দেবদারু গাছ-এর ভেষজ উপকারিতা বা ঔষধি গুণাগুণ
দেবদারু একপ্রকার চিরহরিৎ বৃক্ষ যা দীর্ঘকায় এবং শোভন পত্র-পল্লবের জন্য জনপ্রিয়। সরল, লম্বা, পত্রমোচী গাছ। পাতা ভল্লাকার, উজ্জ্বল সবুজ, ১৫-২৫*৩-৪সেমি। ফুল দেখতে ছোট এবং সবুজ-সাদা। ফল পাকে জুলাই-আগস্টে মাসে। প্রত্যেকটি ফল ১ সেমি লম্বা, ডিম্বাকার হয়। বীজে চাষ।
ইংরেজি নাম: false ashoka
বৈজ্ঞানিক নাম: Polyalthia longifolia
ভেষজ গুণাবলী
জ্বরে
দেবদারু গাছের ছাল বেটে রস বের করে সকালে ও বিকালে দুই চামচ করে খেলে জ্বর সেরে যাবে । জ্বর সারাতে দেবদারু গাছের ছাল অত্যন্ত কাযকারী ভূমিকা পালন করে থাকে ।
পেটে বায়ু জমলে:
দেবদারু ছালের ক্বাথ এক তোলা পরিমাণে নিয়ে তার সাথে মধু মিশিয়ে খেলে বায়ু নিঃসরণ হয়, কূপিত বায়ু নিবারিত হয়।
কাশিতে:
দেবদারু গাছের ছাল চূর্ণ করে কাপড়ে ঘেঁকে নিন। সে চূর্ণ এক চা-চামচ মধুসহ মিশিয়ে চেটে খান, কাশি কমে যাবে।
আমাশয় হলে:
দেবদারুর ছাল ১০ থেকে ১৫ গ্রাম নিয়ে তিন কাপ পানিতে সিদ্ধ করে, এক কাপ অবশিষ্ট থাকতে নামিয়ে সিকি কাপ ঘেঁকে নিয়ে, তার সাথে আধা চাচামচ দেবদারুর ছাল চূর্ণ একত্রে মিশিয়ে খেলে উপকার হয়।
চুলকানিতে:
যাদের চুলকানি ও খোস পাচড়া রয়েছে তাদের জন্য দেবদারু গাছের ছাল ভালো কাজ করে । প্রথমে দেবদারু গাছের ছাল সংগ্রহ করে ভালোভাবে পিষে নিন, এরপর চুলকানির জায়গায় মালিশের মত করে লাগিয়ে নিন । দৈনিক দুিই বার এটি লাগালে আপনার চুলকানি সহজে চলে যাবে ।
শোথ ও রক্তদৃষ্টিতে:
উপরোক্ত নিয়মে দেবদারুর ছালের ক্বাথ তৈরি করে ছেকে নিয়ে ৪ চা-চামচ মাত্রায় প্রতিদিন খেলে উপকার হয়।
প্রমেহ রোগ:
এক তোলা পরিমাণ দেবদারু গাছের ছালের রস নিয়ে মিসরীর সরবত তৈরি করে তার সাথে মিশিয়ে খান প্রতিদিন সকালে প্রমেহ আরোগ্য হবে।