![আফিম এর উপকারিতা ও অপকারিতা - Advantages and disadvantages of Opium poppy আফিম এর উপকারিতা ও অপকারিতা - Advantages and disadvantages of Opium poppy](https://www.agami24.com/uploads/2022/09/photos/Opium-poppy(Papaver-somniferum)-631aeb2c04d1c.webp)
আফিম এর উপকারিতা ও ঔষধি গুণাগুণ
আফিম বর্ষজীবী খাড়া বীরুৎ। ফুল সাদা, গোলাপী, লাল, বেগুনি অথবা বিবিধ বর্ণের। ফুল ৩ থেকে ৪ সেমি হয়। ফল ক্যাপসিউল, গোলকাকার, উপগোলকাকার। আফিমের বীজ ৩ মিলি। দো-আঁশ মাটি পপি চাষের উপযোগী।
ইংরেজি: Opium poppy
বৈজ্ঞানিক নাম: Papaver somniferum
আফিম এর উপকারিতা ও ঔষধি গুণাগুণ
১. স্নায়ু রোগে: অল্প দুধের সঙ্গে ২৫ মিলিগ্রাম আফিম মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
২.ডায়রিয়া: আম কার্নেল গুঁড়া দুই কাঁচা, আফিম ১৮০ মিলিগ্রাম এবং এক চতুর্থাংশ চা চামচ পরিমাণ মধ্যে দিনে ৩ বার খেলে উপকার পাবেন ।
৩. পাথুরি রোগে: ২৫ মিলিগ্রাম আফিং মিছরির জলের সাথে মিশিয়ে কিছুদিন খেলে উপকার পাবেন।
৪. মাথাব্যথা নিরাময় করতে: অর্ধেক গ্রাম আফিম এবং এক গ্রাম জায়ফল দুধের সঙ্গে মিশিয়ে, তৈরি পেস্ট করোটি বা দুই কোয়া গুঁড়া দিয়ে অর্ধেক গ্রাম আফিম প্রয়োগ করে, কপাল লেপ হালকা গরম ঠান্ডা এবং খারাপ দ্বারা সৃষ্ট মাথাব্যথা উপশম হবে ।
৫. দূর্বল স্বাস্থ্যে: যারা দূর্বল স্বাস্থ্যের মানুষ, কাজ-কর্ম করতে পারেন না, তারা একটি নির্দিষ্ট মাত্রা ঠিক করে নিয়ে প্রত্যহ দুধসহ আফিম খাবেন।
৬. বমিতে: ১৫ থেকে ২০ ফোঁটা আদার রস গরম করে, ঠান্ডা হলে ছেঁকে তার সঙ্গে ১৫ থেকে ২০ মিলিগ্রাম আফিম মিশিয়ে খাবেন, বমি কমে যাবে।
৭. অনিদ্রায়: গুড় ও পায়েমুলের গুঁড়া সমপরিমাণে মিশিয়ে নিন । এক চা চামচ ৮০ মিলিগ্রাম আফিম যোগ করুন এবং রাতে একটি খাবার পরে খাবেন তাহলে উপকার পাবেন ।
৮. একশিরাতে: ২০ থেকে ২৫ ফোঁটা আদার রসের সঙ্গে ১৫ থেকে ২০ মিলিগ্রাম আফিম মিশিয়ে প্রত্যহ একবার অথবা দুবার খেলে উপকার পাওয়া যায়।
৯.সর্দিগর্মিতে: ২০ থেকে ২৫ মিলিগ্রাম আফিম মিছরির জলসহ নিয়মিত কয়েকদিন খাবেন তাহলে উপকার পাবেন।
১০.অন্ত্রজ বায়ুগত রোগে: সকালে বিকালে কিছু খাবার পর ঈষদুষ্ণ বার্লির পানিসহ ২৫ মিলিগ্রাম আফিম মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
১১.হাত-পা কামড়ানো: ১০ থেকে ১৫ ফোঁটা আদার রসের সঙ্গে ১০ থেকে ১৫ মিলিগ্রাম আফিম মিশিয়ে খেলে হাত-পা কামড়ানো কমে যায়।
আফিম এর অপকারিতা
যারা নিয়মিত আফিম খাওয়া শুরু করেন তারা চোখের ছাত্রছাত্রীদের উপর রিকগনিসেবল প্রভাব ফেলে, অত্যধিক নিদ্রাহীনতা, ধীর শ্বাস, বিষণ্নতা, অত্যধিক ঘাম, ধীর পালস গতি, সাবলিমিলিটি, দুর্বলতা, সাহায্য, বিপরীতধর্মী, শরীর শীতল শ্বাসকষ্ট, ত্বকের সংকীর্ণতা, হাত-পা ও মুখের কালোমুখ ইত্যাদির মতো রোগ হয় এবং ঘটনাক্রমে মৃত্যু ঘটে ।
আফিম গ্রহনের পরিমাণ -৩০ থেকে ১২৫ মিলিগ্রাম ।