Dhaka To Rajshahi Train Schedule
ঢাকা থেকে রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী ও ভাড়া
ঢাকা থেকে রাজশাহীর দূরত্ব ৩৪৩ কিলোমিটার বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন-এর হিসেব মতে।ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটে বর্তমানে ৪টি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল করছে। ট্রেনগুলি এই দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় নেয় প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা।ঢাকা-রাজশাহী রুটের ট্রেনগুলিতে আধুনিক সমস্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। একেবারে কম দামের সুলভ থেকে শুরু করে অত্যন্ত বিলাসবহুল এসি কেবিন পর্যন্ত সব মানের আসনই রয়েছে। খাবারের ক্যান্টিন আছে, নামাযের স্থান আছে, পরিষ্কার টয়লেট আছে এবং নিরাপত্তার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা আছে।
ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী
আমি আপনাকে এই রুটের জন্য আন্তঃনগর ট্রেন পরিষেবা বেছে নেওয়ার পরামর্শ দেব। ঢাকা থেকে রাজশাহী আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিসের সময়সূচী এখানে দেওয়া হয়েছে। এই রুটটি প্রায় ২৪৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। এই রুটে তিনটি বিভিন্ন ধরণের আন্তঃনগর ট্রেন রয়েছে। এগুলি হলঃ সিল্ক সিটি এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস, ধূমকেতু এক্সপ্রেস।
ট্রেনের নম্বর | ট্রেনের নাম | ছুটির দিন | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় |
৭৫৩ | সিল্কসিটি এক্সপ্রেস | রবিবার | দুপুর ২টা ৪৫ মিনিট | রাত ৮টা ৩৫ মিনিট |
৭৫৯ | পদ্মা এক্সপ্রেস | মঙ্গলবার | রাত ১১টা | ভোর ৪টা ৩০মিনিট |
৭৬৯ | ধূমকেতু এক্সপ্রেস | শনিবার | ভোর ৬টা | ১১টা ৪০ মিনিট |
৭৯১ | বনলতা এক্সপ্রেস | শুক্রবার | ১টা ৩০ মিনিট | সন্ধ্যে ৬টা ৩৫ মিনিট |
সিল্কসিটি এক্সপ্রেস:
সিল্কসিটি এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৫৩/৭৫৪) বাংলাদেশের দ্রুততম ট্রেন হিসেবে পরিচিত। এটি একটি আধুনিক এবং বিলাসবহুল আন্তঃনগর ট্রেন। ট্রেনটি রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের অন্যতম প্রধান শহর রাজশাহী পর্যন্ত চলাচল করে। সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি রোববার বাদে সপ্তাহের বাকি ৬ দিন ঢাকা-রাজশাহী রুটে চলাচল করে। সিল্কসিটি এক্সপ্রেস ট্রেনটি ঢাকা থেকে রাজশাহী পর্যন্ত ৩৪৩ কিলোমিটার দীর্ঘ যাত্রাপথে মোট ১২টি জায়গায় বিরতি নেয়।
পদ্মা এক্সপ্রেস:
পদ্মা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৫৯/৭৬০) হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত ঢাকা থেকে রাজশাহী রুটের অন্যতম বিলাসবহুল আন্তঃনগর ট্রেন। এতে আরামদায়ক এসি স্লিপার এবং খাবার গাড়িসহ একটি আধুনিক ট্রেনের সমস্ত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। পদ্মা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি মঙ্গলবার বাদে সপ্তাহের বাকি ৬ দিন ঢাকা-রাজশাহী রুটে যাত্রী আনা-নেয়া করে। পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনটি তার যাত্রাপথে মোট ১১টি স্থানে যাত্রাবিরতি গ্রহণ করে।
ধূমকেতু এক্সপ্রেস:
ধূমকেতু এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৬৯/৭৭০) হলো বাংলাদেশ রেলওয়ে পরিচালিত ঢাকা-রাজশাহী রুটের তৃতীয় বিলাসবহুল আন্তঃনগর ট্রেন। ট্রেনটিতে ৮টি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত চেয়ার কোচ, ৭টি নন-এসি কোচ, একটি ড্রাইভার গাড়ি এবং গার্ড ব্রেকসহ ২টি খাবার গাড়ি রয়েছে। ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি রাজধানী থেকে ৩৪৩ কিলোমিটার দূরের রাজশাহী পৌঁছাতে ৫ ঘন্টা ৪০ মিনিট সময় নেয়। বৃহস্পতিবার হলো ধূমকেতু এক্সপ্রেসের সাপ্তাহিক বন্ধের দিন।ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেন (৭৬৯) ঢাকা থেকে রাজশাহী যাবার পথে মোট ১২টি সাব-স্টেশনে বিরতি নেয়। তবে রাজশাহী থেকে ঢাকায় (৭৭০) যাবার পথে এটি বিরতি নেয় মাত্র ৭টি স্টেশনে।
বনলতা এক্সপ্রেস:
বনলতা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭৯১-৭৯২) হলো বাংলাদেশ রেলওয়ের একটি বিরতিহীন এবং আধুনিক আন্তঃনগর ট্রেন। এটি ঢাকা থেকে রাজশাহী হয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত চলাচল করে। একটি বিরতিহীন ট্রেন হিসেবে বনলতা এক্সপ্রেস ঢাকা-রাজশাহী রুটের অন্যান্য ট্রেনের মতো এত বেশিবার মাঝপথে থামে না, ফলে ঢাকা-রাজশাহী যাত্রীদের কাছে ট্রেনটি সবচেয়ে জনপ্রিয় ট্রেন। লক্ষণীয়, শুক্রবারে বনলতা এক্সপ্রেস চলে না, এ দিন এর সাপ্তাহিক ছুটির দিন। বনলতা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর ট্রেনটি ঢাকা টু রাজশাহী রুটের একমাত্র বিরতিহীন ট্রেন, এটি ঢাকা বিমানবন্দর রেলস্টেশন ছাড়া এর দীর্ঘ যাত্রাপথে আর কোথাও থামে না।
ঢাকা টু রাজশাহী ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
আসন বিভাগ | টিকিটের মূল্য |
শোভন চিয়ার | ৩৪০ টাকা |
স্নিগ্ধা | ৫৭০ টাকা |
এসি | ৬৮০ টাকা |
এসি বার্থ | ১০২০ টাকা |
ঢাকা টু দুবাই বিমান ভাড়া
চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী ট্রেনের সময়সূচী
অনলাইনে টিকেট কাটার নিয়ম
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।