তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩-Teesta Express train schedule 2023
তিস্তা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭০৭/৭০৮) বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশের একটি বিরতিহীন আন্তঃনগর ট্রেন। এটি ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ বাজার রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে। ঢাকা−দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে এই ট্রেনের পাশাপাশি ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস, দেওয়ানগঞ্জ কমিউটার, জামালপুর কমিউটার এবং ভাওয়াল এক্সপ্রেস চলাচল করে।
তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেন ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ রুটি সপ্তাহে ছয় দিন চলাচল করেন এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে সময়সূচি অনুযায়ী নিম্নোক্ত সময় কার্যকর হয়। কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সকাল ৭:৩০ এ ছাড়ে দেওয়ানগঞ্জ বাজারে দুপুর ১২: ৪০ এ পৌছায় অপরদিকে ট্রেনটি দেওয়ানগঞ্জ বাজার থেকে বিকাল ০৩:০০ টায় ত্যাগ করেন এবং কমলাপুর রেলস্টেশনে রাত ০৮: ২৫ গমন করেন।
স্টেশনের নাম | ছাড়ার সময় | পৌছানোর সময় | ছুটির দিন |
ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জ | সকাল ৭:৩০ | দুপুর ১২: ৪০ | সোমবার |
দেওয়ানগঞ্জ থেকে ঢাকা | বিকাল ০৩:০০ | রাত ০৮: ২৫ | সোমবার |
তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতিস্থান এবং সময়সূচী
এবার জেনে নেয়া যাক তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরোধী স্থান ও সময় সূচি। অর্থাৎ তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দেওয়ানগঞ্জ টু ঢাকা যাওয়ার পথে কোন স্টেশনে কত মিনিট বিরতি রাখবেন।
বিরতি স্টেশন নাম | ঢাকা থেকে (৭০৭) | দেওয়ানগঞ্জ থেকে (৭০৮) |
বিমানবন্দর | সকাল ০৭ঃ৫৭ | সন্ধ্যা ০৭ঃ৪২ |
জয়দেবপুর | সকাল ০৮ঃ২৬ | |
গফরগাঁও | সকাল ০৯ঃ২৮ | বিকাল ০৫ঃ৫৭ |
ময়মনসিংহ | সকাল ১০ঃ২০ | বিকাল ০৫ঃ০৭ |
পিয়ারাপুর | সকাল ১০ঃ৫৫ | বিকাল ০৪ঃ২৭ |
জামালপুর | সকাল ১১ঃ২৯ | বিকাল ০৩ঃ৫২ |
তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
আপনি কি তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে করে দেওয়ানগঞ্জ টু ঢাকা যাওয়ার কথা ভাবছেন, তাহলে জেনে নিন তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটির টিকিটের মূল্য । তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটির টিকিটের দাম খুব বেশি নয় । তাই বলা যায় তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনটির টিকিটের মূল্য প্রায় সকল মানুষের জন্য উপলব্ধ । এখানে রয়েছে চার ধরনের সিট। প্রথম শিট, শোভন, শোভন চেয়ার ও সুলভ । প্রথম শিট, শোভন চেয়ার আরামদায়ক ও ভালো যাত্রার জন্য খুবই উপকারী। সকল টিকিটের দাম দেখতে নিচের টেবিলে চোখ রাখুন ।
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
সূলভ | ৭০ টাকা |
শোভন | ৯০ টাকা |
শোভন চেয়ার | ১২৫ টাকা |
প্রথম সিট | ১৮৫ টাকা |
তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের ঠিকানা ও যোগাযোগ নাম্বার
যদি কোনো যাত্রী তিস্তা এক্সপ্রেস ট্রেনের ঠিকানা জানতে চান এবং ট্রেন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চান তাহলে নিচে ঠিকানা ও যোগাযোগ নম্বর প্রদান করা হলো।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
ফোন নম্বর: ৯৩৫৮৬৩৪,৯৩৩১৮২২
মোবাইল নম্বর: ০১৭১১৬৯১৬১২
বিমানবন্দর রেলওয়ে ষ্টেশন
ফোন নম্বর: ৮৯২৪২৩৯
ওয়েবসাইট: https://railway.gov.bd/
মালামাল পরিবহন
একজন শীতাতপ শ্রেণীর যাত্রী ৫৬ কেজি, প্রথম শ্রেণীর যাত্রী ৩৭.৫ কেজি, শোভন শ্রেণীর যাত্রী ২৮ কেজি এবং সুলভ ২য় শ্রেণীর যাত্রী ২৩ কেজি মালামাল বিনা ভাড়ায় সঙ্গে নিয়ে যেতে পারেন।
অতিরিক্ত মালামাল মাশুল পরিশোধ করে তা লাগেজ হিসেবে তার নিজ গন্তব্যে নিতে পারেন। বড় স্টেশনগুলোতে লাগেজ বুকিংয়ের জন্য আলাদা কাউন্টার রয়েছে।
লাগেজ বহনের জন্য ট্রলির ব্যবস্থা আছে।
অসুস্থ ব্যাক্তিদের বহনের জন্য হুইল চেয়ারের ব্যবস্থা আছে
রোলিং স্টক
এই ট্রেনে ২৯০০ শ্রেণীর লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হয়। ট্রেনটি পূর্বে সবুজ-হলুদ রঙের পুরনো ভ্যাকুয়াম-ব্রেকের কোচের রেকে চলতো। তবে পরবর্তীতে ট্রেনটি লাল-সবুজ রঙের ইন্দোনেশীয় এয়ার ব্রেক কোচের রেকে চলাচল করে। ট্রেনটির লোড ১৮/৩৬।
খাওয়ার ব্যবস্থা
এই আন্তঃনগর ট্রেনগুলোতে খাওয়ার ব্যবস্থা সুবিধা রয়েছে. সুতরাং ট্রেন কর্তৃপক্ষ যাত্রীদের সুবিধার্থে একটি খাবারের কেবিন রেখেছেন যেখানে যাত্রীগণ সহজে খেতে পারবেন. তবে যে সমস্ত খাওয়ার এই ট্রেনের কেবিনে পাওয়া যায় তা হল: বার্গার, কেক, স্যান্ডউইচ, পেটিস, রোল, পারুটি, চা-কফি, কাটলেট, সিদ্ধ ডিম, চিকেন কাবাব, নানা ধরনের পানি ও মিনারেল ওয়াটার. সুতরাং এখান থেকে আপনি এছাড়াও আরও সুবিধা পাবেন দৈনিক পত্রিকা ও ম্যাগাজিন।
অনলাইনে টিকেট কাটার নিয়ম
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।