মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩-Mohanganj Express Train Schedule 2023
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৮৯/৭৯০) বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশের একটি আন্তঃনগর ট্রেন। এটি ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে। এই ট্রেন ২০১৬ সালের ৮ই সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হয়। ঢাকা−মোহনগঞ্জ রেলপথে এই ট্রেনের পাশাপাশি হাওর এক্সপ্রেস নামক আরও একটি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করে। এটি সপ্তাহে ৬ দিন চলাচল করে। মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস সোমবার ছুটির দিন। মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের দূরত্ব ২১০ কিলোমিটার (১৩০ মাইল) এবং যাত্রা পথে সময় নেয় ৬ ঘণ্টা। মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ৬৫৬টি আসন রয়েছে।
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা টু মোহনগঞ্জ এ রুটে ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে মোহনগঞ্জের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে ২:২০ এ এবং এই ট্রেনটি তার গন্তব্যস্থলে এসে পৌঁছায় ৮:৪০ মিনিটে। অপরদিকে মোহনগঞ্জ টু ঢাকা এ রুটে চলাচলকারী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি মোহনগঞ্জ রেল স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে ১১ টা ০০ মিনিটে এবং এটি তার গন্তব্যস্থলে এসে পৌঁছায় ০৫:০০মিনিটে।
স্টেশন | ছাড়ার সময় | পৌছানোর সময় | ছুটির দিন |
ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জ | দুদুর ০২:২০ | রাত ০৮:৪০ | সোমবার |
মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকা | রাত ১১:০০ | সকাল ০৫:০০ | সোমবার |
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন ও সময়সূচী
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকা যাত্রাকালে এবং ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জ যাত্রাকালে অনেক স্টেশনে বিরতি দেয়। আমরা এখন আমাদের অনুচ্ছেদের এই অংশে সে বিরতি স্টেশন গুলোর নাম এবং সময়সূচী গুলো উল্লেখ করব।
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জ যাওয়ার পথে যেসব স্টেশনগুলোতে বিরতি দেয় সেগুলো হলো: বিমানবন্দর দুপুর ০২:৪৭ ,গফরগাঁও বিকাল ০৪:১৭, ময়মনসিংহ বিকাল ০৫:০৫, শ্যামগঞ্জ বিকাল ০৬:২০, নেত্রকোনা বিকাল ০৬:৫০, ঠাকুরগাঁও সন্ধ্যা ০৭:২০ মিনিট ,বারহাট্টা সন্ধ্যা ০৭:৩০।
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেন মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে যেসব স্টেশনগুলোতে বিরতি দেয় সেগুলো হলো: বারহাট্টা রাত ১১:২০, ঠাকুরগাঁও রাত ১১:৪০, নেত্রকোনা রাত ১২:১০, শ্যামগঞ্জ রাত ১২:৪৫ ,ময়মনসিংহ রাত ০১:৪৫ ,গফরগাঁও রাত ০২:৫২, বিমানবন্দর রাত ০৪:২০।
বিরতি স্টেশন | ঢাকা থেকে মোহনগঞ্জ | মোহনগঞ্জ থেকে ঢাকা |
বিমানবন্দর | দুপুর ০২:৪৭ | রাত ০৪:২০ |
গফরগাঁও | বিকাল ০৪:১৭ | রাত ০২:৫২ |
ময়মনসিংহ | বিকাল ০৫:০৫ | রাত ০১:৪৫ |
শ্যামগঞ্জ | বিকাল ০৬:২০ | রাত ১২:৪৫ |
নেত্রকোনা | বিকাল ০৬:৫০ | রাত ১২:১০ |
ঠাকুরগাঁও | সন্ধ্যা ০৭:২০ | রাত ১১:৪০ |
বারহাট্টা | সন্ধ্যা ০৭:৩০ | রাত ১১:২০ |
মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
এই ট্রেনটিতে শোভন , শোভন চেয়ার, প্রথম সিট, এসি সিট, এসি বার্থ রয়েছে। যারা অল্প খরচে ভ্রমণ করতে চান তারা ভ্রমণ করতে পারবেন। আবার যারা বিলাসবহুল ভ্রমণ করতে পছন্দ করেন তাদের জন্য ভালো মানের আসন ব্যবস্থা ও এই ট্রেনে রয়েছে।
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
শোভন | ১৮৫ টাকা |
শোভন চেয়ার | ২২০ টাকা |
প্রথম সিট | ৪২৬ টাকা |
এসি বার্থ | ৪৯০ টাকা |
অনলাইনে টিকেট কাটার নিয়ম
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।