
Kapotaksh Express train schedule-কাপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৭১৫/৭১৬) খুলনা এবং রাজশাহী শহরের মাঝে চলাচলকারী একটি আন্তঃনগর ট্রেন। এটি বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ট্রেন। কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ১ লা মে ১৯৮৬ তারিখে তার প্রথম উদ্বোধনী যাত্রা শুরু করে । খুলনা থেকে রাজশাহীর মোট দূরত্ব প্রায় ২৬৪ কিলোমিটার বা ১৬৪ মাইল। কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের গড় যাত্রা প্রায় ৫ ঘন্টা ২৫ মিনিট। অতীতে, এটি ঈশ্বরদী, চুয়াডাঙ্গা এবং যশোর মাত্র তিনটি স্টেশনে থামে। এখন এটি ১৫টি স্টেশনে থামে।
কপোতাক্ষ এক্সপ্রেসে, রেকটিতে ১১ টি পিটি ইঙ্কা কোচ থাকে। কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে ১ টি এসি চেয়ার কার, ৮ টি নন-এসি চেয়ার কার এবং ২ টি পাওয়ার কার রয়েছে।
খুলনা থেকে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
খুলনা থেকে রাজশাহী যাওয়ার সময় কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের কোড হল 715। এটি খুলনা রেলওয়ে স্টেশন থেকে সকাল 6:30 টায় ছেড়ে যায় এবং রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায় দুপুর 12:20 টায়। কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেন বন্ধের দিন শনিবার।
রাজশাহী থেকে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
রাজশাহী থেকে খুলনা রুটে, কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের কোড হল 716। এটি রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন থেকে দুপুর 2:15 টায় ছেড়ে যায় এবং রাত 8:00 টায় খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছায়। ট্রেনটি সপ্তাহে 6 দিন পাওয়া যায় এবং এর ছুটির দিন শনিবার।
কাপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী
কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী সম্পর্কে জানতে পারবেন এখানে। ভ্রমণের পূর্বে সময়সূচী সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং যারা ভ্রমণের জন্য এই দিনটিকে বেছে নিয়েছেন তারা অবশ্যই এখান থেকে এটি এর সময়সূচী সম্পর্কে জানবেন। সময়সূচী আমরা আপনাদের সুবিধার জন্য সক আকারে দিয়ে রেখেছি।
স্টেশনের নাম | ছাড়ায় সময় | পৌছানোর সময় | ছুটির দিন |
খুলনা টু রাজশাহী | সকাল ০৬:৩০ | দুপুর ১২:২০ | শনিবার |
রাজশাহী টু খুলনা | দুপুর ০২:১৫ | রাত ০৮:০০ | শনিবার |
কাপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের বিরতি স্টেশন
ভ্রমণের ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলি জানা গুরুত্বপূর্ণ তার মধ্যে একটি হচ্ছে ট্রেন ভ্রমণে বিরতি স্টেশন সম্পর্কে জানা। আপনি যদি এই বিরতি স্টেশন সম্পর্কে জানেন তাহলে আপনার অলস পূর্ণ ভ্রমণ হবে না। জানতে পারবেন সঠিক বিরতি স্টেশন। কোন সময়ে কোন স্টেশনে ট্রেন বিরতি রাখেন এই বিষয়গুলো সম্পূর্ণভাবে জানতে পারবেন এখান থেকে।
নওয়াপাড়া
যশোর জংশন
মোবারকগঞ্জ
কোটচাঁদপুর
সফদরপুর
দর্শনা হল্ট
চুয়াডাঙ্গা
আলমডাঙ্গা
পোড়াদহ জংশন
মিরপুর
ভেড়ামারা
পাকশী
ঈশ্বরদী জংশন
আজিমনগর
আদবুলপুর
কাপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা
যারা কাপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের ভাড়ার তালিকা সম্পর্কে জানার জন্য অনলাইনে অনুসন্ধান করেছেন তাদের সহযোগী এই পোস্ট। এখানে আমরা আসন ভেদে এই ট্রেনের ভাড়ার তালিকা তৈরি করেছি। সুতরাং যারা ভ্রমণের পূর্বে এর ভাড়া সম্পর্কে জানতে চান তারা অবশ্যই এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন। নিচে ভারত তালিকাটি দেওয়া রয়েছে আপনারা চাইলে সেখান থেকে জেনে নিতে পারেন কোন আসনের টিকেটের মূল্য কত।
আসন বিভাগ | টিকেটের মূল্য (১৫% ভ্যাট) |
শোভন | ২৬০ টাকা |
শোভন চেয়ার | ৩১০ টাকা |
প্রথম সিট | ৪১০ টাকা |
স্নিগ্ধা | ৫১৫ টাকা |
এসি সিট | ৬১৫ টাকা |
কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস ট্রেনের সুবিধা
কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস খুলনা-রাজশাহী রুটে একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় আন্তঃনগর ট্রেন সার্ভিস এর চমৎকার সার্ভিসের কারণে। কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস প্রদান করে- প্রার্থনা কক্ষ সুবিধা, ক্যাটারিং সুবিধা, বিনোদন সুবিধা, টয়লেট সুবিধা, স্থায়ী টিকিট সুবিধা এবং এর যাত্রীদের জন্য শক্তিশালী নিরাপত্তা সুবিধা।
অনলাইনে টিকেট কাটার নিয়ম
ই-টিকিটিং সিস্টেমে টিকেট কেনার নতুন পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। সেক্ষেত্রে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে একবার রেজিস্ট্রেশন করলেই চলবে।
রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া
টিকিট কাটতে অবশ্যই একবার যাত্রীদের রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। সে জন্য প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে ওয়েবসাইটটির নিচের দিকে Registration বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর Create an Account নামের নতুন একটি Page আসবে। এখানে Personal Information এর সংশ্লিষ্ট ঘরগুলো প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করে Security code ঘরের পাশে দেখানো Security Code দিয়ে পূরণ করে Register বাটনে ক্লিক করতে হবে।
সব তথ্য সঠিক থাকলে Registration Successful নামে নতুন একটি Page আসবে।
ই-টিকেটিং সিস্টেম থেকে তাৎক্ষণিকভাবে আপনার দেয়া ই-মেইলে Bangladesh Railway থেকে একটি মেইল পাঠানো হবে।
Bangladesh Railway থেকে আসা মেইলটি খুলে সেখানে মেসেজে থাকা Click লিঙ্কে ক্লিক করতে হবে। এরপর যাত্রীর Registration সম্পন্ন হবে।
টিকিট কাটার প্রক্রিয়া
রেজিস্ট্রেশন শেষ হওয়ার পর যাত্রীরা টিকিট কাটতে পারবেন। এ জন্য তাকে প্রথমে www.eticket.railway.gov.bd ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে থাকা Log in প্যানেলে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড পূরণ করতে হবে।
পরে যে Page আসবে তাতে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে। এখানে যাত্রীকে পূরণ করতে হবে তিনি কোন তারিখের টিকিট কাটতে চান, কোন স্টেশন থেকে কোন স্টেশন পর্যন্ত, ট্রেনের নাম, শ্রেণি, টিকেট সংখ্যা।
পরে দেখানো হবে Registration Seat Available কি না এবং টিকিটের দাম। সেখানে সবকিছু ঠিক থাকলে Purchase ticket বাটনে ক্লিক করতে হবে।
ক্রেডিট কার্ড, ক্যাশ কার্ড কিংবা ব্রাক ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট দিয়ে টিকিটের দাম পরিশোধ করতে পারবেন যাত্রীরা। পরে যাত্রীর ই-মেইলে ই-টিকেটটি পাঠিয়ে দেবে বাংলাদেশ রেলওয়েল।
এরপর সেই টিকিট প্রিন্ট দিয়ে ফটো আইডিসহ ট্রেনে ভ্রমণ করতে পারবেন। কিংবা ই-টিকেট প্রদত্ত Ticket Print Information দিয়ে সংশ্লিষ্ট স্টেশন থেকে যাত্রার পূর্বে ছাপানো টিকেটও সংগ্রহ করতে পারবেন।