সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩-Silk City Express train schedule 2023
সিল্কসিটি এক্সপ্রেস বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালিত আন্তঃনগর ট্রেনসমূহের মাঝে অন্যতম একটি ট্রেন। ট্রেনটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে বাংলাদেশের প্রাচীনতম শহর তথা পশ্চিমাঞ্চলীয় পরিচ্ছন্ন মহানগরী রাজশাহীর মাঝে যাতায়ত করে। এটি বিলাসবহুল ও অত্যাধুনিক আন্তঃনগর ট্রেন। ২০০৩ সালের ১৪ই আগষ্ট ট্রেনটি চালু হয়। সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন নাম্বার ৭৫৪/৭৫৫ ।
সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
একটি ট্রেনে যাতায়াত করতে হলে তার সময়সূচী সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা থাকা উচিত। তাই সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটির সময়সূচী সম্পর্কে সম্পূর্ণ ধারণা দেব। সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি সপ্তাহের ছয়দিন যাতায়াত করে এবং রবিবার ছুটির দিন বন্ধ থাকে। এই ট্রেনটি ঢাকা কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে দুপুর ০২:৪৫ রওনা দেয় এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশনে এসে রাত ০৮:৫০ এ পৌছায়। আবার ফেরত ট্রিপ হিসেবে চাঁপাইনবাবগঞ্জ স্টেশন থেকে সকাল ০৭:৪০ মিনিটে রওনা হয় এবং দুপুর ০১:৩০ ঢাকার কমলাপুর স্টেশনে এসে পৌঁছায়।
ট্রেনের নাম | পৌছানোর সময় | ছাড়ার সময় | ছুটির দিন |
রাজশাহী থেকে ঢাকা | দুপুর ০২:৪৫ | রাত ০৮:৫০ | রবিবার |
ঢাকা থেকে রাজশাহী | সকাল ০৭:৪০ | দুপুর ০১:৩০ | রবিবার |
সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন
সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটে চলাচল করে। যাত্রাপথে কোন কোন স্টেশনে বিরতি রাখেন সেই স্টেশনের নাম ও সময় জানতে পারবেন এখান থেকে। সিল্কসিটি এক্সপ্রেস এর এই যাত্রায় ১২টি স্টেশনে বিরতি রাখেন। বিরতি স্টেশন গুলোর নাম।
বিমানবন্দর
জয়দেবপুর
মির্জাপুর
টাঙ্গাইল
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব
শহীদ এম মনসুর আলী
জামতৈল
উল্লাপাড়া
বড়াল ব্রীজ
চাটমোহর
ঈশ্বরদী
আব্দুলপুর
সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের মূল্য
খুব স্বল্প মূল্যে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ভ্রমণ করতে পারবেন। এখানে মাত্র কিছু ক্যাটাগরির টিকিট বিক্রয় করা হয়। আপনি চার ক্যাটাগরির টিকিট নিয়ে সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে যাতায়াত করতে পারবেন। তারমধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হলঃ শোভন চেয়ার, স্নিগ্ধা এসি, এসি সিট, এসি বার্থ টিকেট। এই টিকিটগুলো অনলাইন থেকে নেওয়া সুব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি স্টেশন থেকে স্লিক সিটি এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট নেওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে।
আসন | টিকিটের মূল্য |
শোভন চেয়ার | ৩৪০ টাকা |
স্নিগ্ধা | ৫৭০ টাকা |
এসি সিট | ৬৮০ টাকা |
এসি বার্থ | ১০২০ টাকা |
অনলাইনে টিকেট কাটার নিয়ম
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।