যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩-Schedule of Jamuna Express Train 2023
যমুনা এক্সপ্রেস (ট্রেন নম্বর ৭৪৫/৭৪৬) বাংলাদেশ রেলওয়ের অধীনে পরিচালিত ঢাকা থেকে তারাকান্দি রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচলকারী একটি আন্তঃনগর ট্রেন। এটি ১৯৮৮ সালের ৩০ জানুয়ারি থেকে চলাচল করছে। যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন বাংলাদেশের অন্যতম দ্রুত এবং বিলাসবহুল ট্রেন। এই ট্রেনটি সপ্তাহের সাত দিন চলাচল করে। ট্রেনের বর্তমান পরিচালক হলেন বাংলাদেশ রেলপথ। এর ভ্রমণ গতিবেগ প্রতি ঘন্টা 76 কিলোমিটার। এই ট্রেনটি যাত্রা পথে যাত্রীদের অনেক সুবিধা বা সেবা দিয়ে থাকে। এই ট্রেনে যাত্রাপথে খাদ্য সেবা আসনবিন্যাস এসি নন এসি ঘুমানোর ব্যবস্থা বিনোদন সহ নানা সুবিধা দিয়ে থাকে। তাছাড়াও এই ট্রেনে রয়েছে নামাজের জায়গা।
যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যারা তারা অবশ্যই এখান থেকে ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে জানবেন । আমরা সময়সূচী একটা সত্য তালিকা আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। নিচে সময়সূচির তালিকাটি দেওয়া রয়েছে।
যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা থেকে তারাকান্দি এর উদ্দেশ্যে স্টেশন থেকে ছাড়ে ৪ টা ৪৫ মিনিটে। ট্রেনটি তার গন্তব্য স্থানে এসে পৌঁছায় ১০:৫৫ মিনিটে। যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন তারাকান্দি থেকে ঢাকা র উদ্দেশ্যে তারাকান্দি রেলওয়ে স্টেশন থেকে ছেড়ে আসে ২:০০ এবং এই ট্রেনটি ঢাকা কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন এসে পৌঁছায় ৭ টা ৪৫ মিনিটে।
স্টেশন | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় | ছুটির দিন |
ঢাকা টু তারাকান্দি | ৪ টা ৪৫ মিনিট | ১০ টা৫৫ মিনিট | নেই |
তারাকান্দি টু ঢাকা | ২ টা ০০ মিনিট | ৭ টা ৪৫ মিনিট | নেই |
যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন বিরতি স্টেশন ও সময়সূচী
যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা থেকে তারা তারাকান্দি এবং তারাকান্দি থেকে ঢাকা যাওয়ার সময় কয়েকটি স্টেশনে বিরতি দেয় আমরা আমাদের অনুচ্ছেদের এই অংশে বিরতি স্টেশন গুলো সম্পর্কে আলোচনা করব।
যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা থেকে তারাকান্দি যাওয়ার পথে যেসব স্টেশনগুলোতে বিরতি দেয় সেগুলো হলো: বিমানবন্দর ৫:১৭, জয়দেবপুর ৫:৪৭, শ্রীপুর ৬:১৬ মিনিট, গফরগাঁও ৬:৫৭, ময়মনসিংহ ৮:১০, জামালপুর ৯:২০, সরিষাবাড়ী ১০:১৫।
যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেন তারাকান্দি থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে যেসব স্টেশনগুলোতে বিরতি দেয় সেগুলো হলো: সরিষাবাড়ী 2:17, জামালপুর 3:10, ময়মনসিংহ 4:20, গফরগাঁও 5:12, শ্রীপুর 5:48, জয়দেবপুর 6:20, বিমানবন্দর 6:50।
বিরতি স্টেশন নাম | ঢাকা থেকে (৭৪৫) | তারাকান্দি থেকে (৭৪৬) |
বিমানবন্দর | বিকাল ৫ঃ১৭ | সকাল ০৬ঃ৫০ |
জয়দেবপুর | বিকাল ৫ঃ৪৭ | সকাল ০৬ঃ২০ |
শ্রীপুর | বিকাল ৬ঃ১৬ | সকাল ০৫ঃ৪৮ |
গফরগাঁও | বিকাল ৬ঃ৫৭ | সকাল ০৫ঃ১২ |
ময়মনসিংহ | রাত ৮ঃ১০ | ভোর ০৪ঃ২০ |
জামালপুর | রাত ৯ঃ২০ | রাত ০৩ঃ১০ |
জামালপুর | রাত ১০ঃ১৫ | রাত ০২ঃ১৭ |
যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়া তালিকা
অর্থ সচেতন মানুষ প্রাণ ভ্রমণ খরচ সম্পর্কিত তথ্য প্রমাণের পূর্বেই জানার। এছাড়াও অনেকেই ভ্রমণের পূর্বে ভ্রমণ খরচ জ্ঞান অর্জন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এই কারণগুলো ছাড়াও ট্রেনে রয়েছে শ্রেণীবিন্যাস শ্রেণীবিন্যাস ভিত্তিক কোন শ্রেণীতে টিকিটের মূল্য কত এই বিষয়গুলো জানা একান্ত জরুরি বলে জানা যাচ্ছে। তাই আমরা এখানে যমুনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা টি তুলে ধরেছি।
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
শোভন | ১৮৫ টাকা |
শোভন চেয়ার | ২২০ টাকা |
প্রথম সিট | ২৯৫ টাকা |
প্রথম বার্থ | ৪৪০ টাকা |
স্নিগ্ধা | ৪২০ টাকা |
এসি সিট | ৫০৬ টাকা |
এসি বার্থ | ৭৫৪ টাকা |
অনলাইনে টিকেট কাটার নতুন নিয়ম
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।