছ পানির দেখা মিলে। চাইলে তামাবিল অংশের স্বচ্ছ পানির সারি নদীর উপর দিয়ে স্পীডবোট বা নৌকায় লালাখালে যেতে পারেন। ৪৫ মিনিটের এ যাত্রা আপনাকে লালাখালের সৌন্দর্য্যে বাকরুদ্ধ করে রাখবে।

ঋতু বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলাতে থাকে লালাখাল। ভরা বর্ষায় লালাখালের সৌন্দর্য দ্বিগুণ বেড়ে যায়। তবে বর্ষায় পাহাড়ি ঢলে লালাখালের পানি হারিয়ে ফেলে স্বচ্ছতা। তখন পানি বেশ ঘোলাটে বর্ণ ধারণ করে।

লালাখালে যাওয়ার সময়

লালাখালের প্রকৃত রূপ দেখা যায় শীতে। পানির রং তখন বদলে গিয়ে পুরোপুরি নীল হতে শুরু করে। আবার শরতে দেখা যায় এর ভিন্ন রূপ। পালকের মতো নরম সাদা কাশফুলের দেখা মেলে এর প্রতিটা বাঁকে। শুধু কাশবনই নয়, লালাখালের দু’পাশে গড়ে ওঠা চা বাগান নিয়ে যাবে অন্য এক জগতে

কোথায় থাকবেন

আপনি চাইলে পারবেন লালাখাল এর পাড়ে রাত কাটাতে। নর্দার্ন রিসোর্ট নামে রিসোর্টটির নিজেদের পরিবহন ব্যবস্থাও আছে।আরেকটি আবাসন ব্যবস্থা হলো নাজিমগড় রিসোর্ট (Nazimgarh Resorts) যা লালাখাল এর খুব কাছে খাদিমনগরে অবস্থিত। আগে থেকে যোগাযোগ করে যাওয়া ভাল। নাহলে রিসোর্টে রুম নাও মিলতে পারে। নাজিমগড় রিসোর্টে থাকার জন্য আছে তিন ধরনের ব্যবস্থা। আছে বিশাল টেরেস, ছোট ছোট বাংলো ও বড় ভিলা। একেকটির ভাড়া একেক রকম, তবে আধুনিক সুযোগ-সুবিধায় পাঁচতারা হোটেলের সমান। আছে স্পা ও পুল, যেখানে দূর করতে পারেন শরীরের অবসাদ। সবচেয়ে বড় কথা প্রতিটি স্থাপনাই গাছপালা-জঙ্গলে ছাওয়া টিলার ধারে। ভিলা, টেরেস বা বাংলোর বারান্দায় বসে হাত বাড়ালেই যেন পাওয়া যায় গাছগাছালির ছোঁয়া। সাধারণ হোটেল-কটেজের চেয়ে নাজিমগড়ে থাকার খরচটা একটু বেশিই মনে হবে। এক রাতের জন্য সবচেয়ে কমদামি ‘প্রিমিয়ার’ কক্ষের ভাড়া পড়বে প্রায় ৭ হাজার টাকা, আর প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুইটের ভাড়া প্রায় ১৫ হাজার। এক কক্ষে থাকতে পারবেন সর্বোচ্চ ৩ জন, তবে ৮ বছরের নিচের শিশুর জন্য ভাড়া লাগবে না। এ ভাড়ার মধ্যে পাবেন দুজনের সকালের নাশতা।

এ ছাড়া সিলেট শহরে রাত যাপন করে একদিনে মাত্র লালাখাল ঘুরতে পারেন। অথবা বিছনাকান্দি ও জাফলং যেকোনো একটার সঙ্গে মিলিয়ে বিকেলের ভ্রমণটা লালাখালে হতে পারে। সিলেট শহর থেকে বেশ দূর হওয়ায় সন্ধ্যার দিকে নদীতে কোনো নৌকা থাকে না। তাই ভ্রমণ বা ঘোরাঘুরি সন্ধ্যার মধ্যেই শেষ করতে হয়। সবচেয়ে ভালো হয় নৌকা ভাড়া নিয়ে যাতায়াত করলে।

খরচ

ঢাকা-সিলেট নন-এসি বাসঃ ৪৮০ টাকা

টিলাগড় থেকে সারিঘাট, লেগুনা/বাসঃ ৪০-৬০ টাকা

লালাখাল অটোস্ট্যান্ড থেকে লালাখাল, অটোঃ ১৫ টাকা

ট্রলার রিজার্ভ ঘন্টা প্রতিঃ ৩০০-১০০০ টাকা

সিলেট-ঢাকা নন-এসি বাসঃ ৪৮০ টাকা

১৫০০-২০০০ টাকার ভিতর ঢাকা থেকে নন-এসি বাসে লালাখাল ঘুরে আসা সম্ভব। কয়জন যাচ্ছেন, কিভাবে যাচ্ছেন তার উপর খরচ নির্ভর করবে।

পায়ে হেঁটে লালাখাল ভ্রমণে খরচ

টিলাগড় থেকে সারিঘাট, লেগুনা/বাসঃ ৪০-৬০ টাকা

লালাখাল অটোস্ট্যান্ড থেকে লালাখাল, অটোঃ ১৫ টাকা

নৌকা পারাপারঃ ৫ টাকা

ট্রলার না নেওয়ায় ট্রলারের খরচ বেঁচে যাবে। এছাড়া বাস/খাবার কিভাবে যাবেন, খাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করবে।

কিভাবে যাবেন

লালাখালে যেতে হলে সিলেটের শিশু পার্কের সামনে থেকে লেগুনা অথবা জাফলংয়ের বাসে চেপে সিলেট-তামাবিল সড়ক ধরে যেতে হবে সারিঘাট। সিলেট আর জাফলং মাঝামাঝি এ স্থানটির নাম সারিঘাট। আগেই বলা হয়েছে, যাওয়ার জন্য পথ দুটি সড়কপথ ও নৌপথ। সড়ক পথে যেতে চাইলে মাইক্রোবাস বা কার ভাড়া নিলে ভালো হয়। তা ছাড়া সিলেট শহর থেকে বাস, লেগুনায় সারিঘাট গিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া নিতে পারেন। নৌপথে যেতে চাইলে আগে সারিঘাট পর্যন্ত একই নিয়মে বাস, লেগুনায় গিয়ে নৌযান ভাড়া নিতে হবে। ফেরার পথে এখান থেকে বাসে কিংবা লেগুনায় আসতে পারবেন। রাত ৮টা নাগাদ যানবাহন পাওয়া যাবে।

ড্রিমল্যান্ড পার্ক-Dreamland Park
কাপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী-Kapotaksh Express train schedule
বোটানিক্যাল গার্ডেন-National Botanical Garden
ঢাকা থেকে সিলেট ট্রেনের সময়সূচী-Dhaka to Sylhet train Schedule
সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান-Satchhari National Park
নীলসাগর এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩-Nilsagar Express train ২০২৪
পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ট্রেনের নতুন সময়সূচী-New schedule of Panchagarh Express train
হযরত শাহ পরাণ (রাঃ) এর মাজার
নুহাশ পল্লী - Nuhash Palli
হাছন রাজা মিউজিয়াম-Hason Raja Museum