দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী ২০২৩-Dolanchampa Express Train Schedule 2023
দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস বাংলাদেশ রেলওয়ে সার্ভিস আরেকটি আন্তঃনগর ট্রেন। রাজনগর ট্রেন দিনাজপুর থেকে সান্তাহার এবং সান্তাহার থেকে দিনাজপুরের রুটে চলাচল করে। এই তিনটি বাংলাদেশের অন্যতম দ্রুতযান এবং বিলাসবহুল ট্রেন। দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেন এ সকল ধরনের মানুষ খুব অল্প সময়ে এবং দ্রুত দিনাজপুর থেকে সান্তাহার এবং সান্তাহার থেকে দিনাজপুর যেতে পারে।
দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেন নং ৭৬৭/৭৬৮ এটি উত্তরবঙ্গের জনপ্রিয় একটি আন্তঃনগর ট্রেন। এটি সান্তাহার থেকে ছাড়ে দুপুর ১ টা ৩০ মিনিটে, দিনাজপুর পৌছায় রাত ৮ টা ২০ মিনিটে। দিনাজপুর থেকে ছাড়ে সকাল ৬ টা ১০ মিনিটে, সান্তাহার পৌছায় দুপুর ১২ টা ২০ মিনিটে।
স্টেশন | ছাড়ার সময় | পৌছানোর সময় | ছুটির দিন |
সান্তাহার টু দিনাজপুর | দুপুর ১ টা ৩০ মিনিট | রাত ৮ টা ২০ মিনিট | রবিবার |
দিনাজপুর টু সান্তাহার | সকাল ৬ টা ১০ মিনিট | দুপুর ১২ টা ২০ মিনিট | রবিবার |
ভ্রমণ আনন্দদায়ক করার জন্য স্টেশন বিরতি ও সময়সূচী জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। স্টেশন বিরতি মূলত ট্রেন ভ্রমণ কে আনন্দদায়ক করে তুলে। দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনের ৬ ঘণ্টা ১০ মিনিটের যাত্রায় ১৪ টি স্টেশনে বিরতি রাখেন। স্টেশনের নাম ও বিরতির সময় নিচের টেবিলে দেওয়া হল।
বিরতি স্টেশন নাম | সান্তাহার থেকে (৭৬৭) | দিনাজপুর থেকে (৭৬৮) |
তালোড়া | দুপুর ১: ৫৫মিনিট | দুপুর ১২টা |
বগুড়া | দুপুর ২: ১৭ মিনিট | সকাল ১১:৩৫ মিনিট |
সোনাতলা | দুপুর ২: ৫২ মিনিট | সকাল ১১: ০১ মিনিট |
মহিমাগঞ্জ | দুপুর ৩: ০২ মিনিট | সকাল ১০: ৫১ মিনিট |
বোনারপাড়া | দুপুর ৩: ১২ মিনিট | সকাল ১০: ৩৯ মিনিট |
গাইবান্ধা | দপুর ৩: ৩৭ মিনিট | সকাল ১০: ১৪ মিনিট |
বামনডাঙ্গা | বিকাল ০৪: ১০ মিনিট | সকাল ০৯: ৪৩ মিনিট |
পীরগাছা | বিকাল ০৪:৩০ মিনিট | সকাল ০৯: ২৫ মিনিট |
কাউনিয়া | বিকাল ০৪: ৪৭ মিনিট | সকাল ০৮: ৫০ মিনিট |
রংপুর | বিকাল ০৫: ২৯ মিনিট | সকাল ০৮: ১৪ মিনিট |
বদরগঞ্জ | বিকাল ০৬:০৫ মিনিট | সকাল ০৭: ৪৫ মিনিট |
খোলাহাটি | বিকাল ০৬: ১৭ মিনিট | সকাল ০৭: ৩৫ মিনিট |
পার্বতীপুর | বিকাল ০৬: ৪৫ মিনিট | সকাল ০৭: ০০ মিনিট |
চিরিরবন্দর | সন্ধ্যা ০৭: ৩৩ মিনিট | সকাল ০৬: ৩৮ মিনিট |
দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে যদি আপনি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে ভাড়ার বিষয়টি আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দোলনচাঁপা এক্সপ্রেস ট্রেন টিকিট আপনি, টিকিট কাউন্টারে গিয়ে ক্রয় করতে পারেন, অথবা ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে ঘরে বসেই টিকিট ক্রয় করতে পারেন। আসল বিভাগও টিকিটের মূল্য নিচে দেওয়া হল।
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫%ভ্যাট) |
শোভন | ১২০ টাকা |
শোভন চেয়ার | ১৪৫ টাকা |
প্রথম বার্থ | ২৯০ টাকা |
স্নিগ্ধা | ২৪০ টাকা |
এসি সিট | ২৯০ টাকা |
এসি বার্থ | ৪৩০ টাকা |
যেখানে ট্রেন থামে সেই সমস্ত স্টেশন থেকে দোলনচাপা এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট সংগ্রহ করতে পারেন। আপনি যদি অনলাইনে টিকিট বুক করতে চান, তাহলে বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ই-টিকেটিং ওয়েবসাইট-https://www.esheba.cnsbd.com/- এ যান ।
এছাড়াও, আপনি আপনার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে একটি টিকিট কিনতে পারেন। কিছু মোবাইল ফোন অপারেটর ট্রেনের টিকিট কেনার সুবিধা নিয়ে আসছে।
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।
দোলনচাপা এক্সপ্রেস ট্রেনের সুবিধা
বাংলাদেশের সকল আন্তঃনগর ট্রেন কিছু সাধারণ সুবিধা প্রদান করছে। সুতরাং, দোলনচাপা এক্সপ্রেস ট্রেন কিছু সুবিধা প্রদান করে। এগুলো হলো- প্রতিটি বগিতে খাবারের বগি, প্রার্থনা কক্ষ, স্থায়ী টিকিট, পাবলিক টয়লেট।