পাতি পাপিয়া-Common Cuckoo
Common Cuckoo

পাতি পাপিয়া-Common Cuckoo

পাতি পাপিয়া হলে Cuculiformes এর সদস্য। এই প্রজাতিটি গ্রীষ্মকালে ইউরোপ এবং এশিয়ায় এবং শীতকালে আফ্রিকায় বিস্তৃত অভিবাসী।

ইংরেজি নাম: Common Cuckoo

বৈজ্ঞানিক নাম: Cuculus canorus

বর্ণনাঃ

পাতি পাপিয়া বা সাধারণ কোকিল হচ্ছে ধূসর রঙের পাখি যার দৈর্ঘ্য ৩৩ সেমি., ওজন ৯০ গ্রাম, ডানা ২২ সেমি., ঠোঁট ২.৮ সেমি., পা ২.৩ সেমি., লেজ ১৬ সেমি.। ছেলে ও মেয়েপাখির চেহারায় পার্থক্য রয়েছে। ছেলেপাখির পিঠ ধূসর ও দেহতল সাদা। থুতনি, গলা ও বুক ফ্যাকাসে ছাইরঙের। সাদা পেট, বগল, অবসারণী ও লেজের নিচের কোর্ভাটের ওপর কালো সরু ডোরা আছে। কালচে বাদামি লেজের আগা সাদা। মেয়েপাখির চেহারা দু’ধরনের হয়। এক ধরনের চেহারায় ধূসর বুকের নিচে প্রান্তদেশে লালচে আমেজ ছাড়া ছেলেপাখির সঙ্গে চেহারার কোন পার্থক্য নেই। অন্য রূপটিকে কলিজা রূপ বলে। এতে লেজসহ লালচে-বাদামি পিঠে কালচে বাদামি ডোরা ও সাদা দেহতলে কালচে ডোরা থাকে। ছেলে ও মেয়েপাখি উভয়েরই চোখ হলুদ, পা ও পায়ের পাতা হলুদ এবং নখর শিঙ-রঙের। শিঙ-বাদামি ঠোঁটের গোড়া হলদে। শ্লেট-ধূসর অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির ঘাড়ের পিছনটায় সাদা চিতি ও পালকের সাদা পাড় থাকে।

স্বভাবঃ

সাধারণত এরা চিরসবুজ বন অথবা আর্দ্র পাতাঝরা বনে বিচরণ করে। এছাড়াও পর্বতের পাদদেশে তৃণভূমিতে পোকামাকড় খুঁজে বেড়ায়। বনের গাছ-গাছালির উঁচু ডালে নিজেদের আড়াল করে রাখে। বেশিরভাগ সময় একাকী বিচরণ করে। ভোরে এবং গোধূলিলগ্নে কর্মচঞ্চলতা বেড়ে যায়। স্বভাবে কিছুটা লাজুক। প্রজনন মৌসুমে পুরুষ পাখির হাঁকডাক বেড়ে যায়। স্ত্রী পাখিকে আকৃষ্ট করতে ‘কুক-কু…কুক-কু..’ সুরে ডাকতে থাকে। স্ত্রী পাখি ডাকে সাড়া দেয় ‘হুয়িহুয়িহুয়ি..’ সুরে।

প্রজননঃ

প্রজনন মৌসুম মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর। হিমালয় ও সাইবেরিয়াঞ্চলে ডিম পাড়ে। নিজেরা বাসা বাঁধতে জানে না। ডিম পাড়ে তুলিকা, খঞ্জন, জাড়ফিদ্দা ও চটকের বাসায়। পালক মাতাদের অগোচরে মিনিট খানেকের মধ্যেই ডিম পেড়ে পালিয়ে যায়। এরা খুব সহজে পালক মাতার ডিমের সঙ্গে নিজেদের ডিমের রঙ মিলিয়ে পাড়তে পারে।

খাদ্য তালিকাঃ

লোমশ শুঁয়োপোকা ও অন্যান্য পোকামাকড়। এটি মাঝে মাঝে ডিম এবং ছানাও খায়।

বিস্তৃতিঃ

সমগ্র দেশে দেখা না গেলেও ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা ও সিলেট বিভাগের বনাঞ্চলে দেখা যাওয়ার তথ্য রয়েছে। বৈশ্বিক বিস্তৃতি ভারত (সমস্ত ভারতে বিচরণ রয়েছে) এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপ পর্যন্ত। 

অবস্থাঃ

পাতি পাপিয়া বিশ্বে বিপদমুক্ত বলে বিবেচিত। বিগত তিন প্রজন্ম ধরে এদের সংখ্যা কমেছে, তবে দুনিয়ায় এখন ১০,০০০-এর অধিক পূর্ণবয়স্ক পাখি আছে, তাই এখনও আশঙ্কাজনক পর্যায়ে এই প্রজাতি পৌঁছেনি। সে কারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে ন্যূনতম বিপদগ্রস্ত (Least Concern LC) বলে ঘোষণা করেছে। বাংলাদেশের ১৯৭৪ ও ২০১২ সালের বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইনে এই পাকরা পাপিয়াকে সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে।

মরচেরঙ ভুতিহাঁস-Ferruginous duck
লক্ষ্মীপেঁচা পাখি-Barn owl
বাংলা নীলকণ্ঠ-Indian roller
সাইক্সের রাতচরা-Sykes's nightjar
কালামাথা কাস্তেচরা-Black-headed Ibis
স্যান্ডউইচ পানচিল-Sandwich tern
বাদামিচাঁদি কাঠকুড়ালি-Brown-capped Pygmy Woodpecke
উত্তুরে খুন্তেহাঁস-Northern shoveler
বন কোকিল-Green-Billed Malkoha
সোনা কপালি হরবোলা-Golden-fronted Leafbird