গ্যাভিসল সিরাপ কি কারনে সেবন করা হয়?
গ্যাভিসল সিরাপ এটি একটি চিনি মুক্ত ওরাল সাসাপেনশন এটি মূলতো একটি গ্যাসের সিরাপ যারা দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছেন এবং চিনি ছাড়া বা চিনি মুক্ত একটি ভালো গ্যাসের সিরাপ খুজতেছেন তারা এই গ্যাভিসল সিরাপ টি সেবন করতে পারেন।
গ্যাভিসল সাসপেনশন
Ibn Sina Pharmaceuticals Ltd-ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড
10 ml sachet: ৳ 15.00 (20's pack: ৳ 300.00)
200 ml bottle: ৳ 250.00
নির্দেশনা
ইহা গ্যাস্ট্রিক রিফ্লাক্স, হার্টবার্ন, গ্যাস্ট্রিক রিফ্লাক্স সমন্বিত ফ্লাটুলেন্স, গর্ভাবস্থায় হার্টবার্ন, এপিগ্যাস্ট্রিক পীড়াজনিত যেকোন গ্যাস্ট্রিক রিফ্লাক্স উপসর্গে নির্দেশিত।
ফার্মাকোলজি
ইহা সিস্টেমিক সারকুলেশনের মাধ্যমে কাজ করে না, গ্রহণ করার পর এটি অতি দ্রুত পাকস্থলির এসিডের সাথে বিক্রিয়া করে এলজিনিক এসিডের একটি জেল তৈরী করে, যার একটি নিরপেক্ষ pH থাকে এবং যা পাকস্থলির উপাদানের উপর ভেসে বেড়ায় এবং দ্রুত ও কার্যকর ভাবে ৪ ঘন্টা পর্যন্ত গ্যাস্ট্রো ইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স প্রতিহত করে। গুরুতর ক্ষেত্রে এই জেলটি পাকস্থলির উপাদানের চেয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রিফ্লাক্স হয়ে ইসোফেগাসের অভ্যন্তরে উপশমকারী প্রভাব বিস্তার করে।
মাত্রা ও সেবনবিধি
মৌখিক সেবনের জন্য:
১২ বছরের অধিক ও প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে: ১০-২০ মিলি প্রতিদিন চারবার পর্যন্ত খাওয়ার পর এবং শোবার সময় ।
৬-১২ বছরের শিশুদের ক্ষেত্রে: ৫-১০ মিলি প্রতিদিন চারবার পর্যন্ত খাওয়ার পর এবং শোবার সময়। ৬ বছরের নিচে শিশুদের ক্ষেত্রে নির্দেশিত নয়।
প্রাপ্তবয়স্ক: এদের জন্য কোন মাত্রা পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই।
* চিকিৎসকের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ সেবন করুন'
ঔষধের মিথষ্ক্রিয়া
এই ওষুধ ও অন্য ওষুধ গ্রহনের মাঝে দুই (২) ঘন্টা ব্যবধান বিবেচনা করতে হবে। বিশেষ করে টেট্রাসাইক্লিন, ডিগোক্সিন ফ্লুরোকুইনোলোন, আয়রন সল্ট, কিটোকোনাজোল, নিউরোল্যাপ্টিক, থাইরয়েড হরমোন, পেনিসিলামাইন, বিটা ব্লকার (এটিনোলল, মেটোপ্রোলল, প্রপ্রানোলল), গ্লুকোকটিকয়েড, ক্লোরোকুইন এবং বাইফসফোনেটস (ডাইফসফোনেটস) এবং এস্ট্রামাসটিন।
প্রতিনির্দেশনা
ইহার যেকোন কার্যকারী উপাদান অথবা কোন এক্সিপিয়েন্ট এর প্রতি অতিসংবেদনশীল রোগীদের ক্ষেত্রে এটি প্রতিনির্দেশিত।
পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ওষুধের কাঙ্খিত ফলাফল প্রাপ্তির সাথে কিন্তু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও প্রদর্শিত হতে পারে। যেমন: কোষ্ঠকাঠিন্য, ফ্লাটুলেন্স, পাকস্থলির খিঁচুনি অথবা ঢেঁকুর তোলা। এসকল ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করতে হবে। যদি অতিবেশী মাত্রায় গ্রহন করা হয়ে থাকে তবে স্ফীত পাকস্থলি সংবেদিত হবে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করা যুক্তিযুক্ত।
গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদানকালে
গর্ভাবস্থায়:৫০০ এর অধিক গর্ভবর্তী মহিলার ক্লিনিক্যাল গবেষনা এবং বিপনন পরবর্তী প্রচুর তথ্য উপাত্তের অভিজ্ঞতা নির্দেশ করে যে এর কার্যকরী উপাদানের ত্রুটি অথবা নবজাতক সম্পর্কিত বিষক্রিয়া নেই। সুতরাং চিকিৎসার প্রয়োজন পড়লে গর্ভাবস্থায় ওষুধ ব্যবহার করা যাবে।
স্তন্যদানকালে:চিকিৎসা গ্রহণকারী মায়েদের বুকের দুধ গ্রহনকৃত নবজাতকদের ক্ষেত্রে এর কার্যকরী উপাদনের কোন প্রতিক্রিয়া নেই। বুকের দুধ প্রদানকালে মায়েরা এই ওষুধ ব্যবহার করতে পারবে।
ফারটিলিটি: চিকিৎসাপূর্ব গবেষনায় প্রকাশিত হয়েছে যে বংশবৃদ্ধির উপর এর কোন নেতিবাচক প্রভাব নেই।
সতর্কতা
যদি ৭ দিনের মধ্যে উপসর্গের উন্নতি না হয় রোগীর রোগশয্যা পর্যালোচনা করতে হবে। প্রতি ১০ মিলি মাত্রায় সোডিয়াম আছে ১৪১ মিগ্রা (৬.২ মি.মোল)। যখন লবনাক্ত খাদ্যের অত্যন্ত নিয়ন্ত্রন সুপারিশ করা হয় তখন এটি বিবেচনায় নিতে হবে। উদাহরনস্বরূপ, কনজেসটিভ কার্ডিয়াক ফেইলিউর ও রেনাল ইমপেয়ারমেন্ট এর ক্ষেত্রে। প্রতি ১০ মিলি মাত্রায় ক্যালসিয়াম কার্বনেট আছে ১৬০ মিগ্রা (১.৬ মি.মোল) সুতরাং হাইপারক্যালসেমিয়া, নেফ্রোক্যালসিনোসিস এবং রিকারেন্ট ক্যালসিয়াম সংক্রান্ত রেনাল ক্যালকুলি রোগীদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে সতর্কর্তা গ্রহন করতে হবে।
মাত্রাধিক্যতা
অপরিমিত মাত্রা গ্রহনের ক্ষেত্রে ঔপসর্গিক চিকিৎসা দিতে হবে।
সংরক্ষণ
আলো থেকে দূরে, ঠান্ডা ও শুকনো স্থানে রাখুন (৩০° সেলসিয়াস তাপমাত্রার নিচে রাখুন)। সকল ওষুধ শিশুদের নাগালের বাইরে রাখুন। এই ওষুধ হিমায়িত করা যাবে না।