বাথরুমে অজু করার বিধান
বাথরুমে কখনো কেউ প্রস্রাব করার পর যদি বেশি পরিমাণ পানি ঢালা হয় এবং সেখান থেকে নাপাকি দূর হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রবল ধারণা হয় তাহলে এর দ্বারা বাথরুম পবিত্র হয়ে যাবে। (আদ্দুররুল মুখতার : ১/৩৩৩)
যেমন রাসুল (সা.)-এর সময়ে এক বেদুইন মসজিদে প্রস্রাব করে দেয়। তখন তিনি তাতে পানি ঢালার নির্দেশ দিয়েছিলেন। (বোখারি, হাদিস : ২১৯)
তাই যেকোনো স্থান পবিত্র হয়ে যাওয়ার পর সেখানে অজু-গোসল করতে কোনো বাধা নেই। তবে যেখানে প্রস্রাব করা হয় ওই জায়গা নাপাক হয়ে যায় বিধায় বচ্চাদের টয়লেটে ইস্তেঞ্জা করার অভ্যাস গড়ে তুলুন; বাথরুমে বা গোসলের স্থানে নয়। আবদুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন গোসলখানায় প্রস্রাব না করে। কেননা, কুমন্ত্রণা সাধারণত এ কারণেই তৈরি হয়।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৭, তিরমিজি, হাদিস : ২১)
তা ছাড়া মানুষের প্রস্রাব নাজাসাতে গলিজার অন্তর্ভুক্ত (বড় ধরনের নাপাক)। হাদিস শরিফে রাসুল (সা.) বলেন, তোমরা প্রস্রাবের অপবিত্রতার ব্যাপারে সতর্ক থাকো। কারণ অধিকাংশ কবরের আজাব প্রস্রাবের কারণে হয়ে থাকে।’ (দারাকুতনি, হাদিস : ৪৭৬)
বাথরুমে অযু করা নিষেধ নয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে, অযু করার স্থান যেন পাক থাকে। অর্থাৎ ট্যাপ থেকে যেখানে পানি পড়বে সেই জায়গাটা যেন পাক থাকে। কেননা, সেই জায়গাটা যদি নাপাক থাকে তাহলে শরীরে বা কাপড়ে উক্ত পানির ছিটা পড়ব এবং শরীর বা কাপড় নাপাক হয়ে যাবে।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেন,
استنزهوا من البول فإن عامة عذاب القبر منه
তোমরা পেশাবের অপবিত্রতার ব্যাপারে সতর্ক থাক। কারণ অধিকাংশ কবরের আযাব এর কারণে হয়ে থাকে। (দারাকুতনী ৪৭৬)