চিনা তিতির- Chinese Francolin
Chinese Francolin

চিনা তিতির- Chinese Francolin

চিনা তিতির ফ্যাসিয়ানিডি গোত্র বা পরিবারের অন্তর্গত ফ্র্যাঙ্কোলিনাসগণের এক প্রজাতির বুনো তিতির।

ইংরেজি নাম: Chinese Francolin

বৈজ্ঞানিক নাম: Francolinus pintadeanus

বর্ণনাঃ

চীনা তিতির ছোট মুরগির আকারের। এর থুতনি ও গাল সাদা এবং এই দুই অংশ একটি কালো দাগ দিয়ে বিভক্ত থাকে। ভ্রু ও ভ্রুরেখা কালো। মাথার চাঁদি লালচে-বাদামি রঙের। সারা শরীর কালো-সাদা ফোঁটাযুক্ত। বগল বাদামি রঙের। সাদা পিঠে অসংখ্য কালো চিকন দাগ থাকে। লেজ ছোট ও কালো। দেহতল ফ্যাকাসে মেটে রঙের। ঠোঁট সীসা বর্ণের, ঠোঁটের আগা ফ্যাকাসে। চোখ কালো। পা হলদে-কমলা রঙের। পুরুষ ও স্ত্রী তিতিরের মধ্যে চেহারা ও আকারের দিক থেকে তেমন একটা পার্থক্য নেই। কেবল স্ত্রী তিতির দেখতে একটু ফ্যাকাসে হয়, আর পায়ের পেছনে গজালের মতো নখর থাকে না।

স্বভাবঃ

চীনা তিতির শুষ্ক, ঝোপঝাড় এলাকা; বিশেষ করে পার্বত্য এবং পাহাড়ী অঞ্চলে বেমি দেখা যায়। বিচরণক্ষেত্রে বেশির ভাগই জোড়ায় জোড়ায় দেখা যায়। দলবদ্ধভাবে দেখা গেলেও খুব বেশিসংখ্যক সদস্য নিয়ে এরা দল বাঁধে না। 

প্রজননঃ

প্রজনন মৌসুম এপ্রিল থেকে আগস্ট। ঝোপ জঙ্গলের ভেতর মাটির প্রাকৃতিক গর্তে ঘাস-লতা দিয়ে বাসা বাঁধে। ডিম পাড়ে ৩-৬টি। ডিম ফুটতে সময় লাগে ২০-২১ দিন।

খাদ্য তালিকাঃ

শস্যদানা, কচিপাতা, পোকামাকড় ও ফল।

বিস্তৃতিঃ

এই প্রজাতিটি কম্বোডিয়া, চীন, ভারত, লাওস, মায়ানমার, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনামে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এদের অস্তিত্ব অনিশ্চিত। কেবলমাত্র একটি তালিকায় এদের বাংলাদেশের পাখি বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

অবস্থাঃ

গত কয়েক দশক ধরে এদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়নি আবার হ্রাসও পায়নি। সেকারণে আই. ইউ. সি. এন. এই প্রজাতিটিকে Least Concern বা ন্যুনতম বিপদযুক্ত বলে ঘোষণা করেছে।

মেঠো রাতচরা-Savanna Nightjar
লাল নুড়িবাটন
জলার তিতির- Swamp Francolin
নীলশির-Mallard
কোড়া বা জলমোরগ-Watercock
জল ময়ূর-Pheasant-tailed jacana
ছোট ধলাকপাল রাজহাঁস-Lesser white-fronted goose
পাতি শিলাফিদ্দা-Common Stonechat
ধলামাথা কাঠঠোকরা-Pale-headed woodpecker
মদনটাক-Lesser Adjutant