Arif Azad
আরিফ আজাদ একজন বাংলাদেশী লেখক। আরিফ আজাদের বই অনলাইন এবং অফলাইন দুই জায়গাতেই বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করার সময় থেকেই লেখালেখির হাতেখড়ি। তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব নিয়ে পড়াশুনা করতেই বেশি পছন্দ করেন। প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ এর লেখক হিসেবেই তিনি বহুল পরিচিত। অমর একুশে বইমেলা-২০১৯ এ অনলাইন বেস্ট সেলার হিসেবে নির্বাচিত হন আরিফ আজাদ।
আরিফ আজাদ একজন জীবন্ত আলোকবর্তিকা- লেখক আরিফ আজাদকে বর্ণনা করতে গিয়ে একথাই বলেছেন ডঃ শামসুল আরেফিন। গার্ডিয়ান প্রকাশনী আরিফ আজাদের পরিচয় দিতে গিয়ে লিখেছে, “তিনি বিশ্বাস নিয়ে লেখেন, অবিশ্বাসের আয়না চূর্ণবিচুর্ণ করেন।” আরিফ আজাদ এর বই মানেই একুশে বইমেলায় বেস্ট সেলার, এতটাই জনপ্রিয় এ লেখক। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে সবচেয়ে আলোড়ন তোলা লেখকদের একজন আরিফ আজাদ।
১৯৯০ সালের ৭ই জানুয়ারি চট্টগ্রামে জন্ম নেয়া এ লেখক মাধ্যমিক শিক্ষাজীবন শেষ করে চট্টগ্রাম জিলা স্কুলে। একটি সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখানে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন। লেখালেখির ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আরিফ আজাদ এর বই সমূহ পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তার প্রথম বই ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ ২০১৭ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশ পায়। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদ বিভিন্ন কথোপকথনের মধ্যে তার নাস্তিক বন্ধুর অবিশ্বাসকে বিজ্ঞানসম্মত নানা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে খণ্ডন করে। আর এসব কথোপকথনের মধ্য দিয়েই বইটিতে অবিশ্বাসীদের অনেক যুক্তি খণ্ডন করেছেন লেখক। বইটি প্রকাশের পরপরই তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এটি ইংরেজি ও অসমীয়া ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। ২০১৯ সালের একুশে বইমেলায় ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ - ২’ প্রকাশিত হয়ে এবং এটিও বেস্টসেলারে পরিণত হয়। সাজিদ সিরিজ ছাড়াও আরিফ আজাদ এর বই সমগ্রতে আছে ‘আরজ আলী সমীপে’ এবং ‘সত্যকথন’ (সহলেখক) এর মতো তুমুল জনপ্রিয় বই।
ব্যক্তিগত ও শিক্ষাজীবন
লেখক আরিফ আজাদ ১৯৯০ সালের ৭ জানুয়ারি,চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহন করেন। তিনি মাধ্যমিক পাশ করেন চট্টগ্রাম জেলা স্কুল থেকে। একটি সরকারি কলেজ থেকে তিনি উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিসংখ্যান বিভাগে ভর্তি হন এবং এখান থেকে উচ্চশিক্ষা শেষ করেন।
সাহিত্যিক জীবন
তরুণ এই লেখক একাদশ শ্রেনীতে থাকাকালীন লেখালেখি শুরু করেন।তবে তার লেখা প্রথম বই প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২০১৭ সালে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হলে তা ব্যপক আলোড়নের সৃষ্টি করে। তারপর থেকে নিয়মিত প্রকাশিত হতে থাকে আরিফ আজাদের অন্যান্য বইগুলো। লেখালেখির ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আরিফ আজাদ এর বই সমূহ পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
তার ব্যক্তিগত ছবি ও জীবন
তার ব্যক্তিগত ছবি তিনি ইন্টারনেটে শেয়ার করেন না, তবে বই মেলাতে তিনি মাঝে মধ্যে এসেছেন, তখন কিছু মানুষের সাথে তার সাক্ষাৎ হয়েছে, তিনি তাদের সাথেও ছবি তুলেননি। তার ফেসবুক গ্রুপে তিনি তার ব্যক্তিগত ধারণা শেয়ার করে থাকেন। তিনি দেশের বিভিন্ন জাতীয় উলামা সম্মেলনে অংশগ্রহণ করে থাকেন।
তিনি “আস সাদিক ফাউন্ডেশন” নামে একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন।
উল্লেখযোগ্য বইসমূহঃ
১) প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-১
প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ ২০১৭ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশ পায়। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদ বিভিন্ন কথোপকথনের মধ্যে তার নাস্তিক বন্ধুর অবিশ্বাসকে বিজ্ঞানসম্মত নানা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে খণ্ডন করে। আর এসব কথোপকথনের মধ্য দিয়েই বইটিতে অবিশ্বাসীদের অনেক যুক্তি খণ্ডন করেছেন লেখক। বইটি প্রকাশের পরপরই তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এটি ইংরেজি ভাষা ও অসমীয়া ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। ২০১৭- এর একুশে বইমেলায় এটি ছিল সর্বাধিক বিক্রিত বই।
২) প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২
সাজিদ-১ এর ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ-২। প্রকাশের প্রথমদিনেই বইটির সকল প্রিন্ট বিক্রি হয়ে যায়। মাত্র ৩ দিনে ৮ হাজার কপি বিক্রি হয় বইটির। তবে অপ্রত্যাশিত ত্রুটির কারনে ৩য় দিনেই বাংলা একাডেমি কর্তৃক বইটির বিক্রি বন্ধ হয়ে যায়।
৩) বেলা ফুরাবার আগে
২০২০ সালে প্রকাশিত ‘বেলা ফুরাবার আগে’ আরিফ আজাদের ৪র্থ মৌলিক বই। বইটিতে লেখক আরিফ আজাদ তরুন মনের আকুপাকু করা এবং সমাজে চলমান প্রশ্ন গুলোর সহজ, সরল,যৌক্তিক, বিশ্লেষণী সমাধান এবং ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেছেন। এবারের বইমেলাতেও চমক হিসেবে ছিল বেলা ফুরাবার আগে বইটি।
৪) আরজ আলীর সমীপে
গ্রাম্য একজন স্বশিক্ষিত নাস্তিক ব্যক্তির ইসলাম সম্পর্কে ভুল ধারণা ভেঙ্গে দেন, ও ইসলামের সমালোচনাকারীদের জবাব দেন। আরিফ আজাদের বৈবাহিক অবস্থা : পরিবারের দেখা শোনার মাধ্যমে আরিফ আজাদের বিয়ে হয়েছিলো। মজার বিষয় হচ্ছে, তার স্ত্রীও জানতেন না, তিনি যে এতো বড় মাপের লেখক। তিনি প্রচণ্ড অন্তর্মুখী স্বভাবের এবং প্রচার-বিমুখ ধরনের মানুষ।
আরিফ আজাদ সম্পর্কে কিছু উক্তি
“একসময় ছেলেরা হিমু হতে চাইতো এখন ছেলেরা সাজিদ হতে চায়। আরিফ আজাদ তরুণ প্রজন্মকে হিমু থেকে সাজিদে রূপান্তরিত করতে পেরেছে। এটাই একজন লেখকের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি”
কথাগুলো বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনপ্রিয় শিক্ষক এবং লেখক আসিফ নজরুল। আর যেই মানুষটিকে নিয়ে কথাগুলো বলেছেন, তিনি হচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় লেখক আরিফ আজাদ।
একটা মানুষ এতো অল্প সময়েই এতো জনপ্রিয় হবার মূল অস্ত্রই তার লেখনী-শক্তি। মননশীল চিন্তাভাবনা এবং যুক্তি দিয়ে ইসলামকে সবার সামনে এতো সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার মাধ্যমে তিনি লক্ষ লক্ষ তরুণের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।
আরিফ আজাদকে নিয়ে অসাধারণ একটি উক্তি করেন, জনপ্রিয় ইসলামিক সাহিত্যিক ডা. শামসুল আরেফীন। তিনি বলেন,
“” আরিফ আজাদ একজন জীবন্ত আলোকবর্তিকা “””
দা গার্ডিয়ান প্রকাশনী আরিফ আজাদের পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছেন :
তিনি বিশ্বাস নিয়ে লিখেন, অবিশ্বাসের বিরুদ্ধে। প্রচার বিমুখ এই মানুষটা তার মননশীল চিন্তা ভাবনা এবং যুক্তি দিয়ে সবার হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। আরিফ আজাদকে এই কথা গুলো আমার ব্য ক্তি গত না , আমার বিশ্বাস এই কথা গুলো এদেশের হাজারো তরুণের মনের কথা ।
আরিফ আজাদ এর উক্তি
১.চেহারা দেখালে যদি অন্তত একটা সাওয়াব পাওয়া যেত, বিশ্বাস করুন, আমি প্রতিদিন কম করে হলেও ফেসবুকে একটা ছবি আপলোড় দিতাম।
২.জীবনে আপনি একটি ফেরেশতাকে দেখতে পাবেন….সেটি হচ্ছে মালাকুলমাউত, মৃত্যুর ফেরেশতা।
৩. ফযর ছেড়ে দিলেন তো হেরে গেলেন।
৪. বহুমুখী একটা জাতি তৈরি হোক, আমি এটাই চাই।
৫. মানুষের চোখে নিজেকে মাপতে নাই, নিজেকে মাপতে হয় আসমানের আয়নায়
৫. কারো কটু কথা, কটুবাক্য এবং অপমানের বিপরীতে সবরের চাইতে মোক্ষম জবাব আর কিছু হয়না
৭. কারো প্রতি আচরণের পূর্বে এটা ভাবুন যে এই আচরণ পরবর্তীতে তার মনে আপনার জন্য শ্রদ্ধার উদ্রেক করবে,নাকি আপনার নাম শুনলেই তার অন্তর ভরে উঠবে প্রবল ঘৃনায়।
সাম্প্রতিক মন্তব্য
#anasa Islam
আল্লাহ আরিফ আজাদকে উওম প্রতিদান দান করুক। আমিন।