সোনা কপালি হরবোলা-Golden-fronted Leafbird
Golden-fronted Leafbird

সোনা কপালি হরবোলা

সোনালি-কপাল পাতা বুলবুলি,পাতা বুলবুলি, সবুজ পাতা বুলবুলি বা সোনা-কপালি হরবোলা ক্লোরোপসিডি পরিবার বা গোত্রের অন্তর্গত এক প্রজাতির পাতা বুলবুলি।

ইংরেজি: Golden-fronted Leafbird

বৈজ্ঞানিক নাম: Chloropsis aurifrons

বিবরণঃ 

সোনা-কপালি হরবোলা লম্বায় ১৮-১৯ সেন্টিমিটার। ওজনে পুরুষ পাখি প্রায় ৩০ গ্রাম ও স্ত্রী পাখি প্রায় ২৫ গ্রাম। কপাল কমলা-হলুদ বা সোনালি। কপালের নিচ থেকে দেহের উপরাংশ উজ্জ্বল সবুজ। ডানার ওপরের দিকটায় কিঞ্চিৎ আসমানি রং। চোখের দুই পাশ থেকে মুখ ও গলা কালো। চিবুক বেগুনি-নীল। গলার নিচ থেকে বুকের উপরাংশে রয়েছে সোনালি-হলুদ রেখা। ঠোঁট কালো, অগ্রভাগ বাঁকানো। চোখের মণি গাঢ় বাদামি। পা ও পায়ের পাতা কালো। স্ত্রী-পুরুষ পাখির মধ্যে সামান্য তফাৎ রয়েছে। স্ত্রী পাখির কপালের সোনালি পালক পুরুষের তুলনায় হালকা। এ ছাড়াও স্ত্রী পাখি আকারে সামান্য ছোট।

বিস্তৃতিঃ

বাংলাদেশ, ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, ভুটান, মায়ানমার, লাওস, কম্বোডিয়া, ভিয়েতনাম, থাইল্যান্ড ও চীনের দক্ষিণাঞ্চল এদের প্রধান আবাসস্থল। সিঙ্গাপুরে এদেরকে অবমুক্ত করা হয়েছে।

প্রজননঃ

প্রজনন মৌসুম জানুয়ারি থেকে আগস্ট। গাছের উচ্চ শিখরে বাটি আকৃতির বাসা বাঁধে। উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করে চিকন কাঠি, পাতা, নরম ঘাস ও তন্তু। ডিম দেয় ২-৩টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ১৮-২০ দিন।

আচরণঃ

সাধারণত একাকি বা জোড়ায় জোড়ায় পরগাছায় বা ফুলে ফুলে এবং পাতায় পাতায় ঘুরে বেরিয়ে মধু, ফল এবং পোকামাকড়, বিশেষ করে শুঁয়োপোকা খায়। কখনো অন্য পাখিদের সাথে মিলে খাবারের জন্য গাছে গাছে ঘুরে বেড়ায়। মাটিতে খুব কমই নামে। এরা বেশ আগ্রাসী স্বভাবের, নিজের এলাকা সম্পর্কে বেশ সচেতন। পুরুষেরা তুলনামূলকভাবে বেশি আগ্রাসী। প্রায়ই শব্দ করে চলে এবং পাতার রঙে গায়ের রঙ হওয়ার ফলে এদেরকে দেখা না গেলেও ডাক থেকে এদের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়।

খাদ্য তালিকাঃ

ছোট ফল, ফুলের মধু ও পোকামাকড়।

লাল লতিকা হট্টিটি-Red-wattled Lapwing
দেশি পানকৌড়ি-Indian Cormorant
পাতি ভুতিহাঁস-Common pochard
ম্লান নাকুটি-Pale Martin
লালবুক কাঠকুড়ালি-Rufous-bellied Woodpecker
সবুজ টিয়া-Rose-ringed parakeet
পাতি পাপিয়া-Common Cuckoo
লাল নুড়িবাটন
মেঘহও মাছরাঙা-Stork-billed Kingfisher
ধূপনি বক-Grey Heron