
পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩-Parabat Express train schedule 2023
পারাবত এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭০৯/৭১০) বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিষেবার একটি আন্তঃনগর ট্রেন যা রাজধানী ঢাকা থেকে সিলেট জেলার সিলেট রেলওয়ে স্টেশনের মধ্যে চলাচল করে। এটি কমলাপুর থেকে সিলেট স্টেশনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এটি বাংলাদেশের দ্রুত ও বিলাসবহুল ট্রেনগুলোর একটি। এই ট্রেন সেবাটি ১৯৮৬ সালে চালু করা হয়। ট্রেনটি ঢাকা রেলস্টেশন থেকে মঙ্গলবার ছাড়া সপ্তাহে ৬ দিন ছেড়ে যায়। পারাবত এক্সপ্রেস বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কে অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত একটি ট্রেন। এটি অন্যান্য এক্সপ্রেস ট্রেনগুলির চেয়ে কম স্থানে থামে এবং কেবল কিছু বড় স্টেশনে থামে।
পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা টু সিলেট এবং সিলেট থেকে ঢাকা রুটে নিয়মিত চলাচল করে ঢাকা টু সিলেট গামী পারাবত এক্সপ্রেস সপ্তাহে 6 দিন চলাচল করে। এই ট্রেনটি শুধু মঙ্গলবার বন্ধ থাকে। অপরদিকে সিলেট টু ঢাকা গামি পারাবত এক্সপ্রেস সপ্তাহে ছয়দিন চলাচল করে। এই ট্রেনটিও শুধু মঙ্গলবার বন্ধ থাকে।
পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে সিলেটের উদ্দেশ্যে ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসে ৬ টা ২০ মিনিটে এবং তার গন্তব্যস্থলে এসে পৌঁছায় ১ টা ১০ মিনিটে। অপরদিকে পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনটি সিলেট থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে সিলেট রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসে ৩টা ৪৫ মিনিটে এ এবং তার গন্তব্যস্থলে এসে পৌঁছায় ১০ টা ৪০ মিনিটে।
স্টেশনের নাম | ছাড়ার সময় | পৌছানোর সময় | ছুটির দিন |
ঢাকা থেকে সিলেট | সকাল ৬ টা ২০ | দুপুর ১ টা ১০ | মঙ্গলবার |
সিলেট থেকে ঢাকা | দুপুর ৩টা ৪৫ | রাত ১০টা ৪০ | মঙ্গলবার |
পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন ও সময়সূচী
পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রাপথে কয়েকটি স্টেশনে বিরতি দিয়ে থাকে আমরা এখন সেই স্টেশন গুলোর নাম এবং সময় গুলো উল্লেখ করা হলো।
বিরতি স্টেশন | ঢাকা থেকে (৭০৯) | সিলেট থেকে(৭১০) |
বিমানবন্দর | সকাল ০৬:৪৭ | রাত ১০:২০ |
ভৈরব | সকাল ০৭:৫৩ | রাত ০৮:৫৩ |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া | সকাল ০৮:১৬ | রাত ০৮:৩০ |
আজমপুর | সকাল ০৮:৪০ | রাত ০৮:০৮ |
নোয়াপাড়া | সকাল ০৯:২০ | রাত ০৭:১৮ |
শায়েস্তাগঞ্জ | সকাল ০৯:৪৯ | রাত ০৬:৫২ |
শ্রীমঙ্গল | সকাল ১০:৩০ | সন্ধ্যা ০৫:৫৫ |
ভানুগাছ | সকাল ১০:৫৩ | বিকেল ০৫:৩৩ |
কুলাউড়া | সকাল ১১:২৭ | বিকেল ০৪:৫৮ |
মাইজগাঁও | দুপুর ১২:০০ | বিকেল ০৪:২৩ |
পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটের মূল্য
পারাবত এক্সপ্রেসে চার ধরনের টিকিট রয়েছে যেমন- শোভন চেয়ার,স্নিগ্ধা ,প্রথম আসন এবং এসি সীট। সমস্ত টিকিটের মূল্য নীচে দেওয়া আছে।
আসন | টিকিটের মূল্য প্রাপ্তবয়স্ক (১৫% ভ্যাট) | টিকিটের মূল্য শিশু (১৫% ভ্যাট) |
শোভন চেয়ার | ৩২০ টাকা | ২১৫ টাকা |
স্নিগ্ধা | ৬১০ টাকা | ৪০৩ টাকা |
প্রথম আসন | ৪২৫ টাকা | ২৮০ টাকা |
এসি সিট | ৭৩৬ টাকা | ৪৮৯ টাকা |
রোলিং স্টক
পারাবত এক্সপ্রেস সাধারণত বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি ২৯০০ শ্রেণীর লোকোমোটিভ দ্বারা চালানো হয়। তবে, কখনও কখনও রোলিং স্টক সংকটের কারণে এটি একটি ২৬০০ শ্রেণীর লোকোমোটিভ দ্বারা চালানো হয়। ট্রেনটিতে একটি এয়ার-ব্রেকযুক্ত লোকোমোটিভ প্রয়োজন যা বাধ্যতামূলক।
ট্রেনটি বর্তমানে ১৬টি পিটি ইনকা (ইন্ডাস্ট্রি কেরেতা এপি) তৈরি এয়ার-ব্রেক বগি নিয়ে চলাচল করে। এই বগিগুলি ২ সেপ্টেম্বরে ২০১৬ সালে পরিষেবায় আসে। এই ট্রেনে আটটি চেয়ার গাড়ি, দুটি এসি চেয়ার গাড়ি, দুটি নন এসি চেয়ার গাড়ি, সংযুক্ত খাবার ঘরসহ দুটি গার্ড ব্রেক, একটি নন এসি কেবিন এবং একটি জেনারেটর গাড়ি রয়েছে। ইনকা কোচ চালু করার আগে ট্রেনটি পুরানো ভ্যাকুয়াম ব্রেক বগি নিয়ে চলাচল করত। তবে ট্রেনটি ১৯৯৯ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে ইরানি এয়ার-ব্রেক বগি নিয়ে চলাচল করত। পরে, রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যার কারণে ইরানির এয়ারব্রেক বগি বাদ দিয়ে, তার বদলে ২০১১ সালে ভ্যাকুয়াম কোচ যুক্ত করা হয়েছিল।
অনলাইনে টিকেট কাটার নতুন নিয়ম
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।
সাম্প্রতিক মন্তব্য
#Nadim Hossain
গফরগাঁও টু ময়মনসিংহ ট্রেনের সময় কয়টায় (বলাকা)